পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আরিফ হোসেন (২৪) নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীর পায়ের রগ ও হাতের আঙ্গুল কেটে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রকাশ্যে মহড়া দিয়েছে। এতে জনমনে চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার কারনে সংঘর্ষ হয়নি।গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার ভুলতা পুরাতন বাজার এলাকায় ঘটে এ ঘটনা। আহত আরিফ হোসেন উপজেলার পাচাইখা এলাকার মৃত আইবুর রহমানের ছেলে। তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার আমলাবো এলাকায় নুরে আলম ও ইমন নামে দুই ছাত্রলীগ কর্মী মিলে প্রতিপক্ষ অপর ছাত্রলীগ কর্মী দূর্জয়কে লাঠিপেটা করে আহত করে। লাঠিপেটা করার সময় সুমন মিয়া নামে একজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। পরে রাত ৮টার দিকে দূর্জয়সহ তার লোকজন ভুলতা পুরাতন বাজারের অবস্থিত চায়ের দোকানে গিয়ে সুমন মিয়াকে না পেয়ে সুমনের পিতা জিন্নাত হোসেনকে মারধর ও শরীরে গরম পানি ঢেলে দেয়। এসময় জিন্নাত হোসেনসহ তার লোকজনের সঙ্গে দূর্জয়ের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল বুধবার দুপুরে দূর্জয়সহ তার লোকজন রামদা, চাপাতি, চাইনিজ কোড়ালসহ ধারালো অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভুলতা পুরাতন বাজার এলাকায় মহড়া দেয়। প্রতিপক্ষ নুরে আলম ও ইমনসহ তাদের লোকজনও ধারালো অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পাল্টা মহড়া দেয়। এতে উভয় পক্ষের মাঝে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে দূর্জয়সহ তার পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষ নুরে আলম ও ইমন সমর্থক আরিফ হোসেনকে একা পেয়ে তার উপর হামলা চালায়। এসময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আরিফের ডান হাতের একটি আঙ্গুল ও বাম পায়ের দুটি রগ কেটে ফেলে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে আটটি আঘাত করা হয়। এ ঘটনার পরে আরো উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার রক্তক্ষীয় সংঘর্ষের আগেই রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। জনমতে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। ছাত্রলীগের ওই দুই পক্ষের মাঝে বেশ কিছু দিন ধরেই বিরোধ চলে আসছিলো বলে জানা গেছে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কোন পক্ষ যদি আইনশৃংখলা পরিস্থিতি খারাপ করতে চায়, তাহলে কোন পক্ষকেই ছাড় দেয়া হবেনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।