পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : জাহাজ নির্মাণশিল্পেও ডেনমার্কের সহায়তা চেয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, নানা ক্ষেত্রে দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। ডেনমার্কের সঙ্গে কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ বিষয়ে সহযোগিতা বাড়ানো যায়।
গতকাল রোববার পরিকল্পনামন্ত্রীর নিজ দফতরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত মিকায়েল হেমনিটি উইনথার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে মতবিনিময় করেন। পরিকল্পনা মন্ত্রী ডেনমার্কের সঙ্গে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
নারীর ক্ষমতায়নে বর্তমান সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের তথ্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীকে বাইরে রেখে কখনও দেশের কাক্সিক্ষত উন্নয়ন সম্ভব নয়। সারাদেশে নারী উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের নারীরা এখন পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শিক্ষা, খেলাধুলা এবং বিভিন্ন সৃজনশীল কাজে এগিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকার সারাদেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিউনিটি স্বাস্থ্য ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেছে। এখন জনগণ মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে।
বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাষ্ট্রদূত মিকায়েল হেমনিটি উইনথারের দায়িত্ব পালনকালে এ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে।
বাংলাদেশে ডেনিশ অর্থায়নে পরিচালিত বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের সুযোগ দেয়ার জন্য ডেনিশ রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে মিকায়েল হেমনিটি উইনথার এ দেশে দায়িত্ব পালনকালে সব ধরনের সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতিও মন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আমরা পরস্পরের সহযোগী হিসেবে কাজ করে যেতে চাই। মিকায়েল হেমনিটি উইনথার বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতির প্রশংসা করে জানান, ডেনমার্ক বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে সহযোগী হিসাবে কাজ করতে চায়। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, এলএনজি, এলএনজি টার্মিনাল নিয়ে এ সময় আলোচনা হয়।
তিনি আরও বলেন, ডেনমার্কের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এলএনজি ও এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নে ডেনমার্ক সরকারের আগ্রহের কথাও তিনি ব্যক্ত করেন। নিজ দেশে নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে চলে আসা মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ডেনমার্ক বাংলাদেশের এক অকৃত্রিম বন্ধু। তিনি বাংলাদেশের অগ্রগতির বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করে বলেন, বর্তমান সরকারের গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। সরকারের বিনিয়োগবান্ধব বিভিন্ন কর্মসূচির ফলে বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত লাভজনক দেশে পরিণত হয়েছে। তিনি সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতি কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে ডেনমার্কের বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের উজ্জ্বল পরিবেশ বিরাজ করছে। ভিশন ২০২১ ও ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়ন করতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন। আমাদের কয়লা, গ্রানাইট, সমুদ্রে তেল, গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে বিনিয়োগের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। এ সব জায়গায় বিনিয়োগ করতে তিনি ডেনমার্কের ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান।
মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার কথা উল্লেখ করে তাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতার কথাসহ সরকারের সাহসী উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী। মন্ত্রী দু’দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তারা আশা প্রকাশ করেন, অর্থনীতির সম্ভাবনাময় খাতসমূহের উন্নয়নে দু’দেশের অব্যাহত অংশীদারিত্ব ভবিষ্যতে আরও বেগবান হবে।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।