পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা আহমাদ শফী ও মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী গত ৫ মে ২০১৩ এর পর থেকে নতুন কোনো ইস্যুতে আন্দোলনের ডাক দেননি। হাতে গোনা কয়েকটি বিষয় ছাড়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিবৃতিও দেননি। তাদের নাম ব্যবহার করে একশ্রেণীর রাজনৈতিক নেতা কর্মসূচী দেওয়া এবং স্থগিত করার ব্যবসা করেছেন। কিছু নেতা ২/৪টি আসনের জন্য রীতিমতো মানহানিকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। ঈমান ও ইসলামের জন্য জাতির সাথে করা কমিটমেন্ট থেকে তাদের অনেকেই এখন লক্ষ মাইল দূরে। দেশের হাজার হাজার আলেমের আবেগকে পদদলিত করে সরকারী এজেন্টদের ইচ্ছানুযায়ী শাপলা ট্র্যাজেটির পর হেফাজতের শুরা ও আমেলার আনুষ্ঠানিক কার্যকারিতাও স্থগিতের মতো। একান্ত ঘরোয়া বৈঠক ও কিছু ‘শানে রিসালত’ সম্মেলন ছাড়া হেফাজত এখন কেন্দ্রীয় পর্যায়ে নাই বললেই চলে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আলেম ওলামারা সারাজীবন বাতিলের বিরুদ্ধে যতো প্রতিবাদ প্রতিরোধ করেছিলেন, তাদের এসব কাজই হেফাজতের কেন্দ্রীয় গাফিলতির ফলে বর্তমানে দিকহারা হয়ে গেছে। শত বছরের তৌহিদি গণআন্দোলন জনগণের আস্থা হারিয়ে ছত্রখান হয়ে গেছে। নামমাত্র হেফাজত টিকে থাকায় এসব আলেম না পারছেন নিজেদের মতো আন্দোলন করতে, আর না পারছেন হেফাজতের ব্যানারে কাজ করতে। বহু জেলার ওলামায়ে কেরাম নানা প্রয়োজনে শত শত মাইল পাড়ি দিয়ে হাটহাজারি গেলেও ঈমানী আন্দোলনের ব্যাপারে সেখান থেকে কোনো দিকনির্দেশনা না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে আসছেন। ৬৪ জেলার হাজারো আলেমের কণ্ঠে এখন হতাশার সুর। তারা না পারছেন কইতে আর না পারছেন সইতে, অবস্থায় আছেন। বিশেষ করে সরকারের তরফ থেকে যখন বলা হচ্ছে যে, ‘হেফাজত বর্তমানে আমাদের যোগাযোগের মধ্যে রয়েছে। এ নিয়ে আমাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। যখন চাই তাদের দিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলি, যখন চাই কর্মসূচি স্থগিত করিয়ে দেই।’ এরপর আর হেফাজত থাকা না থাকার মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকে না। রাষ্ট্রধর্ম, শিক্ষানীতি ও মূর্তি বিরোধী আন্দোলনে একরকম সফলতা এলেও এসবের কোনো ফলোআপ হেফাজতে ইসলাম করেনি। যার ফলে এসব বিষয়ই এখন তার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার দাবী উঠেছে এবং ক্ষেত্র বিশেষে নিরবে কাজও চলছে। কোনো কোনো নেতা নিজ দায়িত্বে মাঝে মাঝে বিবৃতি দিয়ে হেফাজতকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। দায়সারা এসব বিবৃতি সম্পর্কে হেফাজত কর্তৃপক্ষ জানেন তো নাই, পড়ে দেখেন কি না তাতেও সন্দেহ আছে। শোনা গেছে, সময়োপযোগী বিবৃতি দেওয়ার অপরাধে বিশেষ মহলকে খুশি করার জন্য প্রেস সচিব মুনির আহমদকে শফীপুত্র আনাস পত্রপাঠ বিদায় করে দিয়েছেন। রাজধানীর হাতিরঝিলে পুরনো মসজিদ ভেঙ্গে ফেলা সম্পর্কে হেফাজতের কোনো কর্মসূচী না থাকা দেশের মানুষকে চরম হতাশ করেছে। অনেকে বলছেন, এটি বর্তমানে আর হেফাজতে ইসলাম নেই। হেফাজতে আওয়ামীলীগ হয়ে গেছে। গতকাল এক বিবৃতিতে সম্মিলিত ইসলামী শক্তির যুগ্ম আহŸায়ক মুফতী আব্দুল্লাহ কাসেমী এসব কথা বলেন। হেফাজত নেতৃবৃন্দের কাছে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, তৌহিদি জনতাকে আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাসের প্রত্যয় দিয়ে যে ১৩ দফা আপনারা দিয়েছিলেন তা থেকে দয়া করে সরে যাবেন না। দেশের মানুষ এখনো ঈমান রক্ষার আন্দোলনে হেফাজত নামটিকে একটি বরকতের প্রতিক বলে মনে করে। নিজেদের কর্মকাÐে একে আর নিচে নামাবেন না।
তিনি আরও বলেন, গত শুক্রবার রাতে ফেনীর মিজান ময়দানে জেলা হেফাজতের উদ্যোগে আয়োজিত শানে রিসালাত সম্মেলনে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দানকালে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, মাজারের নামে সন্ত্রাস ও জঙ্গি কর্মকান্ড সহ্য করা হবে না। দেশের মাজারগুলোতে তল্লাশি চালান। এদেশের অনেক মাজারে অস্ত্রের গুদাম রয়েছে বলে মন্তব্য করেন হেফাজতের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী। তিনি আরো বলেন, যারা ইসলামকে ধ্বংস করতে চায় তারা ইসলামের শত্রæ। প্রিয় নবীর রক্ত মাখা ইসলামের উপর যদি আঘাত হানা হয় তবে তা রক্ষা করার জন্য সকল মুসলমান ঐক্যবদ্ধ হয়ে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিতে হবে। তিনি বলেন কিছুদিন আগে সিলেটের জয়ন্তপুর জাফলংয়ে একটি কওমী মাদরাসায় দ্বীনি মাহফিল চলাকালে সেখানে কিছু মোশরেক বেদয়াতি মাজার পূজারী হামলা করে দু’জন নিরীহ ছাত্রকে হত্যা করে এবং তখন ৫০ জনের মতো আলেম ওলামা আহত হয়েছিল। আমরা এ হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ করেছিলাম। এদের যদি দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি না হয় বাংলার মাটিতে একটা মাজারও থাকতে দেওয়া হবে না। তিনি সরকার ও প্রশাসনের কাছে দাবি জানান, আপনারা মাজারে তল্লাশী চালান, অনেক মাজারকে অস্ত্রের গুদাম বানানো হয়েছে। মাজারের নামে সন্ত্রাস সহ্য করা হবে না, মাজার পুজারীরা সন্ত্রাসী, জঙ্গি। দেশে এরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। দিনব্যাপি সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন, ভারতের দেওবন্দ মাদরাসা থেকে আগত সৈয়দ আজহার মাদানী, হেফাজতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাও. আজিজুল হক ইসলামাবাদী প্রমুখ। এর আগে ২৭ শে ফেব্রæয়ারি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া বরইতলীতে খতীবে আজম মাওলানা সিদ্দিক আহমদ রহ. প্রতিষ্ঠিত ফয়জুলু উলুম মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিলের প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, জৈন্তাপুরে মুশরিক বেদাআতি মাজারপুজারী আটরশী কর্তৃক শান্তিপূর্ণ ওয়াজ-মাহফিলে ক্বওমী মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষকদের ওপর হামলা চালিয়ে দুইজন আলেম হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ও দারুল উলুম হাটহাজারী মাদরাসার শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। তিনি বলেন, অবিলম্বে এই মুশরিক মাজার পুজারীদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় যে কোন উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সরকারকেই দায়ী থাকতে হবে। হক্কানী ওলামায়ে কেরাম ও তৌহিদী জনতা গর্জে উঠলে এদের অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যাবেনা। আল্লামা বাবুনগরী বলেন, এরা মাজার ব্যবসার মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মুশরিক বানাচ্ছে। জৈন্তাপুরে আলেম হত্যা প্রমাণ করে এরা উগ্রসন্ত্রাসী। দেশে ফিতনা সৃষ্টকারী। এরা শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকী। তিনি প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন, আটরশিসহ এসব মাজার ব্যবসায়ী সন্ত্রাসীদের আখড়া গুলি তল্লাশি করুন। এদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করুন। মাদরাসার মুহতামিম ও খতীবে আজম রহ. সাহেবজাদা মাওলানা সোহাইব নোমানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে আরো বক্তৃতা করেন, মাওলানা আজিজুল হক আলমাদানী, ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী প্রমুখ।
মাজার অর্থ কবর। আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ও অন্য যেসব বক্তা এখন ক্ষোভ বশত: দেশের সব মাজার গুঁড়িয়ে দেওয়ার কথা বলছেন। খানকাহ ও মাজারে পুলিশি তল্লাশির দাবী জানাচ্ছেন, এসবে অস্ত্র ভাÐার আছে বলছেন। তিনি তার প্রতিপক্ষকে মুশরিক, কবরপূজারী, সন্ত্রাসী, জঙ্গী, প্রয়োজনে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেওয়া ইত্যাদি বলছেন। একই ধরনের কথা গত কয়েকদিন হেফাজত সমর্থক শতশত আলেম দেশের প্রায় সব মাহফিলে বলতে শুরু করেছেন। অন্য পক্ষও সমান তালে এ ভাষায়ই কথা বলছে। বাবুনগরী সাহেবও চাইবেন না যে, কোনো ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সা. এর মাজার গুঁড়িয়ে দিক। পীর মাশায়েখের মাজার গুঁড়িয়ে দিক। তার উস্তাদ ও মুরব্বীদের মাজার গুঁড়িয়ে দিক। পুলিশ প্রতিপক্ষের দাবীতে কওমী মাদরাসাগুলো তল্লাসি করুক। কেউ বলুক যে, মাদরাসাগুরো উগ্রপন্থিদের আস্তানা। এসব অস্ত্রের ভাÐার। খারাপ কথা মুখে আনতে নেই। এর উসিলা ধরেই দুষমনরা সবধরনের ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক কেন্দ্রে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে থাকে। যদি সুনির্দিষ্টভাবে কোনো দরবার বা আস্তানার ব্যাপারে অভিযোগ থাকে তাহলে তিনি সরকারকে তা জানাতে পারেন। কিন্তু ঢালাওভাবে সবাইকে সন্ত্রাসী, উগ্রপন্থি ও সব মাজার গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দের মুখে শোভা পায় না। পাশাপাশি সময়ে জৈন্তাপুরের পর চুনারুঘাটে একজন সুন্নীপন্থী বৃদ্ধ বিশিষ্ট লোককে ফজরের নামাজে যাওয়ার পথে কে বা কারা নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। এসব যে কত ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে দেশ ও জাতিকে ঠেলে দিতে পারে তা অন্যরা না হোক নেতৃবৃন্দের পক্ষে বোঝা কঠিন নয়। আশাকরি আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ও অন্যান্য দায়িত্বশীলরা বক্তৃতার সময় চিন্তা করে বাক্য ও শব্দ প্রয়োগ করবেন। যাতে দেশ শান্তি ও নিরাপত্তার পথে থাকে। দেশ যেন ইরাক ও সিরিয়ায় পরিণত না হয়। এমনিতেই দেশের সীমান্তবর্তী জৈন্তাপুরে ধর্মীয় দুটি গ্রæপের দ্ব›েদ্ব যে হতাহতের ঘটনা ঘটে গেল এ নিয়ে দেশের চিন্তাশীল নাগরিকগণ চরম উদ্বিগ্ন। ঘটনা খুবই দুঃখজনক। একটি মাহফিলে ভিন্নমতের আলেমকে এজন্য দাওয়াত করে আনা হয় যেন তিনি তাদের মতের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তখন একটি ঝগড়া বাধিয়ে তাকে শায়েস্তা করা যায়। এটি কোনো স্বীকৃত পদ্ধতি নয়। যুগ যুগ ধরেই এদেশে ধর্মীয় অঙ্গনে নানামতের মানুষ পাশাপাশি বসবাস ও নিজ নিজ ধ্যান ধারণার আলোকে ধর্ম কর্ম করে এসেছেন। কেউ কাউকে ধরে ফেলা, মেরে ফেলা বা কায়দা করে ডেকে নিয়ে হত্যা করা এসব কাজ এদেশে ছিল না। সিলেটের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কথিত মাজারপন্থি ও কওমী ঘরানার মধ্যে এমন অনভিপ্রেত হতাহতের ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। যে আলেমকে হত্যা করা হয়েছে, যারা আহত হয়েছেন, তাদের ক্ষতিপূরন ও উপযুক্ত বিচার সরকারকে করতে হবে। এর ফলে সৃষ্ট উত্তেজনা প্রশমন খুবই জরুরী। বিক্ষুব্ধ মানুষ যে পক্ষের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে তাদেরও পুনর্বাসন দরকার। এপর্যায়ে আলেমসমাজকে খুবই ধৈর্য ও প্রজ্ঞার সাথে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সরকার ও প্রশাসনকে থাকতে হবে শতভাগ সজাগ ও তৎপর। কারণ, যে কোনো পক্ষের সামান্য ভুলের জন্য দেশ মারাত্মক সংকটে নিপতিত হতে পারে। রোহিঙ্গা সমস্যা, আসামে মুসলমানের সমস্যা ও শ্রীলংকায় মুসলিমদের উপর নতুন করে অত্যাচার থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। কোনো শত্রæ যেন বাংলাদেশেও ধর্মীয় ভিন্নমতের ছত্রছায়ায় মুসলিম নিধনের সুযোগ না নিতে পারে। যেন তারা অবুঝ লোকেদের ব্যবহার করে ছায়াযুদ্ধ শুরু করতে না পারে। এবিষয়ে সরকারসহ সকল নাগরিককে চোখ কান খোলা রাখতে হবে। গতকালের বিবৃতিতে সম্মিলিত ইসলামি শক্তি নেতৃবৃন্দ এসব কথাও বলেন।
তারা বিবৃতিতে আরও বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, উস্কানিমূলক বক্তৃতা বিবৃতি বিষয়টিকে শুধু বড়ই করবে। এতে সারাদেশে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও মারামারি লাগবে। যা দেশের জন্য মোটেই শুভকর নয়। ওলি আউলিয়াদের মাধ্যমে ইসলাম প্রচারিত হওয়ায় এদেশে বহুমত নিয়েও মুসলমানরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতির জন্যও এদেশের মুসলমানরা বিশ্বে প্রশংসিত। এমতাবস্থায় কোনো অসতর্ক উক্তি যেন দেশে কওমী ও মাজারভক্ত শ্রেণীর মধ্যে মারামারি, কাটাকাটির পরিবেশ তৈরি করতে না পারে সে দিকে সকলের খেয়াল রাখতে হবে। কেননা, ১৫ কোটি মুসলমানের দেশে শান্তি নষ্ট ও দাঙ্গা বাধানোর লোকের অভাব নেই। কোনো কারণে অশান্তি শুরু হলে এটি নিয়ন্ত্রণের ভেতর থাকবে না। ইহুদি, নাসারা, মুশরেক, নাস্তিক-মুরতাদসহ সকল শক্তি নেপথ্যে থেকে এ অশান্তির আগুনে ঘি ঢালবে। যেমন মধ্যপ্রাচ্যসহ মুসলিম বিশ্ব আজ দুষমনের দেওয়া আগুনে পুড়ছে। আমরা ধর্মীয় অঙ্গনের সকল মতের মানুষকে শান্তি বজায় রেখে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের আহŸান জানাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।