পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বর্তমানে দেশে প্রায় ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, দেশে এক সময় দিনে আঠার ঘণ্টা লোড শেডিং থাকলেও এখন তা প্রায় শূন্যের কোঠায়।
বৃহস্পতিবার (০১ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘নবম আন্তর্জাতিক বাংলাদেশ ইনফ্রাসট্রাকচার ইনোভেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এক্সপো অ্যান্ড ডায়ালগ-২০১৮’ এর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা), পাওয়ার সেল এবং বেসরকারি আয়োজক সংস্থা এক্সপোনেট এক্সিবিশন (প্রাঃ) লিমিটেড যৌথভাবে এ প্রদর্শনী ও সংলাপের আয়োজন করে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, পরিবেশবান্ধব সবুজ শিল্পায়ন আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার। জিরো পল্যুশন ও জিরো এক্সিডেন্ট নীতির ভিত্তিতে সরকার শিল্পায়নের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছে। শিল্পকারখানার ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে দেশিয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় নতুন নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে অনেক আন্দোলন হলেও এর উপযোগিতা থাকায় সাফল্যের সাথে এ প্রকল্প এগিয়ে যাচ্ছে। পরিবেশ, জীব বৈচিত্র্য ও জননিরাপত্তার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে এটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
আমির হোসেন আমু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নির্দেশনায় শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের শিল্পখাত এগিয়ে যাচ্ছে। তৈরি পোশাক শিল্পের পাশাপাশি এদেশের ওষুধ, পাদুকা, সিরামিক, প্লাস্টিক, জাহাজ নির্মাণসহ উদীয়মান শিল্পখাতগুলো বিকশিত হচ্ছে। বাংলাদেশের তৈরি ওষুধ বিশ্বের একশ’ ৫১টি দেশে রফতানি হচ্ছে। পাদুকা উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের অষ্টম স্থান দখল করে আছে। বাংলাদেশে নির্মিত জাহাজ ডেনমার্ক, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ফিনল্যান্ডসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং ভারত ও পাকিস্তানে রফতানি হচ্ছে। বিশ্ব সম্প্রদায় এখন বাংলাদেশের উন্নয়ন ও শিল্পায়ন কৌশল সম্পর্কে জানতে কৌতূহলী বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ.খান, এক্সপোনেট এক্সিবিশন (প্রাঃ) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ রাশেদুল হক প্রমুখ।
উল্লেখ্য, চার দিনব্যাপী আয়োজিত এ আন্তর্জাতিক পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণ ও জ্বালানি প্রযুক্তি প্রদর্শনীতে বিশ্বের সাতটি দেশের ৬২টি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিনা প্রবেশ মূল্যে সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।