পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : খালেদা জিয়াকে কারাগারে প্রেরণ করে সরকার বিএনপির ভোট বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার জেলে নিয়েছে এটা বিএনপির জন্য প্লাস পয়েন্ট, আর আওয়ামী লীগের জন্য মাইনাস পয়েন্ট। কারণ খালেদা জিয়ার একদিন জেলে থাকা মানে আওয়ামী লীগের ১০ লাখ ভোট বিএনপির হয়ে যাওয়া। তিনি যতদিন জেলে আছেন প্রতিদিন আওয়ামী লীগের ১০ লাখ ভোট কমছে। গতকাল (শুক্রবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পরিষদ’ নামের একটি সংগঠনের আয়োজনে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার আগে যে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের নির্দেশ দিয়ে গেছেন জানিয়ে সেজন্য বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রশংসা করে মওদুদ আহমদ বলেন, আমি বেগম খালেদা জিয়ার দূরদর্শিতার প্রশংসা করি। তিনি কারাগারে যাবার সময়ে আমাদের বলে গেছেন যে, শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের আন্দোলন করতে হবে, কোনো ধরনের হঠকারিতা চলবে না। গত ১০ দিনে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি যেভাবে এগিয়েছে, তাতে সরকার খুব বেশি খুশি নয়। কারণ তারা মনে করেছিল বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মী রাস্তায় নেমে ভাংচুর করবে, পেট্রোল পাম্প জ্বালাবে ভেবে তারা (সরকার) প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের সেটা ব্যর্থ হয়ে গেছে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমেও যে সরকারকে দাবি মানতে বাধ্য করা যায়, এবার বিএনপি সেটাই দেখাবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের নেত্রীর কারাগারে খুব কষ্ট হচ্ছে। একটা নির্জন কারাগারে তাকে রাখা হয়েছে- এটা সংবিধান পরিপন্থি। সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদ বলে যে, একজন আসামির বিচার হবে পাবলিক ট্রায়ালে, এটা তার মৌলিক অধিকার। এটা ক্যামেরা ট্রায়াল হবে না। যে জায়গায় (বকশীবাজারে জজ আদালতের বিশেষ এজলাসে) আমাদের নেত্রীর ট্রায়াল হয়েছে তা কখনোই পাবলিক ট্রায়াল বলা যাবে না। একটা মারাত্মক রকমের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে এই বিচার পরিচালনা করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় সরকারি সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নৌকায় ভোট চাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে মওদুদ বলেন, একদল নৌকায় ভোট চাচ্ছে। আরেক দলের নেত্রীকে কারাগারে রাখা হয়েছে। তাহলে দেশে কী ধরণের গণতন্ত্র আছে বুঝতে পারছেন? আওয়ামী লীগ আমাদেরকে জনসভা করতে দেয় না। অথচ তারা জনসভা করছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন এক্ষেত্রে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ইসি সত্যিকার অর্থে নিরপেক্ষ হলে আওয়ামী লীগকে এভাবে ভোটের প্রচার চালাতে দিত না। তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী জেলখানা থেকে বের হওয়ার পর আমরাও তাকে নিয়ে প্রচারে যাব। এবার কোনো আপত্তি আমরা শুনব না। আওয়ামী লীগ যদি সভা করে নৌকায় ভোট চাইতে পারে তাহলে বিএনপিও জনসভা করে ধানের শীষে ভোট চাইতে পারে। বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ব্যাপারীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান রুহুল আলম চৌধুরী, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা শওকত আমীন ও এনডিপির মঞ্জুর হোসেন ঈসা আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।