পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর কাঁচাবাজারে সবজির দাম কমছে। বিশেষ করে আলু, টমেটো ও মূলার দাম কমেছে। এতে গ্রাম অঞ্চলে চাষীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ফলে প্রান্তিক চাষীদের চোখেমুখে হতাশার ছাপ রিবাজ করছে। এদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে কিছু সবজির দাম। আর চাল ও চিনি দাম আরেক দফা বেড়েছে। গতকাল শুক্রবার কারওয়ান বাজার, হাজারীবাগ, নিউমার্কেট, ধানমন্ডি কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
গতকাল কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, আলু প্রতি কেজি ১৫ টাকায়, টমেটো প্রতি কেজি ২০ টাকায় এবং মূলা প্রতি কেজিতে ১৫ টাকায় পাওয়া যাচেছ। এছাড়াও বেগুন প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা, শিম ৪০ টাকা, দেশি টমেটো ২৫ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, প্রতি পিস বাঁধাকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ৩০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পেঁয়াজ পাতা এক আঁটি ১৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া এক আঁটি লাল শাক ১৫ টাকা ও ধনিয়াপাতা ৪০ টাকা কেজি। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা, দেশি মুরগি ২৪০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি প্রতি পিস আকারভেদে ১৫০ থেকে ২২০ টাকা ও পাকিস্তানি মুরগি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিভিন্ন ধরনের সবজি খুচরা বাজারে ২০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। গতকাল তেজগাঁওয়ের কলমিলতা বাজারের বিক্রেতা মো. জহিরের দোকানে প্রতি কেজি গোলবেগুন ৪০ টাকা, শিম ৩০ টাকা, শালগম ২০ টাকা, টমেটো ২০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতিটি ২০ টাকা এবং আলু প্রতি কেজি ২০ টাকা দরে বিক্রি হয়। ওই বিক্রেতা বলেন, শীতের সবজির দাম এখন অনেক কম। তবে মূল্য চড়া নতুন আসা গ্রীষ্মকালীন সবজির। এর মধ্যে উচ্ছে ১৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা ও ঢ্যাঁড়স ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির কেজিপ্রতি দর ১৩০ টাকা। সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫৫ ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ খুচরা বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়। মিরপুর-১০ নম্বর কাঁচাবাজারে ক্রেতা মিঠুন বলেন, পেঁয়াজ ও চালের দামে আমাদের পকেট শেষ। এতোদিন ধরে চাল ও পেঁয়াজের দাম বাড়ছে,
আরেক দফা বাড়লো চালের দাম: গত বছরের মাঝামাঝি থেকেই অস্থির দেশিয় চালের বাজার। কখনও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসল নষ্ট হওয়ায়, কখনও আমদানি সমস্যার কারণে চালের দাম বেড়েছে দফায় দফায়। চলতি বছরে এসেও চালের বাজার দরে স্থিরতা আসেনি। এরইমধ্যে আরেক দফা চালের দাম বেড়েছে। এবার কেজি প্রতি ৩ টাকা করে চালের দাম বেড়েছে বলে বিক্রেতারা জানান। খুচরা বিক্রেতাদের তথ্য অনুযায়ী, কেজি প্রতি নাজিরশাইল চালের দাম ৩ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭৩ টাকায়, ১ নম্বর মিনিকেটের দাম ৩ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়, ২ টাকা বেড়ে সাধারণ মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬২ টাকায়, বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায় এবং স্বর্ণা ও পারিজা চালের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। মিরপুর-৬ নম্বর ও ১০ নম্বর কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা চালের খুচরা বিক্রেতারা জানান, আমন মৌসুম শেষে চাল বাজারে চলে এসেছে অনেক আগে। এখন বোরো মৌসুম আসার অপেক্ষা এবং আমন শেষ হওয়ার মাঝামাঝি সময় চলছে। এই সময়ে চালের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পায়।
মিরপুর-৬ নম্বর কাঁচাবাজারের চালের খুচরা বিক্রেতা মো. বলেন, বাজারে চালের যোগান কিছুটা কম। বোরো মৌসুমের চাল বাজারে আসলে এই দাম কমবে, এর আগে নয়। মিরপুর-১০ নম্বরের চাল বিক্রেতা বলেন, মোকামে গেলে চাল পাই না। বেশি দামে এখন চাল কিনতে হচ্ছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করছি। অন্যদিকে পেঁয়াজের বাজারেও অস্থিরতা চলছে।
চিনির দাম বেড়েছে: রাজধানীর পাইকারি বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য চিনির দাম বেড়েছে। কারওয়ান বাজারের পাইকারি দোকানে পণ্যটির দাম কেজিতে আড়াই টাকার মতো বাড়তি। আর পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে চিনির দাম মণপ্রতি ৭০ টাকা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। অবশ্য সব খুচরা বাজারে চিনির নতুন দরের প্রভাব এখনো পড়েনি। কারওয়ান বাজারের কিছু খুচরা দোকানে দর বেড়েছে। এসব দোকানের বিক্রেতারা জানিয়েছেন, তাঁরা নতুন করে চিনি বাড়তি দরে কিনেছেন বলেই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। দেশে চিনির বাজার বেশ কয়েক মাস ধরেই স্থিতিশীল ছিল। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনির দাম এখন ৫২-৫৬ টাকা। আর প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬০-৬২ টাকা দরে। ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।