পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : সারাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য জমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়তে হচ্ছে বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে (বেজা)।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যতম রাজনৈতিক প্রতিশ্রæত অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য ব্যক্তিগতভাবে যাদের জমি নেওয়া হচ্ছে, তাদের ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতাধীন এই সংস্থাকে। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠার সাত বছর পেরিয়ে গেলেও সংস্থাটির নিজস্ব কোনো তহবিল গড়ে উঠেনি; যেখান থেকে ক্ষতিপুরণের টাকা দেওয়া যেতে পারে। জমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়নের জন্য সরকারের উন্নয়ন বাজেট (এডিপি) থেকে টাকা চাইলেও লম্বা প্রক্রিয়ার কারণে টাকা ছাড় হতে দেরি হচ্ছে। জমি অধিগ্রহণের জন্য বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিতে হচ্ছে বেজাকে। এমন বাস্তবতায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য জমি অধিগ্রহণের পাশাপাশি সে জমি উন্নয়নের জন্য আলাদা একটি তহবিল চায় বেজা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উপস্থাপনের জন্য সংস্থাটি এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা তৈরি করেছে। তাতে আগামী পাঁচ বছরের জন্য তহবিল গঠনের কথা বলা হয়েছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভূমি অধিগ্রহণ ও অবকাঠামো উন্নয়ন তহবিল’। এই তহবিলের আকার ১৫ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব করেছে বেজা। আগামী গভর্নিং বোর্ডের সভায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাবটি উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় গতি আনতে আমরা আলাদা একটি তহবিল গঠনের কথা বলেছি। যে তহবিল থেকে টাকা নিয়ে জমি অধিগ্রহণ ও ভূমি উন্নয়নে খরচ হবে। অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যেভাবে আগ্রহ দেখাচ্ছে, তাতে আলাদা একটি তহবিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
বেজার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলায় ৭৯টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গভর্নিং বোর্ডের সভায়। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হবে ৭৯ হাজার ২০৮ একর। এর মধ্যে ৭৫ হাজার ১৮৬ একর জমিতে ৫৬টি অর্থনৈতিক অঞ্চল হবে সরকারি এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির (পিপিপি) ভিত্তিতে। বাকি চার হাজার ২২ একর জমিতে হবে ২৩টি অর্থনৈতিক অঞ্চল। যেগুলো হবে ব্যক্তি খাতের উদ্যোগে। সরকারি পর্যায়ে যেসব অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়িত হবে, সেগুলোর জমি অধিগ্রহণ ও ভূমি উন্নয়নে তহবিল গঠন করা জরুরি বলে মত দেন বেজার কর্মকর্তারা। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সভাপতিত্বে ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত এক সভায় দেশে শিল্প সহায়ক অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ‘অবকাঠামো উন্নয়ন’ তহবিল গঠনের বিষয়ে সুপারিশ তুলে ধরা হয়। তহবিল গঠনের বিষয়ে সে বৈঠকে সবাই ইতিবাচক মত দেন।
তহবিল গঠনের বিষয়ে আগামী পাঁচ বছরের জন্য একটি কর্মপন্থা তৈরি করেছে বেজা। তাতে বলা হয়েছে, আগামী পাঁচ বছরে মোট ৪৬ হাজার ৪১৩ একর জমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন করা হবে। জমি অধিগ্রহণ ও জমি উন্নয়নে মোট খরচ হবে ১৫ হাজার ৪৮ কোটি টাকা। তহবিল গঠনের পর প্রথম অর্থবছর ওই তহবিলে চার হাজার ১৭৬ কোটি, দ্বিতীয় বছর চার হাজার ৯৪০ কোটি, তৃতীয় বছর তিন হাজার ১৫২ কোটি, চতুর্থ বছর এক হাজার ৪৯২ কোটি এবং পঞ্চম বছর এক হাজার ২৮৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে বেজা।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।