Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রিট খারিজ, নিজাম হাজারীর এমপি পদ বৈধ

| প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ফেনী-২ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) নিজাম উদ্দিন হাজারীর পদে থাকা নিয়ে রিট খারিহ করে দিয়েছেন হাইকোর্টের একটি একক বেঞ্চ। যে রিট আবেদনটি শুনতে হাইকোর্টের ডজনখানেক বেঞ্চ বিব্রত হয়েছিল। রায়ে আদালত বলেছেন, জনস্বার্থে রিট আবেদনটি করার কথা বলা হলেও এর পেছনে অসৎ উদ্দেশ্য ও ব্যক্তিগত স্বার্থ’ ছিল বলে আদালতের মনে হয়েছ। সেই বিবেচনায় এ মামলাকে জনস্বার্থে বলা যায় না। রিট মেনটেইনেবল না হওয়ায় রুল খারিজ করা হল। চার বছর আগে দেয়া রুলের নিষ্পত্তি করে বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকীর একক বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার এ রায় দেন। ফলে ফেনীর নিজাম হাজারীর এমপি পদে থাকার বৈধতা নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন থাকল না বলে তার আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
আদালতে নিজাম হাজারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও নুরুল ইসলাম সুজন। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন কামরুল হক সিদ্দিকী ও সত্যরঞ্জন মন্ডল।২০১৪ সালের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন যুক্ত করে নিজাম হাজারীর এমপি পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনটি করেন ফেনী জেলা ফেনী জেলার যুবলীগের এক নেতা।
এর আগে তিনটি বেঞ্চ ওই মামলা শুনতে বিব্রত বোধ করে। পরে বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের বেঞ্চ প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ৮ জুন রুল জারি করে। নিজাম হাজারী কোন কর্তৃত্ববলে ওই আসনে সংসদ সদস্য পদে আছেন এবং ওই আসনটি কেন শূন্য ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয় রুলে৷
রুলের উপর শুনানি নিতে ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চের এক বিচারপতি এবং পরে ২ ডিসেম্বর অন্য একটি দ্বৈত বেঞ্চ বিব্রতবোধ করে। প্রধান বিচারপতি এরপর বিষয়টি শুনানির জন্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হকের নেতৃত্বাধীন দ্বৈত বেঞ্চে পাঠান। ২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্টে রুলের উপর শুনানি শুরু হয়। এতে নিজাম হাজারীর কারাবাসের সময় ও রেয়াতের বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়। সেইসঙ্গে নিজাম হাজারীর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে করা মামলার রায় ও নথিপত্র দাখিল করতে বলে। ২০১৬ সালের ৩ অগাস্ট শুনানি শেষ করে আদালত ১৭ অগাস্ট রায়ের দিন ঠিক করে দিলেও ওইদিন নতুন একটি নথি চাওয়া হলে রায় পিছিয়ে যায় ২৩ অগাস্ট। কয়েক দফা রায়ের তারিখ পেছনোর পর ওই বছরের ৬ ডিসেম্বর বিভক্ত রায় ঘোষণা করে হাইকোর্ট। এতে একজন বিচারক নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্য পদ অবৈধ ঘোষণা করলেও অপর বিচারক তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন। ফলে প্রধান বিচারপতি মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য একক বেঞ্চ গঠন করে দেন। তিনিও বিব্রতবোধ করেন। এরপর বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি এ এফ এম আবদুর রহমান, বিচারপতি ফরিদ আহমেদ ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের একক বেঞ্চে শুনানিতে তারাও বিব্রতবোধ করেন। এরপর রিটের নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর পর তিনি বিচারপতি মো.আবু জাফর সিদ্দিকীর বেঞ্চে মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য পাঠান। দুই পক্ষের বক্তব্যের শুনানি শেষে বিচারক গত মঙ্গলবার এ বিষয়ে রায়ের জন্য ১ মার্চ দিন নির্ধারণ করে দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ