Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফিরে দেখা স্বাধীনতার মাস

ফারুক হোসাইন | প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

অগ্নিঝরা মার্চের প্রথম দিন আজ। এই মার্চের আন্দোলন-সংগ্রামের পথ বেয়ে এসেছে বাঙালির কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা। ইতিহাস সৃষ্টিকারী এই মাস বাঙালির হৃদয়ে চিরভাস্বর। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ ২৪ বছরের আন্দোলন-সংগ্রাম, শোষণ-বঞ্চনা, জেল-জুলুমের বিরুদ্ধে সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় এই মাসেই আসে বাঙালির কাক্সিক্ষত স্বাধীনতার ঘোষণা। তৎকালীন পূর্ব বাংলার গণমানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানে ঘোষণা দেন- এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। ২৫শে মার্চ কালোরাতে পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী নিরীহ বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ২৬শে মার্চ আসে চূড়ান্ত স্বাধীনতার ঘোষণা। পুরোজাতি ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে। মুক্তির অদম্য স্পৃহায় উদ্দীপ্ত সমগ্রজাতি জীবন বাজি রেখে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকে। ৯ মাস দীর্ঘ সংগ্রামে ৩০ লাখ শহীদের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয় বাঙালির কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা। এদিন ছাত্রলীগের একক নেতৃত্বে মুক্তিসংগ্রাম এগিয়ে নিতে স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। সেদিন থেকে সকল সভায় সভাপতিত্ব করার গৌরব অর্জন করেন নূরে আলম সিদ্দিকী এবং সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেন শাজাহান সিরাজ।

 



 

Show all comments
  • গনতন্ত্র ১ মার্চ, ২০১৮, ১:৫৬ এএম says : 0
    ২৫ শে’ মার্চ ( ভ্রুণ বাংলাদেশ) ছালাম, বংঙ্গ জননী তোমায়, লাখ -কোটি ছালাম ধন্য হয়েছি তোমার গর্ভে করিয়া ধারন, মৃত্যুর পর, আমার বালিশ হিসাবে যেন মিলে ‘‘জান্নাত নামক’’ তোমার দু’টি চরন ৷৷ প্রবাহমান পদ্মা,মেঘনা, যমুনা, ব্রম্মপুত্র গোমতী, সুরমা ও কুশিয়ারা নাম, কত না জানা –আজানা, ছোট –বড় নদী তোমারী স্নেহের অপূর্ব অবদান ৷৷ ফজলুল হক, সরওয়ারর্দী, রবীন্দ্র নাথ,সুভাস চন্দ্র বসু সূর্যসেন, কাজী নজরুল ,শরৎচন্দ্র ও মাওলানা ভাষানী, স্যার সলিমউল্লা, কোটি-কোটি বীরের জন্মদাত্রী বংঙ্গ জননী তুমি তন্মোধ্যে, শেখ মুজিব ,জেনারেল জিয়া ও কর্নেল ওসমানী ৷৷ রফিক –সফিক, জব্বার –বরকত ও ছালাম ওরা তোমার সোনার ছেলে, নেই তাতে কোন সন্ধীহান, মায়ের মুখের মধু মিশ্রিত, মাতৃ ভাষাকে টিকিয়ে রাখতে নিঃশর্ত ভাবে বিলিয়ে গেল, কচি কচি তরতাজা প্রান ৷৷ মিলছে না চাঁদের দেখা, তাঁরাগুলি ও কি নিয়েছে ছুটি মেঘের কালো চাঁদরে ঢেকে গেছে, আকাশ ‘ঢাকার’, কুকুরেরা শুনে ভয়ে কাঁপছে , হঠাৎ কেন কার্ফু আবার প্রভু, বর্বর পশুদের থাবা থেকে, আমাদেরকে কর উদ্দার ৷৷ এইতো, একটু আগে ছোট শিশুটি মধ্যরাত্রী ভোজ শেষে পরীদের সাথে খেলায় মগ্ন, মায়ের দুধের বোঁটাটা সিক্তও এখন, ভাইটি আমার, নব বধুর গোমটা তুলে ‘ভালবাসি তোমায়’ বলা হয়তো শেষ করেনি, ‘তখন’৷৷ ট্রেন্ক, বন্ধুক আর ভারী আস্রে সজ্জিত, গাড়ী থেকে ছুঁড়া গুলিতে গর্জিত হলো, শান্ত, ক্লান্ত, কার্ফুর পিন্জরে বন্দি ঢাকা শহড়, ছিলনা তখন, আজিকার এই উন্নত মোবাইল ফোনের প্রচলন তাই বুঝতে পারছিনা কি হচ্ছে, কি ঘটছে তার বিশ্বস্ত খবর ৷৷ খাঁচায় বন্ধি ফার্মের মুরগীর দশা মোদের, কার্ফুর কারনে নিশীরাতে জোরে ঢুকে ঘরে, ধরে নিয়ে খুশিমত হত্যা করে, আমাদিগকে দিয়ে, মাটি কুড়িয়ে বানায় গর্ত সেই গর্তের কিনারায় মারিয়া, মারিয়া পরিনত করে গনকবরে ৷৷ তুলে নিয়ে যাচ্ছে মা – বোন, ভাবী,চাচী ও খালাদের চালাচ্ছে উনাদের উপর, পাশবিক অমানুষিক নির্যাতন, বাসায় থাকলে করবে হত্যা, যুদ্ধে গেলে হয়তো হবে মরন যুদ্ধে যাইয়া, মারিয়া –মরিয়া, দেশের সেবায় উৎসর্গ এ জীবন ৷৷ সৈনিক নামের কলন্ক, ভীতু, কাপুরুষের দল চালালে গুলি, নিরাস্র, নিরাপরাদ, ঘুমন্ত মানুষের উপর, হায়রে ! মূর্খ্য, বুদ্ধিহীন, বড় মাথার বর্ব্বর ,ঘুমন্ত অগ্নিগীরিতে ফেলিয়া বোমা, নিজ হস্তে খুঁদিয়া গর্ত বানাইলি কবর ৷৷ নীরহ জনতাকে জাগ্রত করিয়া, বাধ্য করিল তুলে নিতে অস্র হাতে পেয়ে অস্র, হয়ে উঠেছে "রয়েল বেঙ্গল টাইগার", পাক সেনারা যাচ্ছে যেথায়, আস্তনায় আর কি ফিরে আয় চারিদিকের আক্রমনে পথ খুঁজে নাহি পায় পালাবার ৷৷ পুলিশ অফিসার, বাবা আমার যুক্ত হলেন মুক্তিযোদ্ধায় সন্ধ্যায় টহলে বাহির হয়ে, ঘরে ফিরতেন শেষরাতে, তারপর বাবা আর আমি ঘুমাতে যেতাম, অন্য লোকের গরুঘরে সম্ভল ছিল টর্চলাইট আর রেডিওটায় শুধু সুখবর শুনতে ৷৷ বিধির আর্শিবাদ, তাদের ললাটে দুঃখ আর লান্চনার অভিশাপ এখানে – সেখানে অভিশপ্ত পাক-সেনাদের লাশ রয়েছে পড়ে, যে চোখ দিয়ে কুমতলবে তাকিয়েছিল মা- বোনদের দিকে কাক- চিলে সেই চোখ তুলে খেয়েছে, ঘৃনা- ঘৃনা করে ৷৷ দিন-দুপুড়ে শিয়াল –কুকুরে লাশ নিয়ে করছে টানাটানি এ যেন অগ্রীম স্বাধীনতা দিবসের রশি খেলার কাহিনী, পানিতে পাকসোনাদের লাশ খাচ্ছে, মাছ- সাপ ও জলজ প্রানী রান্না- বান্না ও পান করার অযোগ্য খাল-বিল, নদী -পুকুরের পানি ৷৷ ১৪ই ডিসেম্ভর চাচা আমার হলেন শহীদ, খেয়ে পাকসেনার গুলি মেলিটারী ভয়ে বোনটি পানিতে ডুবার সময় বাঁচায় লোক পাড়ার, যুদ্ধশেষে বাসার ফিরে দেখেন, মালামাল সহ বাসার দখলে রাজাকার ৯ মাস কষ্ট করে যুদ্ধ করার, এই ছিল আমাদের পরিবারের উপহার ৷৷ ৩০ লাখ তাজা প্রান আর ইজ্জতের বদলতে মিললো !একি "বাংলা দেশ " বংঙ্গবন্ধু স্ব-পরিবারে, জিয়া একাকী, বিডির হত্যা,খাদ্যে ভেজাল,মরফিন, লাশ চুরি,পূজিঁ বাজারে কারসাজি,ফ্রিজে-ড্রামে টাকা, খুন-ধর্ষন, ঘুষবার্তা তুই চোর, তুই চোর বলে রাজকোষ খালি, মুখে তালা ঝুলিয়ে বসা সব কর্তা ৷৷ আবারও চাই মোদের সেই নেতা, বলিষ্ট কন্ঠ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মত যার ডাকের সাড়ায়, জাগবে অলশ,মুখ খুলবে ভয় ভেঙ্গে,করবে প্রতিবাদ, চিন্হিত করিবে,হত্যা কারী,কালোবাজারী,ঘুষখোর,ধর্ষনকারী,পাচারকারী লাশচোর ও ভেজালীকে,জাতীয়স্বার্থে হয়তঃ হানতে হবে ৭১’র আঘাত ৷৷
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ