পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য প্রথম অন্তরায় হচ্ছে ভারত। কারণ ভারত তার নিজের স্বার্থে আমাদের দেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্রের চর্চা হোক তা তারা চায় না। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘দ্য ঢাকা ফোরাম’ আয়োজিত অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ও বাংলাদেশের গণতন্ত্র শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘ভারতকে বলে বাংলাদেশে যদি সরকার পরিবর্তন হয়; তাহলে ভারত নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়ে যাবে। তাই ভারতেকে অনুনয়-বিনয় করে বলে আসেন ব্যবস্থা নেন তা না হলে সেভেন সিস্টারসেস (ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৭ রাজ্য) শান্তি থাকবে না। এটা আওয়ামী লীগের জেনারেল সেক্রেটারির বক্তব্য।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি ভারতের কথা এজন্য বলছি কারণ, ভারত তার নিজের স্বার্থে আমাদের দেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্রের চর্চা হোক তা চাচ্ছে না।
গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিষ্টার মইনুল হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, তত্ত¡াবাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম. হাফিজ উদ্দিন খান, ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর সালেহউদ্দিন আহমেদ, জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, আলী ইমাম মজুমদার প্রমুখ।
এম. হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইসির তৎপরতা নেই। ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশনের জন্য যে বেসিক পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তা নেওয়া হয়নি। ইলেকশন কমিশনের সে ধরনের তৎপরতা আমরা দেখতে পাচ্ছি না। আমরা নির্বাচন কমিশনকে অনেক কিছু বুঝিয়ে এসেছি কিন্তু কোনো লাভ দেখতে পাচ্ছি না। ইলেকশন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব ফেয়ার ইলেকশন করা। এর জন্য যদি সরকারের কোনো আইন চেঞ্জ করতে হয় কমিশন সরকারকে তা পরামর্শ দেবে। এটা আমরা তাদের কাছে চাই। একদল নির্বাচনী কার্যক্রম চালাবে অন্য দল ঘরে বন্দি থাকবে এটা হতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশে যদি গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা না যায়, তাহলে জনগণকে এর ভুক্তভোগী হতে হবে। একই সঙ্গে দেশে ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারী ও প্রশ্ন ফাঁসকারীদের বিচারে সরকারের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তত্ত¡াবাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেন, আমাদের বড় ব্যর্থতা আমাদের দেশে সরকার আছে কিন্তু জনগণ ভোট দিতে পারছে না। আমরা এমন এক পদ্ধতি চাচ্ছি, যার দ্বারা জনগণের পার্লামেন্ট গঠিত হবে। কিন্তু এখন যে পার্লামেন্ট আছে তা জনগণের ভোটে নির্বাচিত না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আজকে বিরোধী দল বলে কিছু নেই। পুরোপুরি একদলীয়, একদলীয় শাসনে যা হয় সংসদেও তাই হচ্ছে। নির্বাহী বিভাগের অবস্থা আমার বলার প্রয়োজন নেই। দলীয়করণে চরম পর্যায়ে চলে গেছে এবং এখানে বিচারপতিকে পদত্যাগ করতে হয়েছে এবং দেশ ত্যাগ করতে হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক দিলারা চৌধুরি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমরা কথা বলতে পারি না এবং কাগজে কোন আর্টিকেল কেন ছাপাতে চায় না। সমাধান যদি আমরা বলি বর্তমান প্রাইম মিনিস্টার এটা করতে পারছে না। তাহলে এটা নির্বাচনের উপর গিয়ে প্রভাব পড়বে। সুতরাং নির্বাচনের রাজনীতিতে রোহিঙ্গা ইস্যু জড়িয়েছে। সাবেক মন্ত্রী পরিষদের সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, সংবিধানের আর্টিকেল সেভেটি একটা বড় রকম প্রতিবন্ধক হিসেবে গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনার কাজ করছে বলে আমি মনে করি। এটার বিরুদ্ধে কোনো বড় দল কথা বলেছে বলে আমরা শুনিনি। এটা সুশীল সমাজ থেকে তারা যখন বলে তখন তারা এটাকে উপেক্ষা করে। ###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।