পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেছেন, গুরুত্বপূর্ণ এ মামলার নথি তলব করে হাইকোর্ট আদেশ দেয়ার পর তা নি¤œ আদালত থেকে আসার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময়ই যথেষ্ট ছিল। আমরা আশা করছি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নি¤œ আদালতথেকে খালেদা জিয়ার মামলার সকল নথিপত্র হাইকোর্টে চলে আসবে। আর যদি না আসে তাহলে আমরা মনে করব সরকার ইচ্ছা করেই নথি আসতে বিলম্ব ঘটাচ্ছে। তিনি আরো বলেন,আমরা কোনোদিন দেখি নাই যে, জামিন আবেদন শুনানি করে রেখে দেয়া হয় নি¤œ আদালতের নথিপত্র আনার জন্য। গতকাল বুধবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির রুমে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন উপস্থিত ছিলেন।
জয়নুল আবেদীন বলেন, সরকার খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের বিষয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে এবং রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। সরকারের এ ধরনের ফাঁদে পা দেবেন না আইনজীবীরা। তিনি আরো বলেন, আমরা কোনোদিন দেখি নাই যে, জামিন আবেদন শুনানি করে রেখে দেয়া হয় নিম্ন আদালতের নথিপত্র আনার জন্য। তিনি বলেন, সরকার পক্ষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বক্তব্য দিয়ে আদালতকে প্রভাবিত করেছেন। তিনি বলেন, এই মামলা পরিচালনায় আইনজীবীদের ভুল হয়েছে আইনমন্ত্রীর এমন বক্তব্য ঠিক নয়। তার চিন্তা করা উচিত, বোঝা উচিত ছিলো এমন মন্তব্য করার ক্ষেত্রে। আমরা এ মামলা পরিচালনা করতে তিনজন সিনিয়র আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছি। এজে মোহাম্মাদ আলী, খন্দকার মাহবুব হোসেন ও আব্দুর রেজাক খানকে। আমরা সমন্বয় করে আলাপ, আলোচনা করে এই তিনজন আইনজীবীকে নিয়োগ দিয়েছি। জয়নুল আবেদীন বলেন, এখানে মামলা পরিচালনা করতে আমাদের মধ্যে কোনো সমন্বয়ের অভাব নেই।
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, আমি আইনমন্ত্রীর কাছে সবিনয়ের সঙ্গে বলবো তিনি একজন আইনজীবী। তার এমন বক্তব্য দেয়া উচিত না যেটি আইন পেশার সাথে সাংঘর্ষিক হয়। খালেদা জিয়ার মামলায় এমন আইনজীবীরা কাজ করছেন, যারা আইনমন্ত্রীর বাবার বয়সের সমান। কেউ কেউ আইনমন্ত্রীর বাবার সাথে উকালতি করেছেন। খোকন অভিযোগ করে বলেন, তার বক্তব্য আইন পেশার বহির্ভূত। তার বক্তব্যে প্রমাণ হয়, সরকার এ মামলা নিয়ে যড়যন্ত্র করছে। অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্য প্রমাণ করে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার প্রত্যেকটি পদক্ষেপে সরকার অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। তিনি আরো বলেন, আমি আইনমন্ত্রীকে বলবো, আপনি খুব সচেতনভাবে বক্তব্য দেবেন। এখানে ব্যারিস্টার রফিক-উল হকসহ সিনিয়র আইনজীবীরা মামলা নিয়ে কাজ করছেন, যারা আইনমন্ত্রীর বাবার মতো বয়স। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার আইনজীবীদের ভুলের কারণেই খালেদা জিয়া কারাগারে আছেন বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।