পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থায় বছরের পর বছর ধরে চাকরি করা এবং অনিয়মের অভিযোগ থাকা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলি শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল (বৃহস্পতিবার) এ ধরনের ৩০ জন কর্মকর্তাকে দেশের বিভিন্ন এলাকার কলেজে বদলি করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তা হিসেবে দীর্ঘ দিন ধরে ঢাকায় কর্মরত বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের ২৯ জনকে রাজধানীর বাইরে বদলি করেছে সরকার। এসব কর্মকর্তা প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় পোস্টিং নিয়ে আছেন এবং তাদের কারো কারো বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে। বদলি করা কর্মকর্তাদের মধ্যে মাউশির আটজন, ঢাকা বোর্ডের ছয় জন, এনসিটিবির নয়জন, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের একজন এবং ঢাকার বাইরের কয়েকটি শিক্ষা বোর্ডের ছয় কর্মকর্তাকে বদলি করে।এর মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস), ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ও বিদ্যালয় পরিদর্শক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক, উপ-পরিচালক ও সহকারী পরিচালক; জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এবং পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা রয়েছেন। প্রশ্নফাঁস নিয়ে তীব্র সমালোচনার মধ্যে এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই ব্যবস্থা নিল।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশ পত্র থেকে জানা যায়, মাউশির পরিচালক (মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন উইং) মো. সেলিম, উপ-পরিচালক (হিসাব ও নিরীক্ষা) মো. ফজলে এলাহী, উপ-পরিচালক (কলেজ-২) মো. মেসবাহ উদ্দিন সরকার, উপ-পরিচালক এস এম কামাল উদ্দিনকে বদলি করে ঢাকার বাইরে পাঠানো হয়েছে। মাউশির উপ-পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম সিদ্দিকি, সহকারী পরিচালক (কলেজ-৪) জাকির হোসেন, উপপরিচালক ( প্রশিক্ষণ) খ ম রাশেদুল হাসান এবং সহকারী পরিচালক (কলেজ-২) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনকেও বদলি করেছে সরকার।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক আশফাকুস সালেহীন, বিদ্যালয় পরিদর্শক এ টি এম মঈনুল হোসেন, উপসচিব মোহাম্মদ নাজমুল হক, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাসুদা বেগম, কলেজ উপ-পরিদর্শক মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈ (শিক্ষামন্ত্রীর সাবেক এপিএস) এবং উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অদ্বৈত কুমার রায়কে ঢাকার বাইরে পাঠনো হয়েছে। এনসিটিবির সম্পাদক দিলরুবা আহমেদ, বিশেষজ্ঞ ফাতেমা নাসিমা আক্তার, বিশেষজ্ঞ মনিরা বেগম ও শাহীনারা বেগম রয়েছেন বদলি হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে। এনসিটিবির গবেষণা কর্মকর্তা মারুফা বেগম, মো. হাবিবুল্লাহ ও মোহাম্মদ শাহ আলম এবং উৎপাদন নিয়ন্ত্রক মো. আব্দুল মজিদ ছাড়াও পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী শিক্ষা পরিদর্শক মো. কাওসার হোসেনকে বদলি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এছাড়া দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ রফিকুল ইসলামকে জয়পুরহাটে, যশোর শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অমল কুমার বিশ্বাসকে সিরাজগঞ্জে, কুমিল্লা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কায়সার আহমেদকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও বিদ্যালয় পরিদর্শক ইলিয়াস উদ্দিন আহম্মদকে নওগাঁ, বরিশাল বিএম কলেজের মোঃ হেমায়েত উদ্দিনকে বগুড়া, বরিশাল বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক মোঃ আবুল বশার তালুকদারকে পটুয়াখালীতে বদলি করা হয়েছে।
এসব কর্মকর্তার মধ্যে কেউ কেউ ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে রয়েছেন। কেউ কেউ লেকচারার থেকে প্রফেসর হয়েছেন একই সংস্থায় থেকে। কেউ কেউ আবার পদোন্নতি পেলেও শুধু এখানে থাকার জন্য নিচের স্তরে চাকরি করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।