পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : দেশের উল্লেখযোগ্য ৩০টি রফতানি খাতের মধ্যে ১৯টিতে আয় কমেছে এবং ১১টিতে বেড়েছে। মোট রফতানি আয়ের ৯৭ শতাংশ আসে ৮টি পণ্য থেকে। এগুলো হচ্ছে তৈরি পোশাক, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, কৃষি পণ্য, ওষুধ, রাসায়নিক পণ্য ও অন্যান্য পণ্য থেকে। এর মধ্যে তৈরি পোশক খাত থেকেই আসে ৮৪ শতাংশ। বাকি তিন শতাংশ আসে অন্যান্য খাত থেকে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত এই সাত মাসের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, দেশের রফতানি আয় পোশাক খাত নির্ভর বলে এই খাতে আয় কমলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে অন্য খাতে। আর পোশাক খাতে বেড়ে অন্য খাতে কমলেও এর তেমন নেতিবাচক প্রভাব পড়ে না। গত জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ১৯টি খাতে রফতানি আয় কমলেও শুধু পোশাক খাতে আয় বাড়ার কারণে সার্বিক রফতানি আয়ে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি।
ইপিবির প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারির তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে রফতানি আয় বেড়েছে মাত্র সাড়ে ছয় শতাংশ। ওই সময়ে রফতানি আয় হয়েছে দুই হাজার ১৩৩ কোটি ডলার। যদিও তা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম। ওই সময়ে লক্ষ্যমাত্রা ছিল দুই হাজার ১৩৭ কোটি ডলার।
আলোচ্য সময়ে পোশাক খাতে রফতানি আয় বেড়েছে প্রায় সাড়ে সাত শতাংশ। এ ছাড়া হিমায়িত খাদ্য, কৃষি পণ্য, হস্তশিল্প পণ্য, পেপার, পাল্প, সুতা, পাট ও পাটজাত পণ্য, মানুষের চুল, ভবন নির্মাণ সামগ্রীর রফতানি আয় বেড়েছে।
অন্যদিকে শিল্প পণ্য, রাসায়নিক পণ্য, প্লাস্টিক পণ্য, উল, হাতে তৈরি সুতা, কার্পেট, স্পেশালাইজড টেক্সটাইল, রাবার, চামড়া, হোল টেক্সটাইল, হ্যাঙ্গার, সিরামিক, গøাস, ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, জাহাজ এসব খাতে রপ্তানি আয় কমেছে।
চলতি অর্থবছরে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তিন হাজার ৭৫০ কোটি ডলার। এর মধ্যে পোশাক খাত থেকেই ধরা হয়েছে তিন হাজার ১৬ কোটি ডলার। বাকি ৭৩৪ কোটি ডলার ধরা হয়েছে অন্যান্য খাত থেকে।
এদিকে আগামী ২০২১ সালে দেশের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ছয় হাজার কোটি ডলার। গত অর্থবছরে অর্জিত হয়েছে তিন হাজার ৪৬৬ কোটি ডলার। আগামী চার বছওে রফতানি আয় আরও দুই হাজার ৫৩৪ কোটি ডলার বাড়াতে হবে। যা মোট রফতানি আয়ের প্রায় ৪০ শতাংশ। এই লক্ষ্য অর্জনে সরকার রফতানি পণ্যের বহুমুখীকরণ এবং বাজার সম্প্রসারণের উপর বেশি জোর দিয়েছে। যে কারণে এখন উদ্যোক্তাদের নতুন বাজার সন্ধানের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এখন রফতানি পণ্যের মূল্য পুরোটা দেশে আনার বাধ্যবাধকতা নেই। এসব অর্থ উদ্যোক্তারা বিদেশে ব্যবসায়িক কাজে ব্যয় করতে পারেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।