Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে রাজশাহীতে সাজ সাজ রব

| প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহীতে আগামী ২২ ফেব্রæয়ারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন ও জনসভা ঘিরে চলছে সাজ সাজ রব। নগরজুড়েতো বটেই উপজেলা পর্যন্ত নির্মাণ করা হচ্ছে তোরণের পর তোরণ। শোভা পাচ্ছে ছবি ও নানা শ্লোগানসহ ব্যানার। চারিদিকে যেন প্রচারণা প্রতিযোগিতা লেগেছে। নগরীর তোরণগুলোয় প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে ব্যানারের পাশপাশি রয়েছে উন্নয়নের চিত্র। স্থানীয় নেতাদের মধ্যে শুধুমাত্র ব্যবহার করা হচ্ছে সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের ছবি। তার সময়কার নগরীতে উন্নয়নের চিত্র সম্বলিত ব্যানারও টানানো হয়েছে। সড়কদ্বীপ বাধের কোলে উড়ছে বর্ণিল পতাকার পাশপাশি দলীয় পতাকা। সড়কদ্বীপগুলো ব্যানারে ছেয়ে গেছে। প্রতিদিন নিত্য নতুন ব্যানার ফেস্টুন যোগ হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ২২ ফেব্রæয়ারী রাজশাহীর মাদরাসা ময়দানে জনসভায় ভাষণ দেবেন। জনসভাকে জন সমুদ্রে রুপ দেবার জন্য একের পর এক বৈঠক চলছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিমসহ কেন্দ্রীয় বড় বড় নেতারা রাজশাহী এসে পুরো বিষয়টা মনিটরিং করছেন। দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। স্থানীয় নেতারা প্রচন্ড ব্যস্ত। নগরীতে মাইকযোগে চলছে প্রচারণা। হচ্ছে প্রচারণা মিছিল। নেতারা বলছেন উন্নয়নের বার্তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী আসছেন। ইতোমধ্যে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্ম এলাকা বাড়ছে। ফলে বাড়ছে থানার সংখ্যা। আগের চার থানার সাথে যোগ হচ্ছে আরো আট থানা। ঐদিন এর কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। বহুল প্রত্যাশিত রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করবেন। আরো অনেক উন্নয়নের বার্তা থাকবে এমনটি বলছেন স্থানীয় নেতারা। প্রধানমন্ত্রী এসে ২০টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন ৯টির। এর বাইরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৯টি দাবি জানানো হবে। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন একগুচ্ছ দাবি জানাচ্ছেন। এছাড়াও আবাসিকে বন্ধ গ্যাস সংযোগ চালু, ঐতিহ্যবাহী রেশম কারখানা উন্নয়ন, আব্দুলপুর হতে রাজশাহী পর্যন্ত রেলের ডুয়েলগেজ লাইন নির্মান, রাজশাহী-ঢাকা ননস্টপেজ ট্রেন, বিমান বন্দরের উন্নয়ন, ক্রিকেটের টেষ্ট ভেন্যু, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রাজশাহীকে আনুষ্ঠানিক ভাবে শিক্ষা নগরী হিসাবে ঘোষনাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের ঘোষনার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
২০০৮ সালের পর পঞ্চমবারের মত রাজশাহী সফরে আসছেন। গত বছর সেপ্টেমবরে পবার হরিয়ানে জনসভা করেন। এবার নগরীর প্রাণকেন্দ্র মাদরসা ময়দানে জনসভায় বক্তব্য রাখবেন। এবারের জনসভায় ভিন্নমাত্রা রয়েছে। হিসাব মতে আর কয়েক মাসের মধ্যে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন হবার কথা। আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসাবে তৎপর রয়েছেন সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। এরপর জাতীয় সংসদ নির্বাচন। মেয়রের আসনটি ফের ঘরে নেবার জন্য বেশী গুরুত্বপূর্ণ। মেয়রের আসনে বিজয়ী হলে পরবর্তীতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যার প্রভাব পড়বে। যদিও সংসদ নির্বাচনে জোটের ভোটের ভাগে রাজশাহী সদর আসনে প্রার্থী হবেন ওয়াকার্স পাটির সাধারন সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি। জনসভাকে সফল করার জন্য বসে নেই ছাত্রলীগ যুবলীগসহ অঙ্গ সংগঠনগুলো। ছাত্রলীগ ঘোষণা করেছে ময়দানের একটি অংশে তাদের নেতা কর্মীরা অবস্থান করবে। এজন্য মেয়েদের একই রংয়ের শাড়ি আর ছেলেদের ক্যাপ দেয়া হবে। এবারের প্রচারনায় একটু ভিন্নতা রয়েছে। কোন জনসভা হলে মূল দল ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা পাতি নেতাদের ছবি সম্বলিত ব্যানার ফেষ্টুনে ছেয়ে যেত। সামনে মেয়র নির্বাচন সম্ভবত সে কারনেই এবার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী, সজিব ওয়াজেদ জয়, কামারুজ্জামানের ছবি সম্বলিত ব্যানার ফেষ্টুন হবে। আর শুধু থাকবে মেয়র প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটনের ছবি সম্বলিত ব্যানার ফেষ্টুন। তাই নগরীতে এখন পর্যন্ত এমনটি দেখা যাচ্ছে। ভীষন ব্যাস্ত আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। নগরীকে পুরো নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেবার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে। জনসভার দিন যত ঘনিয়ে আসছে প্রচার-প্রচারনার পারদ ততই চড়ছে। রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলাতো বটেই। আশেপাশের জেলাগুলো হতে হাজার হাজার নেতাকর্মীর ঢল নামবে এমন প্রত্যাশার কথা বলছেন আয়োজকরা। টার্গেট একটাই জনসভাকে জনসমূদ্রে রুপান্তর করা।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ