পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চবি সংবাদদাতা : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) গতকাল (সোমবার) বিকেলে ছাত্রলীগের দুই গ্রæপের সংঘর্ষে ছয়জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে ছাত্রলীগের দুই পক্ষই গুলি ছুঁড়েছে। ব্যবহার করেছে আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল সংখ্যক দেশি অস্ত্র। পরিস্থিতি সামাল দিতে টিয়ারশেল ছুঁড়েছে পুলিশ। ক্যাম্পাসে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। জুনিয়রদের মধ্যে কথাকাটাকাটিকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল ও শাহ আমানত হলের সামনে এ সংঘর্ষ হয়। আহতদের বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মধ্যে তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য মোয়াজেম জেমস ও পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ- আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক সায়ন দাশ গুপ্ত। তারা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সংগঠন সিএফসি গ্রæপের নেতা। অন্যদিকে আহত তানজিল হৃদয় রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থী ও সিক্সটি নাইন গ্রæপের কর্মী। সে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী বলে পরিচিত। অন্যদিকে নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী তানবির বহমান, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ২ বর্ষের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম, ইতিহাস বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী জয়। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন গ্রæপের অনুসারী বলে পরিচিত তা জানা যায়নি।
জানা যায়, সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বগিভিত্তিক সংগঠন সিএফসি ও একাকার গ্রæপের কয়েকজন জুনিয়র কর্মীদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে বিকেলে বগিভিত্তিক সংগঠন একাকার ও সিক্সটি নাইন এক হয়ে বগিভিত্তিক সংগঠন সিএফসির সাথে সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষের সময় শাহজালাল হল থেকে দুই রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয় এবং শাহ আমানত হল থেকে এক রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়। পরবর্তীতে পুলিশ আসলে সিএফসি গ্রæপের কর্মীরা শাহ আমানত হলে ও সিক্সটি নাইন গ্রæপের কর্মীরা শাহজালাল হলে অবস্থান নেয়। এসময় দুই হলের ছাদে থেকে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। এক পর্যায়ে সিক্সটি নাইনের কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শাহ আমানত হলের সামনে আসলে সিএফসি নেতাকর্মীরা তাদেরকে ধাওয়া দেয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে লাঠিচার্জ ও ছয় রাউন্ড টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেন। এসময় ছয়জন আহত হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুই গ্রæপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলছিল। এসময় পুলিশ দুই হলের মাঝে অবস্থান করছিল। এছাড়াও ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে এক ধরণে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সিক্সটি নাইন এর নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আলমগীর টিপু বলেন, সিএফসি গ্রæপের নেতা কর্মীরা আমাদের উপর আগে হামলা চালিয়েছে। তার প্রেক্ষিতে এমন ধরণের একটি ঘটনা ঘটে। তবে পরিস্থিতি এখন পুলিশ প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারা যে ব্যবস্থা নিবে আমরা তাই মেনে নেব।
অন্যদিকে এ বিষয়ে সিএফসি গ্রæপের নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, পুরো নাছির গ্রæপের নেতাকর্মীরা আমাদের উপর পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালিয়েছে। এসময় আমাদের কয়েকজন কর্মী পুলিশের লাঠিচার্জেও আহত হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই প্রশাসনের কাছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর লিটন মিত্র বলেন, পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সহয়তায় বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সংঘর্ষের সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।