Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

প্রশাসনে শূন্যপদ পূরণে দক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগের সুপারিশ

সচিব সভা অনুষ্ঠিত

| প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে মোকাবেলা এবং যে কোনো মূল্যে জনস্বার্থ রক্ষা করে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ত্বরান্বিত করতে প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা সচিবরা একমত হয়েছেন। ৫৭টি মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যাগ এবং প্রতিশ্রæতি ভিত্তিক অগ্রগাধিকার প্রকল্প দ্রæত শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সচিবরা। প্রশাসনে শুন্য পদ পুরণে দক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগের সুপারিশ এবং সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সভাপতিত্বে সচিব সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গুরুত্বপূর্ণ এই সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। আগামীতে যেকোন সময় হবে বলে জানা গেছে। সভায় প্রধামন্ত্রীর মুখ্য সচিব সিনিয়র সচিব মো: নজিবুর রহমান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোজাম্মেল হক খান, এন এম জিয়াউল আলম (সচিব, সমন্বয় ও সংস্কার) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আব্দুল মালেক, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ সচিব নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, লেজিসলেটিভ সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বসু, ভুমি সচিব আব্দুল জলিল, শিল্প সচিব মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলামসহ ৭০জন সচিব অংশ নেন। সভায় ২২ জন সচিব বক্তব্য রাখেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ৫৭টি মন্ত্রণালয়ে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতিসহ ২৬ দফার তথ্য চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের দুই মাসে আগে চিঠি দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এসব ২৬ দফা নির্দেশনা ও উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন সচিবরা। এছাড়া এখনো অনেক মন্ত্রণালয় তাদের পুরানো প্রকল্পের কাজ সম্পুন করতে পারেনি। সেই মন্ত্রণালয়গুলোকে তাদের প্রকল্পের কাজ দ্রæত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এধাধিক সচিবের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সচিব বলেন, মূখ্য সচিব স্যার সচিব সভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিয়েছেন, সেই বক্তব্য অনেক গুরুত্ব বহন করে। তিনি বলেছেন, বড় বড় প্রকল্পে অদক্ষ্য প্রকল্প পরিচালক রয়েছে সেগুলোকে বাদ দিয়ে দক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হবে।
সভায় প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগকে সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে জনগণের সম্পৃক্ততা, জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণ ও সচেতন করতে গণমাধ্যমের প্রচার করতে বলা হয়। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, নারীর ক্ষমতায়ন কার্যক্রমসমূহ, সবার জন্য বিদ্যুৎ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও শিশু বিকাশ, আশ্রায়ণ প্রকল্প, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রম, বিনিয়োগ বিকাশ এবং পরিবেশ সুরক্ষাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্যোগ হিসেবে চিহ্নিত করেছে সরকার। এসব উদ্যোগ প্রচারের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
সভায় ১০টি খাত চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে সরকার। সভায় বলা হয়, দিন পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় বছরে বছরে বাজেট আসছে, এবারও তাই এসেছে। চ্যালেঞ্জ হচ্ছে পরিবেশ, বৈষম্য, নারীর ক্ষমতায়ন, জ্বালানি নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা সচিবদের সঙ্গে বৈঠককে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে জোর তৎপরতা চলেছে গত কয়েক দিন। বিশেষ করে সরকারের বিগত দিনের উন্নয়ন চিত্র, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ ও ফার্স্ট ট্র্যাকভুক্ত উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নের অবস্থা, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রæতি বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন ইস্যুর সর্বশেষ অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেছেন সচিবরা। মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের পাঠানো উনয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি প্রতিবেদন নিয়ে আগামীতে যে কোন সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবগত করা হবে।
আগামী অক্টোবরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরে ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের তালিকা দেশের সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরা এবং গণমাধ্যমে প্রচার করা হবে বলে সভায় আলোচনা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ