পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আগামী মার্চ-এপ্রিলে পুনরায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু হচ্ছে। এ কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবারকে চাল দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর খদ্য ভবন সভাকক্ষে সার্বিক খাদ্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য জানান। কামরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে খাদ্যশস্যের মজুদ রয়েছে ১৪ লাখ ৪০ হাজার টন। এর আগে একবারই খাদ্যশস্যের মজুদ হয়েছিল ১৬ লাখ টন। আর এবারই মজুদ দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৩০ হাজার টন। গুদামে খাদ্যশস্যের মজুদ প্রায় সর্বোচ্চ রয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে খাদ্য সংগ্রহ করতে না মজুদ কমে গিয়েছিল। তাই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছিল। এবার আগামী মার্চ-এপ্রিলে পুনরায় এ কর্মসূচি চালু হবে। এ কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবারকে চাল দেয়া হবে। কামরুল বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবারকে বছরে দুইবার ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেয়া হয়। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভম্বর মাসে প্রথমবার এ কর্মসূচির আওতায় চাল দেয়া হয়। প্রথমবার হওয়ায় ওই সময় চাল বিতরণে কিছু সমস্যা হয়েছিল। কিছু দুর্নীতি ও অনিয়মও হয়েছিল। সেজন্য ৩৬ জন ডিলারের লাইসেন্স বাতিল, কিছু ডিলারের কার্ড বাতিল এবং অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের প্রায় সাড়ে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, সেই ভুলত্রæটি থেকে শিক্ষা নিয়ে ২০১৭ সালের মার্চ-এপ্রিলে নির্ভুলভাবে চাল বিতরণ করা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু গত বছর হাওর অঞ্চলে হঠাৎ অতিবন্যা এবং কয়েকটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ১২ লাখ টন খাদ্যশস্য সংগ্রহ করার কথা থাকলেও সংগ্রহ করতে পেরেছিলাম মাত্র আড়াই লাখ টন। তাই গত সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভম্বরে এ কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়। তবে বর্তমানে সরকারের খাদ্যশস্য মজুদ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। তাই আগামী মার্চ-এপ্রিলে আবার এ কর্মসূচি যথা সময়ে চালু হবে। মন্ত্রী বলেন, এই কার্যক্রমে প্রতিমাসে সরকারের দরকার হয় দেড় লাখ টন চাল। বর্তমানে যে পরিমাণ চাল সরকারের গুদামে মজুদ রয়েছে তাতে এ কার্যক্রম চালালে কোনো অসুবিধা হবে না। তিনি বলেন, ওই পরিস্থিতিকে পুঁজি করে চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে চালের বাজার অস্থিতিশীল করে তোলে। কিন্তু এখন এসব পরিস্থিতি অতিক্রম করে খাদ্যশস্যের মজুদ দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ২০ হাজার টন। যা প্রায় যেকোনো সময়ে তুলনায় সর্বোচ্চ। এর মধ্যে চাল রয়েছে ১০ লাখ ৪০ হাজার টন, বাকিটা অন্যান্য খাদ্য। মন্ত্রী বলেন, চলতি আমন মৌসমে ৩ লাখ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু মিল মালিকদের সঙ্গে ইতোমধ্যে ৬ লাখ টন চাল সংগ্রহের চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। এর মধ্যে ৫ লাখ ৪০ হাজার টন চাল সরকারের গুদামে জমা হয়েছে। বাকি ৬০-৬২ হাজার টন চাল গুদামে চলে আসবে। তিনি বলেন, আমন সংগ্রহের দিক দিয়ে এটি সর্বোচ্চ। এ সফলতাকে ধরে রাখতে পারলে চাল নিয়ে আর সমস্যা হবে না উল্লেখ করে মাঠ পর্যায়ের সবাইকে সঠিক কাজ করতে হবে। এ সময় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহাবুদ্দিন আহমেদ, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. বদরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।