পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতসহ সরকারের সব ব্যর্থ মন্ত্রীদের সরিয়ে দিয়ে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনার আহবান জানানো হয়েছে জাতীয় সংসদে। জাতীয় পার্টির সভাপতি মন্ডলির সদস্য জিয়াউদ্দিন বাবলু এই আহবান জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর টিম যদি শক্তিশালী না হয় তাহলে সেটিকে নিয়ে তিনি লক্ষ্যস্থলে পৌঁছতে পারবেন না। এসময় ব্যাংকের দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে এবং দায়ীদের বিচার নিশ্চিত করতে ব্যাংককিং কমিশন গঠনেরও দাবি জানান। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে একথা বলেন তিনি। এসময় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনার সূত্রপাত করে জিয়াউদ্দিন বাবলু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স¤প্রতি অর্থমন্ত্রী সংসদের বলেছেন ৭ টি ব্যাংকে সাড়ে হাজার কোটি টাকা মূলধন ঘাটতি। এই মূলধনটা গেল কোথায়? কার টাকা এই মূলধনটা? এই ব্যাংকগুলোতে তো ডিপোজিট টাকা দিয়ে মূলধন হয়। এই টাকা যে আপনি আবার দিচ্ছেন এগুলো করের টাকা দিয়ে দিচ্ছেন। যারা কর দেয় তারা কি সেই ক্ষমতা আপনাকে দিয়েছে? মানুষের টাকা দিয়ে লুটের টাকা ভরনপোষন করার জন্য আপনাকে কে ক্ষমতা দিয়েছে?
তিনি বলেন, মূলধন ঘাটতির সরকারি ব্যাংকগুলো হল সোনালী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক। আর বেসরকারি ব্যাঙকগুলো হল কমার্স ব্যাংক, ফারমার্স ব্যাংক ও আইসিবি ব্যাংক। এদের আবার মূলধন দিয়ে লাভ কি? এই টাকা আপনি কোত্থেকে দিবেন। আপনি দিবেন করদাতার টাকা থেকে। এদেশের ১৬ কোটি মানুষ কৃষক, শ্রমিক, রিক্সাওয়ালা করের টাকা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের সেই টাকা থেকে দিবেন। ব্যাংকগুলোকে এই করদাতার টাকা দিয়ে ভরণপোষন করবেন- এর কি সাংবিধানিক কোনো অধিকার আপনাকে দেয়া হয়েছে? আপনি কি মানুষের কাছ থেকে সেই অধিকার পেয়েছেন? এ পর্যন্ত ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যাংকগুলোর ঘাটতি পূরণ করেছেন আপনার মন্ত্রিত্বের মেয়াদে। আর ব্যাংকগুলো দুর্বল হচ্ছে বর্তমান এই অর্থমন্ত্রীর সময়।
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ বাবলু বলেন, আপনি বলেছেন আপনাদের ব্যর্থতার কথা শুনতে চান। তাহলে কেউ যদি ব্যর্থ হয় তাহলে আপনি কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। ব্যর্থতার দায় নিয়ে কেন উনি এখানে থাকবেন? আমরা বার বার বলছি উনার (অর্থমন্ত্রীর) চলে যাওয়া উচিত। উনি খালি ঘাটতির কথা বলেন, উন্নয়নের রঙিন চিত্র দেখান। মানুষ জানতে চায়- এই ঘাটতি টাকা আমরা কোথা থেকে দেব। এর জবাব আমাদের কাছে নেই। মানুষের করের টাকা দেয়ার অনুমতি কি আমরা পেয়েছি? মানুষ কি আমাদের এজন্য ভোট দিয়েছে যে একজন লুট করবে আর আপনি মানুষের টাকা ভরনপোষন করবেন। এটা হতে পারে না।
তিনি বলেন, বেসিক ব্যাংকের পরিচালক ও এমডিকে আপনি গ্রেফতার করেছেন। কিন্তু সেই ব্যাংকের চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। জনতা ব্যাংকের দুর্নীতি নিয়ে কেন অর্থমন্ত্রী আবুল বারাকাতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেনতি কেন? আমরা ষোল কোটি মানুষের পক্ষে থেকে জানতে চাই কেন তিনি এই মূলধন ঘাটতি সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছেন? তিনি বার বার ব্যর্থতার কথা সংসদে বলবেন আর টাকা দিবেন এভাবে দেশ চলতে পারে না।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ বাবলু বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার বিরাট একটি ইমেজ আছে। আপনি দেশকে উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। আপনি ক্ষ্ধুাম্ক্তু দারিদ্র্যমুক্ত দেশ প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে চেষ্টা করছেন। কিন্তু টিম যদি শক্তিশালী না হয় তাহলে সেটাকে নিয়ে তিনি লক্ষ্যস্থলে পৌঁছতে পারবেন না। তাই আমি মনে করি আপনার সরকারে স্বার্থে যেসব ব্যর্থ মন্ত্রী আছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেন। তাদেরকে ডিসমিস করেন। স্যাক করেন। মানুষের আস্থা তৈরি করেন যে- প্রধানমন্ত্রী মানুষের কথা শোনেন, ষোল কোটি মানুষকে মার্যাদা দেন।’
এর আগে আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদ দেশে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন্ বিএনএফের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।