পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আরটি : কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তার ভারতে প্রথম সরকারী সফরে এসেছেন। তবে বিশে^র বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিকট থেকে তিনি শীতল আচরণ পেয়েছেন বলে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা মন্তব্য করেছেন।
ট্রুডো বিমান বন্দরে অবতরণের পর তাকে প্রথা মোতাবেক অভ্যর্থনা জানাতে প্রধামন্ত্রী মোদি উপস্থিত ছিলেন না। বরং নয়াদিল্লীর বিমান বাহিনী ঘাঁটি পালামে তাকে অভ্যর্থনা জানান ভারতের কৃষি প্রতিমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। উল্লেখ্য যে যুক্তরাষ্ট্র, ইউএই ও ইসরাইলের নেতারা ভারত সফরে এলে মোদি স্বয়ং বিমান বন্দরে তাদের অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন। জাস্টিন ট্রুডো সপ্তাহব্যাপী ভারত সফরে এসেছেন শনিবার। সাথে রয়েছেন তার স্ত্রী ও তিন সন্তান। দু’দেশের মধ্রে সম্পর্ক জোরদারের জন্য তিনি এ সফরে এসেছেন। এ সফরে নির্দিষ্ট ভাবে বাণিজ্য বিষয়ে জোর দেয়া হবে। ভারত ও কানাডার মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৮শ’ কোটি ডলার। গত দশ বছরে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য দ্বিগুণ হয়েছে। জাস্টিন ট্রুডো ২০১৫ সালে কানাডার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এটাই তার প্রথম ভারত সফর। কানাডায় বর্তমানে ১৪ লাখ ভারতীয় বাস করেন যারা কানাডার মোট জনসংখ্যার শতকরা তিন ভাগ। সোমবার গুজরাটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সাথে তার বৈঠক হওয়ার কথা। এ সময় ট্রুডোর মন্ত্রিসভা শিখ বংশোদ্ভ‚ত সদস্যরাও উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকে বেসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতা, মহাকাশ, প্রতিরক্ষা, জ¦ালানি ও শিক্ষা বিষয়ে আলোচনা হবে।
শনিবার ভিয়াব সাপ্পানি নামে একজন ফেসবুকে মন্তব্য করেন, বিমান বন্দরের বার্তা পরিষ্কারঃ ভারত ট্রুডোকে অভ্যর্থনা জানারে কৃষি প্রতিমন্ত্রীকে পাঠিয়েছে। কোনো বিদেশী নেতাকে অভ্যর্থনা জানাতে এত কনিষ্ঠ কোনো মন্ত্রীকে এর আগে পাঠানো হয়নি। এ থেকে বোঝা যায় যে কানাডা-ভারত এখন কত খারাপ।
এদিকে ট্রুডোর মন্ত্রিসভার সদস্যদের বিরুদ্ধে ভারতের সহিংস বিচ্ছিন্নতাবাদী শিখদের প্রতি সমর্থন দানের অভিযোগ রয়েছে। দি ন্যাশনাল পোস্ট-এর খবরে বলা হয়, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং এ মাসের গোড়ার দিকে আউটলুক ইন্ডিয়া সাময়িকীকে বলেন যে ট্রুডোর মন্ত্রিসভায় খালিস্তানি সহানুভুতিশীলরা রয়েছে বলে ধারণা। ট্রুডোর মন্ত্রিসভায় শিখ বংশোদ্ভ‚ত মন্ত্রীর সংখ্যা ৪ জন। তাদের মধ্যে দু’জন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হরজিত সজ্জন ও অবকাঠামো মন্ত্রী অমরজিত সোহি জোরের সাথে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।