Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গণতন্ত্রের পথে বাধা ভারত -ডা. জাফরুল্লাহ

| প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

আওয়ামী লীগ এক দলীয় স্বৈরতন্ত্রের পথে হাটছে : আমীর খসরু
চট্টগ্রাম ব্যুরো : বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ যে পথে হাটছে সেটা একদলীয় পথ, স্বৈরতন্ত্রের পথ, ফ্যাসিষ্টের পথ, নিপীড়ন নির্যাতনের পথ। তারা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস অথবা অন্য শক্তির উপর নির্ভর। বিএনপি জনগণের উপর নির্ভর। বিএনপি চলছে গণতন্ত্রের পথে। তিনি গতকাল (শুক্রবার) চট্টগ্রাম আদালত ভবনস্থ আইনজীবি মিলনায়তনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম জিয়ার মুক্তি আসবে আইনের শাসনের মাধ্যমে, বাক স্বাধীনতার মাধ্যমে। দেশনেত্রী যে পথ দেখিয়েছেন সেটি শান্তির পথ। প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেয়ার পর অনেক সাংবাদিক আমার কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চান। আমি তাদের বলি, আমি কি প্রতিক্রিয়া দিব? কারণ উনি তো কোন বক্তব্য রাখেন না, উনি শুধু গালাগালি করেন, তাই তার কোন প্রতিক্রিয়া নেই।
তিনি আরো বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন মানে এ নয় যে, হাত পা গুটিয়ে বসে থাকা। সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে। আমাদের নেতাকর্মীরা এখন গ্রেফতারের ভয় করে না। মনে রাখবেন বেগম খালেদা জিয়া জেলের ভিতরে অনেক বেশী শক্তিশালী। আওয়ামী লীগ আছে মহাবিপদে। তারা নেত্রীকে জেলের ভিতর রাখলেও বিপদ, বাহিরে রাখলেও বিপদ। কারণ আওয়ামী লীগ শেষ কার্ড খেলে ফেলেছে, তাদের কাছে আর কিছুই নেই। যা আছে দেমের মানুষের কাছে, বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে। দেশের মানুষ গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু করেছে, অতিশ্রীঘ্রই সে গন্তব্যে পৌঁছবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমি খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি চায় না, আমি চাই উনি আইনের মাধ্যমে মুক্তি পাক, কারো দয়ায় নয়। বিচারপতিদের বিবেক থাকলে তাকে মুক্তি দিবেন। এ মামলা যে হাস্যকর, সেটি হাসিনাও জানেন। আসলে মামলাটি হয়েছে ভারতের প্রেসক্রিপসনে। তিনি বলেন, আপনাদের এখন দুটো দায়িত্ব। খালেদার মুক্তি আর সুশাসন ফিরে আনা। আওয়ামী লীগ ভারতের দয়া চাচ্ছে, ভারত সব সময় কম দিয়ে বেশী জিনিস নিয়ে যায়। আমাদের দেশে গণতন্ত্রের বড় বাঁধা ভারত। ডা. জাফরুল্লাহ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যকে উদ্ভট আখ্যা দিয়ে বলেন, তিনি আগেই বেগম খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার ব্যাপারে কিভাবে বক্তব্য রাখলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবি সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন বলেন, প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়ার বক্তব্য নিয়ে মিথ্যা বক্তব্য দিচ্ছেন। ম্যাডাম এতিমের কোন টাকা আত্মসাৎ করেনি। ১/১১’র সময় শেখ হাসিনার নামে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের টাকা নিয়ে একটি মামলা হয়েছে। আর তখন মাইনাস টু ফর্মুলা বাস্তবায়নের জন্য বেগম খালেদা জিয়ার নামে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের একটি মামলা করা হয়। পরবর্তীতে কোন প্রমাণ না পাওয়ায় বেগম জিয়ার মামলাটির ফাইনাল রিপোর্ট দেয়া হয় আর শেখ হাসিনার মামলাটির চার্জশীট দেয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে খালেদা জিয়ার মামলার ফাইনাল রিপোর্টটি আদালতে না পাঠিয়ে তাদের অনুগত ডবল প্রমোশনধারী একজন অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। পরে এটির চার্জশীট দেয়া হয়। তিনি বলেন, আদালত নাকি স্বাধীন? কোন প্রাইভেট ট্রাস্টির বিরুদ্ধে মামলা চলতে পারে না বলে যুক্তি দেখিয়ে শেখ হাসিনাকে অব্যাহতি দেয়া হয় আর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চার্জশীট দেয়া হয়।
পেশাজীবি নেতা ডা. খুরশিদ জামিলের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন ড্যাবের সভাপতি ও পেশাজীবি পরিষদের মহাসচিব ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ড্যাব কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া, এ্যাব সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ড্যাব নেতা ডা. ফাওয়াজ হোসেন শুভ, ইঞ্জিনিয়ার এসোসিয়েশনের মহাসচিব হাসান জাফরী তুহিন, এমবিএ এসোসিয়েশনের মহাসচিব শাকিল ওয়াহিদ, কৃষিবিদ শামিমুর রহমান, সুপ্রিমকোর্ট বার কাউন্সিলের সাবেক সদস্য এড. কবীর চৌধুরী, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর নসরুল কদির, চট্টগ্রাম জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল আলম, এ্যাব চট্টগ্রাম সভাপতি কাজী সুফিয়ান প্রমুখ।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:১৪ এএম says : 0
    আমি এখানে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি গণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্য নিয়ে কথা বলতে চাই কারন এখানে আর যারা বলেছেন তাদের সম্পর্কে আমার কিছুই বলার নেই কারন এদের শুরু বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ। কিন্তু ডাঃ জাফ্রুল্লাহ তিনি বাঙালী জাতীয়তাবাদী বিশ্বাসী হয়ে কিভাবে জামাতী কায়দায় বলেন সেটাই আমাকে অবাক করে আর বার বার ওনার কথা আমি প্রতিবাদ করি এবং সেসব ছাপাও হয় পত্রিকায় তারপরও ওনার পরিবর্তন নেই কারন উনি এসব পড়েও না পড়ার ভান করেন। ................
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ