Inqilab Logo

বুধবার, ০৫ জুন ২০২৪, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

দুর্নীতি হচ্ছে প্রতিরোধ করতে পারছি না -দুদক চেয়ারম্যান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ৩:৫১ পিএম

দুর্নীতি হচ্ছে, প্রতিরোধ করতে পারছি না বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেন, দুর্নীতির নেপথ্যে আমরা সবাই। আপনি যদি প্রতিরোধ করতে না পারেন, আপনিও এর অংশ হবেন। দুর্নীতি হচ্ছে, প্রতিরোধ করতে পারছি না। দুর্নীতি দমন কমিশনও পারছে না, ব্যাপক জনগণের অংশগ্রহণও হচ্ছে না। অর্থাৎ আমরা সবাই দায়ী এটার জন্য।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ট্রান্সপারেন্সির ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) দুর্নীতি ধারণা সূচক প্রকাশ নিয়ে এক আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি দমনে গণমাধ্যম, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সকল জনসাধারণের সাহায্য দরকার। জনগণকে যদি সচেতন না করা যায়, তাহলে আমার মনে হয় যে গতিতে দুর্নীতি চলছে, সে গতিতে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না। এটা একটি সমস্যা।

তিনি বলেন, দুর্নীতির ধারণা সূচক আন্তর্জাতিকভাবে যেটা বের হয়েছে, সেখানে কোনো কোনো দেশে মাত্র এক পয়েন্ট কমেছে। দুই পয়েন্ট সম্ভবত ১০-১২টি দেশ। দুই পয়েন্ট কমানো এত সহজ বিষয় নয়। তবে আমি মনে করি আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই।

বড় বড় দুর্নীতিবাজ আইনের আওতায় আসছে টিআইবি এক পর্যবেক্ষণের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি এটার সঙ্গে মোটেই একমত নই যে বড় দুর্নীতিবাজ আর ছোট দুর্নীতিবাজের মধ্যে পার্থক্য নেই। দুর্নীতিবাজ সবসময়ই দুর্নীতিবাজ। বড় ছোট করা সমীচীন নয়। যে কোনো দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বড় ছোট করে বিভাজন করলে দুর্নীতি কমবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারছি না, সেটা আমি স্বীকার করি না। যদি তাই হয় ৩৭ শতাংশ সাজার হার বেড়ে কীভাবে ৭৪ শতাংশ হলো।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, হ্যাঁ, একটা কথা সঠিক যে গতিতে বা যতটুকু কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করা দরকার ছিল সেটুকু পারছি না। তবে এটা বুঝতে হবে এটা সহজ বিষয় নয়। এর জন্য জনসাধারণের অংশগ্রহণ প্রয়োজন।

তিনি বলেন, অর্থ পাচার হচ্ছে, এটা সত্য। তবে এ সমস্যা শুধু বাংলাদেশের নয়, এটা বৈশ্বিক সমস্যা। বিশ্বের সব জায়গায় অর্থ পাচার হচ্ছে। এ বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধানের আইনের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কারণ মানিলন্ডারিং আইনে দুদক কেবল সরকারি কর্মকর্তাদের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারে। বেসরকারি পর্যায়ে তদন্ত করবে এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংকের এফআইইউ বা সিআইডি।

ক্ষমতাসীনদের দুর্নীতির বিষয়ে দুদকের উদাসীনতার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ইকবাল মাহমুদ বলেন, কমিশন কোনো ব্যক্তির সামাজিক বা রাজনৈতিক পরিচয় দেখে না। কমিশন কারো প্রতি অতি উৎসাহী বা অতি উদাসীনতা দেখায় না। মামলা হয় অনুসন্ধানের ভিত্তিতে। এক্ষেত্রে ব্যক্তি পরিচয় কোনো বিষয় নয়। কমিশনের কার্যক্রমে কোনো রাজনৈতিকে ইস্যুকে বিবেচনা করা হয় না।



 

Show all comments
  • Sayeed Ahmed ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ৭:১১ পিএম says : 0
    আল্লাহর প্রতি ভয় না থাকলে দুর্নীতি হবেই। আর ভয় সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ইসলামী জ্ঞান অর্জনের মধ্য দিয়ে।
    Total Reply(0) Reply
  • গনতন্ত্র ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১১:৩৯ পিএম says : 0
    "অভিযাত্রা " আমরা করিব র্দুনিতীবাজদের সন্ধান,বীরংগনা মায়ের সংগ্রামী সন্তান;অস্ত্রের মুখে নয় আলিংগন,শোষিত সমাজের হউক পতন। ন্যায়ের সাথে করি বন্ধন,দু:খির চোখে নয় ক্রন্দন;৭১ কথা রাখিও স্মরণ ভয় দেখালে হবনা বারন। খুলে দাও তাদের বাঁধন,করবে যারা প্রতিবাদের সাধন;আমরা চাই তাদের পতন,যারা করবে জুলুমের শাসন।
    Total Reply(0) Reply
  • ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ৬:২১ পিএম says : 0
    Total Reply(0) Reply
  • Masudul Haque ২ মার্চ, ২০১৮, ২:১৬ এএম says : 0
    If you see the poison and you knows this is poison,don't send it to the laboratory for test,just destroyed it.Then you will see the difference.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দুদক চেয়ারম্যান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ