Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এনবিআর’র সংশয় : গতি বাড়াতে নতুন কৌশল

| প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সংশয় প্রকাশ করেছে খোদ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে রাজস্ব আদায়ের গতি বাড়াতে নতুন কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে সংস্থাটি। যাতে করে রাজস্ব আদায়ের রেকর্ড প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়। রেকর্ড প্রবৃদ্ধি অর্জনে এনবিআরের পক্ষ থেকে নতুন করে দু-তিনটি পলিসির বিষয়ে চিন্তা করা হচ্ছে। যা শিগগিরই চূড়ান্ত হবে। এ প্রসঙ্গে এনবিআর ট্যাক্স পলিসির সদস্য কানন কুমার রায় বলেন, রাজস্ব আদায়ে মোট লক্ষ্যমাত্রা হয়ত পূরণ সম্ভব হবে না। তবে আমরা রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব প্রবৃদ্ধির চেষ্টায় আছি। এজন্য দু-তিনটি পলিসির কথা চিন্তা করেছি। এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাজেট প্রস্তাবে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করে লক্ষ্য ধরা হয়েছিল। পরে সেটি আর আরোপ না করায় ভ্যাট থেকে যে বাড়তি অর্থ আদায় হওয়ার কথা ছিল তা হচ্ছে না। ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের চিন্তা থেকে সরে আসার পর এটা অনেক বড় লক্ষ্যমাত্রায় পরিণত হয়, যেটা স্বাভাবিক। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুন-ডিসেম্বর) প্রায় ৯২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা কম। তবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১৭ শতাংশ বেশি। চার লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা আছে দুই লাখ ৮৭ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিয়ন্ত্রিত করের পরিমাণ ধরা হয় দুই লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।
এনবিআরের এ করের মধ্যে ভ্যাটের পরিমাণ ছিল ৯১ হাজার কোটি টাকা। আয়কর ও ভ্রমণকর ৮৭ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। আমদানি ও রফতানিপর্যায়ে করের পরিমাণ হচ্ছে ৭০ হাজার কোটি টাকা। রাজস্ব আদায় নিয়ে নতুন পরিকল্পনার কথা জানিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, রাজস্ব আদায়ের বিষয়ে আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াচ্ছি। রাজস্ব আদায় হবে তবে কাউকে চাপ দিয়ে নয়। এ বিষয়ে নতুন করে চিন্তা হচ্ছে। স¤প্রতি তিনি গণমাধ্যমকে জানান, লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়ার পাশাপাশি বকেয়া রাজস্ব আদায়ে যতœবান হতে বলা হয়েছে। এছাড়া আপীল ট্রাইব্যুনাল জোনকে অনিষ্পন্ন মামলা দ্রæত নিষ্পন্ন করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ‘মামলা নিষ্পত্তি হলে সরকার ৫০ হাজার কোটি টাকা পাবে’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সরকারের কাছে কিছু বকেয়া পাওনা রয়েছে। এ অর্থ আদায়ে সচিবদের ডিও লেটার দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে মন্ত্রিসভায় আলোচনা করে দিক নির্দেশনাও চাওয়া হবে।
পেট্রোবাংলার কাছে ২২ হাজার কোটি টাকা, পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের কাছে ২৩শ’ কোটি টাকা, ইমিগ্রেশন অথরিটির কাছে রয়েছে সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা, বিটিআরসি, মোবাইল অপারেটরসহ বেশকিছু কোম্পানির কাছে অর্থ পাওনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, এনবিআরের মাঠ অফিসগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দেয়া হবে। জনবল নিয়োগ দেয়া হবে। প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। জনবল বৃদ্ধি পেলে করের আওতা (ট্যাক্স নেট) বাড়ানোর সুযোগ হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ