পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডবিøউটিও) অনেক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছে না। এ কারণে ডবিøউটিও আজ অকার্যকর হতে চলেছে। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত এইচই হাইরোয়াসু ইজুমির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অচিরেই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে। এ অবস্থায় জিএসপি সুবিধার প্রয়োজন নেই। তাছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অল্প পণ্যে এ সুবিধা দিতো। তাই নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি সুবিধা চাইবো না, প্রত্যাশাও করি না। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আমরা জিএসপি পাব তা আমাদের চিন্তার মধ্যেই নাই, প্রত্যাশা নাই, প্রয়োজন নাই এবং আমরা কোনো দিন চাইবও না। কারণ যত শর্ত পূরণ করি না কেন এরপরেও বলবে আরও দরকার, আরও দরকার। রোজ কেয়ামত পর্যন্ত আমরা শর্ত পূরণ করা শেষ করতে পারব না।
তোফায়েল বলেন, উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পর ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশ আমাদের জিএসপি প্লাস দেবে। এ বিষয়ে সেসব দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আর যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি এক নয় জানিয়ে তোফায়েল বলেন, আমরা তামাক, সিরামিক, প্লাস্টিকসহ তিন-চারটি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি পেতাম, তৈরি পোশাকে জিএসপি দিত না। ২৫ মিলিয়ন ডলারের ওপরে আমরা জিএসপি সুবিধা পেতাম অথচ আমরা রফতানি করি ছয় বিলিয়ন ডলারের মত। আমরা প্রতি বছর প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার যুক্তরাষ্ট্রকে কাস্টমস ডিউটি দেই।
জাপান সফরের জন্য দেশটির সরকারের আমন্ত্রণ পেয়েছেন জানিয়ে তোফায়েল বলেন, স্বাধীনতার পর জাপানের সঙ্গে আমাদের গভীর সম্পর্ক। স্বাধীনতার পর জাপানের কাছ থেকে সব থেকে বেশি আর্থিক সহায়তা পেয়েছি। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে একাধিকার মিলিত হয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেছেন। অনেক চুক্তি আমরা করেছি। মন্ত্রী বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হল আমাদের যেকোনো একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জাপান বিনিয়োগ করবে। জাপান আমাদেরকে দুটি পণ্য ছাড়া সব পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ায় রপ্তানি দিন দিন বাড়ছে। আশা করি এক সময় জাপানে দুই বিলিয়ন ডলারের মত রপ্তানি হবে।
মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে জাপানের রাষ্ট্রদূত বাংলায় সাংবাদিকদের বলেন, আমি আশা করি জাপান বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও ভালো হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।