পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : অবসরে যাওয়া প্রতিরক্ষা বাহিনী (সেনা নৌ ও বিমান) প্রধান সাংবিধানিক পদে নিয়োগ পেতে পারেন- এমন বিধান রেখে গতকাল সংসদে পাস হয়েছে প্রতিরক্ষা বাহিনী সমূহের প্রধানদের(নিয়োগ,বেতন,ভাতা এবং অন্যান্য সুবিধাদি) আইন ২০১৮। বিলে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রধান পদের মেয়াদ সর্বোচ্চ চার বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি পাসের জন্য উত্থাপন করেন। বিলটির ওপর জনমত যাচাই-বাচাই ও সংশোধনীর প্রস্তাব দেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র এমপিরা। কন্ঠভোটে তাদের প্রস্তাব নাকচ হয়। এর আগে বিলটি সংসদে উত্থাপন করা হলে তা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটি বিলটি পরীক্ষা-নীরিক্ষা ও পর্যালোচনা করতে ৩ সদস্যর সাব-কমিটি গঠন করে। এতে আহŸায়ক করা হয় মুহাম্মদ ফারুক খানকে। অপর দুই সদস্য ছিলেন- মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এমপি ও বেগম হোসনে আরা বেগম। পরে কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে বিলটি পাসের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়। পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইন দ্বারা বাধা আরোপিত না হইয়া থাকিলে অবসরপ্রাপ্ত কোন বাহিনী প্রধান সাংবিধানিক কোন পদে নিয়োগ লাভের জন্য অযোগ্য বলে গণ্য হবেন না। বিলের,উপ-ধারা ৯৩) এর বিধান সাপেক্ষে বাহিনী প্রধানের নিয়োগের মেয়াদ হইবে একসঙ্গে বা বর্ধিতকরনসহ নিয়োগ প্রদানের তারিখ হইতে অনুর্দ্ধ চার বছর। এছাড়া বিলে প্রতি মাসে বাহিনী প্রধানের বেতন ৮৬ হাজার টাকা হবে বলে উল্ল্যেখ করা হয়েছে। বাহিনী প্রধানদের পুন:নিয়োগ প্রসঙ্গে বিলে বলা হয়েছে-বাহিনী প্রধান অবসরপ্রাপ্ত হওয়া বা স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহন করার পর প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোন সামরিক বা বেসামরিক পদে পুন:নিয়োগ লাভে অযোগ্য হবেন। এ বিষয়ে শর্ত উল্ল্যেখ করে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জনস্বার্থে আবশ্যক মনে করিলে অবসরপ্রাপ্ত কোন বাহিনী প্রধানকে চুক্তি ভিত্তিতে প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোন বেসামরিক পদে নিয়োগ দান করতে পারবেন। বিলের উদ্দেশ্য ও কারন সম্পর্কে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৬২ অনুচ্ছেদ এর বিধানমতে,সংসদ আইন প্রণয়নের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা বাহিনীসমূহের প্রধানদের নিয়োগদান ও তাদের বেতন ও ভাতাদি র্নিধারন করার বিধান থাকলেও দীর্ঘদিন অতিক্রান্ত হওয়া সত্তে¡ও প্রতিরক্ষা বাহিনী সমূহের প্রধানদের নিয়োগ ও বেতন-ভাতাদি সম্পর্কিত কোন আইন প্রণয়ন করা হয়নি। এতে বলা হয়েছে, বর্তমানে প্রতিরক্ষা বাহিনীসমূহের প্রধানদের নিয়োগ ও বেতন-ভাতাদিও বিষয়টি সংবিধানের নির্দেশনার আলোকে স্বতন্ত্রভাবে ব্যবস্থিত না হয়ে বর্তমানে যৌথ বাহিনী নির্দেশনাবলী নামীয় ইন্সট্রুমেন্ট দ্বারা অন্যান্য সকল সামরিক কর্মচারির সঙ্গে একীভূতভাবেই ব্যবস্থিত হচ্ছে। এ ধরনের যৌথ বাহিনী নির্দেশনাবলীর পাঠোদ্ধার অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ কর্তৃক আইন প্রণয়ন করে বাহিনী প্রধানদের নিয়োগ এবং বেতন ও ভাতাদি সম্পর্কিত একটি স্বয়ংসম্পুর্ন আইন করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে বাহিনী প্রধানগন চাকুরিকালনি যে সকল আর্থিক সুবিধাদি প্রাপ্য রন,কোন রকম পরিবর্তন ছাড়া,উহাদের হুবহু অন্তর্ভুক্ত করে আইনের একটি প্রাথমিক খসড়া প্রস্তুত করা হয়। এতে বলা হয়েছে, খসড়াটির বিষয়ে প্রতিরক্ষা বাহিনীসমূহের ,সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ,অর্থ বিভাগ,জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়,আইন ও বিচার বিভাগ এবং কন্ট্রোালার জেনারেল অব ডিফেন্স ফাইন্যান্স এর মতামত গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে সেনা,নৌ ও বিমান বাহিনীর আইন,বিধি,বিধান,নির্দেশনাবলি ও আদেশসমূহ সংশোধন/রহিতকরন নতুনভাবে প্রনয়নপুর্বক যুগোপযোগী ও হালনাগাদ করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদানের জন্য গঠিত আন্ত:মন্ত্রণালয় কমিটির একাধিক সভায় খসড়াটি চূড়ান্ত করা হয়। প্রস্তাবিত খসড়াটি আইনে রুপান্তরিত হলে প্রতিরক্ষা বাহিনীসমূহের প্রধান পদে (নিয়োগদান ও মেয়াদ) আদেশ,২০১৬ সম্পুর্ন রহিত হবে এবং যৌথ বাহিনী নির্দেশনাবলী ১/২০১৬ আংশিক অকার্যকর হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।