পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিরীহ মানুষকে হত্যা করলে কেউ বেহেশতে যেতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশিষ্ট লেখক ও অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা এই ঘটনাগুলি ঘটায় তারা মনে করে একটা মানুষ খুন করলেই বুঝি তারা বেহেশতে চলে যাবে। তারা কোনোদিন বেহেশতে যাবে না, তারা দোজখের আগুনে পুড়বে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ নিরীহ মানুষকে হত্যা করলে কেউ বেহেশতে যেতে পারে না।
রোববার (৪ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আয়োজিত বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ (এনএসটি) এবং গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাহলে তারা এই অন্ধত্বে ভুগছে কেন? যদিও আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই বাংলাদেশে কোনোরকম সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ আমরা চলতে দেব না। মাদকের বিরুদ্ধেও আমরা অভিযান চালাচ্ছি। আমাদের শিক্ষক, অভিভাবক, মসজিদের ইমাম থেকে শুরু করে অন্যান্য ধর্মের প্রত্যেককে যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই সকলের প্রতি আমি জঙ্গিবাদ বিরোধী আহবান জানাচ্ছি।
এই সভার মাধ্যমেও এজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যেসব পাবলিক মিটিং করেন সেখানেও তিনি আহবান জানান, মাদক, সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ থেকে সকলে মিলে ছেলে-মেয়েকে মুক্ত রাখতে হবে এবং এজন্য যা যা করণীয় সবাইকে তাই করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের এত মেধাবী ছেলে-মেয়ে তারা যেন কেউ বিপথে না যায় সেটাই আমরা চাই। কারণ দেশকে আমাদের সেভাবে গড়ে তুলতে হবে। আমরা আর পিছিয়ে যাব না। সামনের দিকে এগোবো এবং বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলবো।
বাংলাদেশের বিপুল সমুদ্র সম্পদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বিজ্ঞানী ও গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে বিপুল সমুদ্র সম্পদ রয়েছে। ব্লু-ইকোনমির এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। এ জন্য বিজ্ঞানী ও গবেষকদের নতুন নতুন গবেষণা এবং উদ্ভাবনে কাজ করতে হবে। সমুদ্র সম্পদ রক্ষায় পদক্ষেপ নিয়েছি। যা আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে লাগবে। চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমুদ্র বিজ্ঞান বিষয়ে পাঠদান করা হচ্ছে,’ -বলেন প্রধানমন্ত্রী।
কক্সবাজারে সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিউট প্রতিষ্ঠার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সমুদ্রপাড়ে একটি সি অ্যাকুরিয়াম গড়ে তুলবো। এটি গবেষণায় যেমন প্রয়োজন, তেমনি পর্যটক আকর্ষণেও ভূমিকা রাখবে। তিনি গবেষণার জন্য সরকারের জাহাজ ক্রয় সহ বিভিন্ন উদ্যোগের তথ্য এসময় তুলে ধরেন।
গবেষণায় সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের পাট তো ধ্বংস করেই দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে পাটকে আমরা বহুমুখী করার চেষ্টা করছি। গবেষণা করে পাটের জিনোম উদ্ভাবন করা হয়েছে।
সরকার প্রধান বলেন, ধানের গবেষণা করা হচ্ছে। বস্ত্রের উন্নয়নে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ইনস্টিটিউট গঠন করা হয়েছে, যারা এসব ক্ষেত্রের উন্নয়নে কাজ করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের পরমাণু কমিশন রয়েছে, যা জাতির পিতা করে দিয়ে গিয়েছিলেন। বর্তমানে আমরা পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ছি। এজন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোকবল দরকার। সেভাবে ট্রেনিংও দেওয়া হবে। পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য বিজ্ঞানী ও গবেষক দরকার। কয়েকটা ধাপে এর নিরাপত্তা থাকবে। আমরা সেভাবেই পদক্ষেপ নিয়েছি।
বাংলাদেশ স্যাটেলাইট যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সমুদ্রের তলদেশে (নেভির সাবমেরিন) গিয়েছি, স্যাটেলাইটও উৎক্ষেপণ হবে। অচিরেই যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আফম রুহুল হক। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। বাসস
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।