Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ফিলিস্তিনের সংগ্রাম শুধু মুসলিমদের নয় বরং এটি সকলের অধিকারের সংগ্রাম -ড. সলিমুল্লাহ খান

| প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

 ঢাবি সংবাদদাতা : যে কোন মূল্যে জেরুজালেমের অখন্ডতা রক্ষা করতে হবে। কারণ এটি সকলের জন্য পবিত্র শহর। জেরুজালেম নিয়ে ফিলিস্তিনের সংগ্রাম শুধুমাত্র মুসলিমদের নয় বরং এটি সকলের অধিকারের সংগ্রাম; এটা মনে রাখতে হবে। গতকাল ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় মডেল ওআইসি ক্লাব আয়োজিত ‘জেরুজালেম সংকট; সম্ভাব্য রাজনৈতিক সমাধান’ শীর্ষক এক একাডেমিক সেমিনারে কি নোট স্পিকার হিসেবে এসব কথা বলেন ‘সেন্টার ফর এ্যাডভান্স থিওরি’র পরিচালক ও ইউল্যাব বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান। 

মডেল ওআইসি ক্লাবের সভাপতি এস এইচ এম মিনহাজ উদ্দীনের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা সাইয়েদ মূসা হোসাইনী, এতে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এ টি এম শামসুজ্জোহা, সমাজকল্যান ও গবেষনা ইনিস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল ইসলাম।
সেমিনারে ড. সলিমুল্লাহ বলেন, জেরুজালেমের কোন অর্ধনৈতিক গুরুত্ব না থাকলেও এর ধর্মীয় গুরুত্ব তাকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। এটি শুধুমাত্র মুসলিমদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবলে ভুল হবে। বরং এটি হযরত ইব্রাহীমের ধর্মের অনুসারী ইহুদি, খ্রিস্টান ও মুসলিম সকলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরো বলেন, ইহুদী জায়নবাদীদের হাত থেকে জেরুজালেমকে দখল মুক্ত করার জন্য মুসলিম শক্তি সহ ওআইসি এবং আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোকে এক হতে হবে। আমি মনে করি, আন্তর্জাতিক খ্রিস্টান সম্প্রদায় সবসময় ফিলিস্তিনিদের সাথে আছে। তারাও চায় জেরুজালেমের উপর জায়নবাদী কর্তৃত্বের অবসান ঘটুক। এসময় তিনি বলেন, তবে আশার কথা হলো ইজরায়েল এখনো বিশ^জনমতকে গায়ের জোড়ে পাল্টাতে পারেনি। ফলে ট্রাম্প প্রশাসনও জেরুজালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী ঘোষনার ব্যাপারটি স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছেন। আরেকটি যুদ্ধ কখনোই জেরুজালেমের জন্য মঙ্গল ডেকে আনবেনা বরং শান্তির জন্য সমাধানে আসতে হবে।
তিনি বলেন, বাজারে তিনটি প্রস্তাব চালু আছে জেরুজালেম সঙ্কট সমাধান নিয়ে। তার মধ্যে আমার কাছে গ্রহণযোগ্য প্রস্তাব হলো জেরুজালেমকে আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের হাতে হস্তান্তর করতে হবে। এই প্রতিনিধি দলে যেমন তুর্কীরা থাকবে তেমনি ইহুদী, খ্রিষ্টান ও অন্যান্য মুসলিম সম্প্রদায়ও থাকবে। তারাই ঠিক করবে জেরুজালেম কিভাবে শাসিত হবে। এসময় জেরুজালেম সঙ্কটের জন্য তিনি ফিলিস্তিনী নেতাদের অদূরদর্শীতার কথাও উল্লেখ করেন। প্রধান অতিথি হিসেবে সাইয়েদ মূসা হোসাইনী বলেন,যতক্ষন না পর্যন্ত ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসলামি সরকার ও নেতৃবৃন্দ কোন ঐক্যমতে না পৌছাতে পারবেন ততক্ষণ পর্যন্ত কোন কার্যকর ভূমিকা আশা করা যায়না। ইসলামী সংস্থার দেশগুলোর নেতারা শুধু বাহ্যিকভাবে ফিলিস্তিন ইস্যুতে সমর্থন দিয়ে পর্দার আড়ালে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগীতায় লিপ্ত থাকলে এবং সহযোগীতার বদলে মুসলিম ভাইদের বিরুদ্ধে অস্ত্রের প্রয়োগ করলে এ সংস্থা আরো অকার্যকর হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ