Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

এখন আর আমাদের কেউ অবহেলা করতে পারে না -প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ৮:৫৯ পিএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মাতৃভাষা বাংলা নিয়ে অনেক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে। ভুক্তভোগী হিসেবে আমাদের বিষয়টি মনে আছে। পাকিস্তান থেকে কখনও বলা হয়েছে আরবি হরফে, আবার কখনও রোমান হরফে বাংলা লেখার কথা বলা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ পড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা এসেছে। ভাষা ও স্বাধীনতা নিয়ে এতো ষড়যন্ত্রের পরও মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এখন আর আমাদের কেউ অবহেলা করতে পারে না। নিজেদের প্রচেষ্টায় আমরা বিশ্বে একটা মর্যাদা পাচ্ছি।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে চারদিন ব্যাপী এক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর জাতিসংঘের অধিবেশনে বাংলায় প্রথম ভাষণ দেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রতিবছর জাতিসংঘের অধিবেশনে যতোবার গিয়েছি আমিও বাংলায় ভাষণ দিয়েছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য আমি সবার সহযোগিতা চাই। দেশকে এগিয়ে নিতে এবং বিশ্বের দরবারে আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে সবার সহযোগিতা দরকার। এছাড়া আগামী প্রজন্মের কাছে দেশের ঐতিহ্য তুলে ধরতে আমাদের ঐতিহ্য সংরক্ষণ করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির জনককে হত্যা করা হয়। এরপর যারা ক্ষমতায় আসে তারাও আইয়ুব-ইয়াহিয়ার মতো ক্ষমতা দখল করে। অনেক ত্যাগ ও সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা যেন নিজেদের ভাষা ও ঐতিহ্যকে ভুলে না যাই। তবে বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে নতুন ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যে জর্জরিত ছিল তা থেকে আমরা এখন অনেকটা মুক্তি পেয়েছি। আমরা বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে থাকতে চাই। সে চেষ্টাই করে যাচ্ছি।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী এবং ঢাকায় ইউনেস্কোর প্রধান প্রতিনিধি বি কালদুনও বক্তৃতা করেন।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১১:০৩ পিএম says : 0
    বাংলা ভাষা নিয়ে বাঙ্গালীরা সংগ্রাম করে আসছে বলতে গেলে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে। তবে ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষার জন্য আন্দোলন করে শহীদ হয়েছিল ২১শে ফেব্রুয়ারি বাঙ্গালী দামাম ছেলেরা। আজ সেই দিন আমরা ভুলিনাই সেই দিনকে তাই আজও আমরা তাদের স্মরণে ভক্তির সাথে উদযাপন থাকি। ভাষা সৈনিকেরা পেয়ে থাকেন সম্মাননা। এবং এই দিনে ভাষার উপর যারা কাজ করেন তাদেরকেও মূল্যায়ন করা হয়। ১৯৭২ সালে পৃথিবীর ইতিহাসে জাতিসংঘে জাতীর জনক বাংলায় প্রথম বক্তৃতা দিয়েছেলেন আর এখন দিচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই বাংলা ভাষাটা কি শুধু মাত্র আওয়ামী লীগের সম্পদ নাকি সমস্ত রাজনৈতিক দলের ভাষা। তাহলে অন্য দল ক্ষমতায় থাকলে জাতিসংঘে বাংলায় বক্তৃতা দেননা কেন??? আমি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করতে চাই তিনি যেন জাতীয় সংসদে আইন পাশকরে আন্তর্জাতিক ভাবে অন্তত জাতিসংঘের প্রতিটি অনুষ্ঠানে বাংলায় বক্তৃতা দেয়ার প্রচলন শুরু করেন। আমরা যাই করিনা কেন আল্লাহ্‌ সবকিছুই অবগত আছেন। আমীন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ