পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ধর্ষণে অভিযুক্তদের সাজা দিতে আইন নিজেদের হাতেই তুলে নিল সাধারণ মানুষ। সোমবার অরুণাচল প্রদেশের লোহিত জেলার ঘটনা। দুই চা শ্রমিককে পিটিয়ে মারল জনতা।
গত ১২ ফেব্রæয়ারি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় লোহিত জেলার নামগো মিসিং গ্রামের বছর পাঁচের একটি শিশু। ১৭ ফেব্রæয়ারি তার গলাকাটা লাশ পাওয়া যায় স্থানীয় একটি চা বাগানের কাছে। ওই ঘটনায় সঞ্জয় সুবুর ও জগদীশ লোহার নামে ২ চা বাগান শ্রমিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের দুজনেরই বয়স ৩০ ছুঁই ছুঁই। পুলিশের কাছে ওই দু’জন স্বীকার করে ধর্ষণের সময়ে শিশুটি চিৎকার করায় তার মাথা কেটে ফেলে তারা। ওই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভে ফুঁসছিল এলাকার মানুষজন। অভিযুক্তদের তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে লোহার রড, হাতুড়ি হাতে
গত সোমবার ভোরে তেজু থানার সামনে জড়ো হয় সশস্ত্র জনতা। পুলিশ তাদের দাবি না মানলে থানায় হামলা চালায়। জনতার রোষ থেকে বাঁচতে থানা ছেড়ে পালায় পুলিশ। সেই সুযোগে থানা ভেঙে ২ অভিযুক্তকে বাইরে বের করে আনা হয়। বাজারের মধ্যে তাদের তাদের নগ্ন করে ঘোরানো হয়। এরপর হাত কেটে প্রকাশ্যে পিটিয়ে মারা হয় ওই দুই অভিযুক্তকে। জ্বালানোরও চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তারা তাদের আটকে লাশ উদ্ধার করেন। লোহিত পুলিশ সুপার এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, জনতাকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। ভয়ঙ্কর এ ঘটনার পর সঙ্গে সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসে লোহিত প্রশাসন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তেজুতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ১২ ফেব্রæয়ারী সঙ্ঘটিত ধর্ষণের বিচার চেয়েছিল জনতা। সেদিন থেকেই নিখোঁজ ছিল নমগো গ্রামের ৫ বছরের মেয়েটি। পরে কয়েক কিলোমিটার দূরে চা বাগান থেকে উদ্ধার করা হয় তার লাশ। ধর্ষণ ও গণপিটুনি উভয় ঘটনার নিন্দা করেছেন অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্দু।
২০১৫ সালেও ঠিক একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল নাগাল্যন্ডের। সেবার ডিমাপুরে সেন্ট্রাল জেল ভেঙে ধর্ষণে অভিযুক্ত এক যুবককে বের করে এনে পিটিয়ে মারে জনতা। সূত্র : জি নিউজ ও টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।