Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশ মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে

সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ

| প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টার : স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর বাংলাদেশ মৎস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ায় ‘মাছে ভাতে বাঙালি’ প্রবাদটির গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য আবার পুনরুদ্ধার হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দেশে মাছের মোট উৎপাদন হয়েছে ৪১.৩৪ লাখ মে. টন, যার প্রায় ১২ শতাংশই হল ইলিশ বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ।
তিনি বলেন, দেশের জিডিপিতে স্বাদে, গন্ধে সবার সেরা ইলিশমাছের অবদান ১ শতাংশ। প্রায় ২৫ লাখ লোক ইলিশমাছ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও এ সংক্রান্ত অন্যান্য কার্যক্রমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থেকে জীবিকা নির্বাহ করে। গতকাল মৎস্য অধিদফতরে ২৪ ফেব্রæয়ারি থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত জাটকাসংরক্ষণ সপ্তাহ-২০১৮ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী।
নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ ভৌগলিক নিবন্ধন প্রদান করেছে। বাংলাদেশ ইলিশ শীর্ষক ভৌগলিক নিবন্ধন সনদ (জিআই সনদ) প্রাপ্তিতে এবার নিজস্ব পরিচয় নিয়ে বিশ্ববাজারে হাজির হবে বাংলাদেশের ইলিশ। মৎস্যসম্পদে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিশ্বে উপস্থাপিত হবে ইলিশের দেশ হিসেবে। তিনি বলেন, মা-ইলিশসংরক্ষণ অভিযানের সময় জেলেদের ভিজিএফ সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং বিগত দুইবছরে মোট ১৪ হাজার ৮২৪ মে. টন চাল বিতরণ করে। ইলিশসম্পদের উন্নয়নে প্রয়োজনীয়তার নিরিখে বিদ্যমান আইনসংশোধন করে জাটকা-আহরণের নিষিদ্ধ সময় নভেম্বর হতে জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি এবং জাটকার দৈর্ঘ্য ২৫ সেন্টিমিটার করা হয়েছে। জাটকাসংরক্ষণে বর্তমান সরকার বিগত নয় বছরে মোট ২ লাখ ৩৪ হাজার ৭৫৭ মে. টন খাদ্যসহায়তা প্রদান করেছে, যা বিগত ২০০৪-০৫ হতে ২০০৭-০৮ পর্যন্ত চারবছরে বিতরণ করা হয়েছিল মাত্র ৬ হাজার ৯০৬ মে. টন চাল। মন্ত্রী জানান, ইলিশের কাক্সিক্ষত উৎপাদন না পাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে কারেন্ট জাল, বেহুন্দি জালসহ অন্যান্য অবৈধজাল দিয়ে নির্বিচারে জাটকানিধন। তাই জাটকাসহ অন্যান্য মৎস্যসম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ জাল নির্মূলে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ১৫ হতে ৩০ তারিখ পর্যন্ত বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলায় ‘সম্মিলিত বিশেষ অভিযান’ পরিচালিত হয়। এ অভিযানের ফলে দশজেলায় মোট ৩৪১টি মোবাইল কোর্ট ও ৯৩৫টি অভিযান পরিচালনা করে ১৪৪২টি বেহুন্দি জাল, ৩৪.০৪ লাখ মিটার কারেন্ট জাল এবং ২১০৫টি অন্যান্য জাল আটকসহ ৩.৩৫ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ