পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সরকারের চন্ডনীতির কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেপরোয়া সন্ত্রাসীদের মতো আচরণ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, তারা হিতাহিত বিবেক বিবেচনাহীন হয়ে বিরোধী দলের ওপর হামলে পড়ছে। এরা অবৈধ ক্ষমতাসীনদের চাহিদা মেটাতে জনগণকে পরাধীনতার সুদৃঢ় বন্ধনে বন্দী করে রাখার দায়িত্ব নিয়েছে। গতকাল (শনিবার) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, শান্তিপূর্ণ কালো পতাকা প্রদর্শনের কর্মসূচির ওপর এক কদর্য হিং¯্র আক্রমন চালিয়েছে পুলিশ। পুলিশের গুন্ডামিতে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীদের। ফুটপাথে শান্তিপূর্ণভাবে দাঁড়াতে গেলে পুলিশ আচমকা তাদের ওপর চড়াও হয়ে নেতাকর্মীদেরকে পাইকারী হারে নির্দয়ভাবে পেটাতে পেটাতে পুলিশভ্যানে তুলতে শুরু করে। আহত আর্তচিৎকারে তৃষ্ণায় পানি চাইলে পুলিশ অশ্রাব্য গালিগালাজ দিতে থাকে। পুলিশ নেতাকর্মীদেরকে লাঠিপেটা করতে করতে আমাদের কার্যালয়ের গেটের মধ্যে ঢুকে পড়ে এবং সেখান থেকে একজনকে ধরে নিয়ে রাস্তায় ফেলে গলায় বুটের জুতা দিয়ে ঠেসে ধরে। পুলিশ অমানবিকতার এক জান্তব হিং¯্রতা প্রদর্শন করেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর। তিনি বলেন, পুলিশী সহিংসতায় দলের মহিলা নেতাকর্মীসহ পুরুষ নেতাকর্মীদেরকেও রক্তাক্ত করা হয়েছে। আহত নেতাকর্মীদের চিকিৎসার জন্য নিতে আসা সাতটি এ্যাম্বুলেন্সও ফিরিয়ে দেয় পুলিশ। দলের যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক এমপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এর সাথে পুলিশ যে নৃশংস আচরণ করেছে তা মনুষ্যত্বহীন। তার ঘাড় জাপটে ধরে সার্টের কলার ও বুকে পিঠের কাপড় টেনে সিএনজিতে তোলা হয়। একজন শিক্ষিত ও মননশীল রাজনীতিবিদের সাথে পুলিশের এই আচরনে আমাদের সেই অভিযোগটিই প্রমানিত হলো যে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যুবলীগ-ছাত্রলীগ দিয়ে ভরানো হয়েছে। এমনকি দায়িত্বরত সাংবাদিকদেরকেও অশ্লীল গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে হেনস্তা করেছে পুলিশ। তিনি দলের পক্ষ থেকে বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
বিরোধী দলের আওয়াজ শুনলেই সরকারের বুকে কম্পন সৃষ্টি হয় মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতন্ত্রবিনাশী ভোটারবিহীন এই সরকার বিরোধী দলের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্রকে বঙ্গোপসাগরে ডুবিয়ে দিতেই পুলিশকে দিয়ে পান্ডামী করাচ্ছে। তাই বিরোধী দলের আওয়াজ শুনলেই তাদের বুকে কম্পন সৃষ্টি হয়। গণতন্ত্র ও সংবিধানকে কেড়ে নিয়ে একতরফা রাজত্ব কায়েম করতেই বিএনপিসহ বিরোধী দলের কর্মসূচির ওপর ঝাঁপিড়ে পড়ছে। অত্যাচারী রাষ্ট্রে নিষ্ঠুর বলপ্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিবাদ দমন করার জন্যই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে। তাদের আচরণে মনে হয়-বিএনপি’র নেতাকর্মীদের কেউ মারা গেলে তাদের জানাযা, দাফন ও রুহের মাগফিরাতে জন্য মিলাদ করতে গেলেও পুলিশের অনুমতি লাগবে। তিনি বলেন, পুলিশের হাতে এখন গণতন্ত্রের মৃত্যু পরোয়ানা। পুলিশী আক্রমনে বিএনপি নেতাকর্মীদের অবস্থা যেন আদিম জিঘাংসার বহি:প্রকাশ, অবিশ্বাস্য ও মর্মস্পর্শী।
রুহুল কবির রিজভী সংবাদ সম্মেলন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচির ওপর পুলিশের ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে আগামী ২৬ সোমবার ঢাকা মহানগরীর থানায় থানায় এবং দেশব্যাপী জেলা সদর ও মহানগরে প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সহ দফতর সম্পাদক মুনির হোসেন, বেলাল হোসেন, সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলিম, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।