Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইলিশের স্যুপ ও নুডুলস বাজারে আসছে

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরে আজ উদ্বোধন

| প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

পঞ্চায়েত হাবিব : ইলিশ মাছের মূল্য সংযোজিত পণ্য স্যুপ ও নুডুলস তৈরির প্রযুক্তি উদ্ধাবন করেছে বাংলাদেশ। মৎস্য অধিদপ্তর ও ওয়ার্ল্ড ফিস বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ইকোফিস প্রকল্পের মাধ্যমে এটি উদ্ভাবন করা হয়েছে। এ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ইউএসএআইডি। এটিই বিশ্বে ইলিশ মাছের তৈরি প্রথম প্রযুক্তি। এদিকে আজ মঙ্গলবার ইলিশমাছের নুডুলস এবং অন্যান্য প্রজেক্ট হস্তান্তর উপলক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন করবে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।
গতকাল সোমবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ ইনকিলাবকে বলেন, আমাদের দেশের ইলিশের জগৎজোড়া খ্যাতি রয়েছে। অনেকেই এর স্বাদ নিতে চান কিন্তু অতিরিক্ত কাটার কারণে এর স্বাদ নিতে পারেন না। একারণে ইলিশে মূল্য সংযোজন পণ্য উৎপাদনের জোর দোওয়া হয়েছিল। এক্ষেত্রে আমরা সফল হয়েছি। দেশের বিজ্ঞানীদের মাধ্যমেই এধরণের পণ্য (স্যুপ ও নুডুলস) তৈরি করা হয়েছে। যার স্বাদ ও পুষ্টি গুনে তাজা ইলিশের মতোই। আশা করছি এটি বাণিজ্যাকভাবে উৎপাদন ও বাজারজাত করা হলে দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রফতানি করে প্রচুর বৈদিশেক মুদ্রা আর্জন সম্ভব হবে। তিনি ইলিশ মাছের স্যুপ ও নুডুলস বাজারে আনা হচ্ছে।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ ইনকিলাবকে বলেন, ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ। স্বাদ ও পুষ্টিমানের দিক দিয়ে আমাদের ইলিশ বিশ্বে সমাদৃত। ইতোমধ্যে আমরা ইলিশ মাছের ভৌগলিক স্বীকৃতি পেয়েছি। বিদেশে অনেক চাহিদা রয়েছে। তার ওপর অনেকে রয়েছেন যারা পুরো ইলিশ কিনে খাওয়ার মতো ক্ষমতা নাই এ জন্য ইলিশ মাছের একটি ভ্যাল্যুএ্যাডের পণ্য উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এ জন্য মৎস্য অধিদপ্তর ও ওয়ার্ল্ড ফিস বাংলাদেশ যৌথভাবে ইকোফিস প্রকল্পের টিম লিডার অধ্যাপক ড. আব্দুল ওহাব এর নেতৃত্বে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোনিত প্রধান গবেষক প্রফেসর ড. একেএম নওশাদ আলম এ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন।
তিনি বলেন, ২০১৬ সাল থেকে এ কাজ শুরু হলেও এক বছর শেষ ২০১৭ সালে শুরুতে আমাদের কাছে দুটি পণ্য সরবরাহ করা হয়। এ পণ্য দুটির গুনগতমাণ পরীক্ষার জন্য আমরা প্রথমে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) এ নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠাই। তারা নমুনা বিশেষণ করে নমুনায় যথাযথ মান সমৃদ্ধ বলে রিপোর্ট দিয়েছে। তার পরেও সিঙ্গাপুরের একটি পরীক্ষাগারেও এটি পরীক্ষা করা হয়েছে। আমাদের নির্বাচিত পার্টনার প্রতিষ্ঠান ভার্গোফিস এন্ড এ্যাগ্রো প্রেসেসেস লিমিটেডের বেশ কিছু কারিগরকে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে। আগামী ৬ তারিখ এ প্রতিষ্ঠানের কাছে অনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রযুক্তি হস্তান্তর করা হবে। এ প্রযুক্তি হস্তান্তরের ফলে এ প্রতিষ্ঠান ইলিশের স্যুপ ও নুডুলস তৈরির বাণিজ্যিক বাজারজাতকরণসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট এক গবেষক জানান, এটি সংরক্ষণ করে সারা বছর খাওয়া যাবে।পুষ্টিমান ঠিক থাকা, মেগা -৩, ফ্যাটি এ্যাসিড থাকার কারণে এ সব পণ্য সব বয়সের মানুষ গ্রহণ করতে পারেন। বয়স্ক, হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো, শিশু ও পুষ্টিহীন মায়েদের জন্য সহায়ক খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। ইলিশ মাছের উদ্ভাবিত ভ্যাল্্ুয এ্যাডেড পণ্যগুলো পাওয়া যাবে পাউডার ও কিউব আকৃতির। যা স্যুপ, নুডুলসসহ বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে খাওয়া যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ