পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিরল রোগে আক্রান্ত মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ১৩ বছরের কিশোর আব্বাস শেখের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়ে তার চিকিৎসা শুরু করেছে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল লিমিটেড। গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে তিনটায় আব্বাস শেখকে নিয়ে তার বাবা রাজ্জাক শেখ মালিবাগে অবস্থিত ডা. সিরাজুল ইসলাম হাসপাতালে পৌঁছলে জরুরি বিভাগে আব্বাসকে ভর্তি করা হয়। জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেদী হাসান রাজু আব্বাসের শরীর প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সার্জারি বিভাগে ভর্তির জন্য নির্দেশনা দেন।
আব্বাস শেখকে ১০০৭ নং কেবিনে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জেনারেল সার্জন ও সহকারী রেজিস্টার সহযোগী অধ্যাপক ডা. এ কে এম রুহুল আমীনের অধীনে ভর্তি করা হয়।
ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেদী হাসান রাজু বলেন, আব্বাসের শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। পরীক্ষার নিরীক্ষা ঠিক তার কি রোগ হয়েছে তা জানা যাবে। এর আগে বিরল রোগে আক্রান্ত আব্বাসকে নিয়ে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রকাশিত সংবাদ প্রতিষ্ঠানটির চিফ ইক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. এম এ আজিজ দেখলে বিরল রোগে আক্রান্ত মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ১৩ বছরের কিশোর আব্বাস শেখের চিকিৎসার দায়িত্ব নেবার ইচ্ছা পোষণ করেন। পরে হাসপাতালের পক্ষ থেকে আব্বাস শেখের বাবা রাজ্জাক শেখের সাথে যোগাযোগ করা হয়। সামগ্রিক বিষয় জানার পর রাজ্জাক শেখ আব্বাসকে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালে চিকিৎসা সেবার নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান। গতকাল বুধবার রাজ্জাক শেখ তার ছেলে আব্বাসকে নিয়ে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালে নিয়ে আসেন।
উল্লেখ্য, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ১৩ বছরের কিশোর আব্বাস শেখ। তার ডান পা ফুলে বিশালাকৃতির হয়েছে। এতে করে সে চলাফেরা করতে পারছে না; এমনকি তার স্কুলে যাওয়াও বন্ধ। তার পা দিয়ে বের হচ্ছে এক ধরনের রস। এ কারণে বাইরের কেউ তার সাথে মেশে না। এছাড়াও তার সারা শরীরজুড়ে উঠেছে আচিল। সব মিলে করুণ যন্ত্রণায় দিন কাটছে এ কিশোরের।
ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা আশা করছে খুব দ্রæতই যথাযথ চিকিৎসায় আব্বাস স্বাভাবিক হয়ে ওঠবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।