পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : চিকিৎসার পরিবেশ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়া জরাজীর্ণ কারাগারে সত্তোরর্ধ সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রীকে কারারুদ্ধ রাখা মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছেন ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) নেতারা।
গতকাল ড্যাবের একটি প্রতিনিধি দল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোজ খবর নিতে পুরাতন ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে দেখা করতে যান। সেখানে প্রতিনিধি দলের চিকিৎসকরা জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে নানা শারীরিক জটিলতা ভুগছেন। হাঁটুর সমস্যার কারণে বেগম খালেদা জিয়া দশ বছর আগে হাঁটুর অপারেশন করান। যে কারণে তিনি ঠিক মত হাঁটাচলা করতে পারেন না এবং নিয়মিত থেরাপি নিতে হয়। তাছাড়া তিনি হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসের নানা জটিলতায়ও ভুগছেন। প্রতিনিধি দল অভিযোগ করেন, পুরনো জরাজীর্ণ কারাগারে চিকিৎসার স্বাভাবিক পরিবেশ নেই এবং কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। এরূপ পরিবেশে সত্তরোর্ধ একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে কারারুদ্ধ করে রাখা মানবাধিকার লঙ্ঘণ এবং সরকারের স্বৈরাচারী আচরণের বহিঃপ্রকাশ বলে প্রতিনিধি দল ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাছাড়া প্রতিনিধি দল বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করে আইজি প্রিজনের বরাবর দরখাস্তও দেন। সর্বশেষে তারা উপস্থিত সাংবাদিকদের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে ব্রিফ করেন। ড্যাবের প্রতিনিধি দলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ড্যাব সভাপতি প্রফেসর ডাঃ এ কে এম আজিজুল হক, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ডাঃ রফিকুল কবির লাবু, প্রফেসর ডাঃ শহিদুল আলম, প্রফেসর ডাঃ শহীদ হাসান, প্রফেসর ডাঃ সিরাজুল ইসলাম, প্রফেসর ডাঃ ফরিদ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ড্যাব সভাপতি ও হৃদরোগ বিশেষোজ্ঞ ডাঃ মহিউদ্দিন মাসুম, ডাঃ ইরফান, ডাঃ কাকন, ডাঃ হেলাল, ডাঃ ইকবাল, ডাঃ কবির, ডাঃ টিপু, ডাঃ জাভেদ, ডাঃ নাহিদ, ডাঃ আসিফ, ডাঃ মাহমুদুল হাসান খান সুমন, ডাঃ তৈয়েবুর রহমান গালিব, ডাঃ মইন উদ্দিন শরিফ সৈকত এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্রদল নেতা ইয়াসিন আরাফাত বিপুল এবং আবদুল্লাহ আর রায়হান। গতকাল বেলা ১১টার দিকে প্রতিনিধিদলটি পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের কারাগারের সামনের সড়কে যান। পরে দুপুরের দিকে তারা ফিরে আসেন।
বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করলেন ৫স্বজন
বেগম খালেদা জিয়ার সাথে পুরান ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে দেখা করেছেন তার বড় বোন সেলিনা ইসলামসহ ৫ স্বজন। গতকাল রোববার বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে তারা কারাগারের প্রধান ফটক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন। পরে তারা বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করে ৫টা ৫৫ মিনিটে বের হয়ে আসেন। বের হওয়ার সময় মিডিয়া কর্মীরা অনুরোধ জানালেও তারা কোনও কথা বলেননি। গেটে গাড়িও থামাননি। পরে এডিশনাল আইজি প্রিজন কর্নেল ইকবাল জানান, সেলিনা ইসলামের সঙ্গে ছিলেন তার ভাইয়ের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, ভাগ্নে অভিক ইস্কান্দার, মো. হাসান এবং একটি শিশু। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। চলাফেরা, খাওয়া-দাওয়া সবই ঠিকঠাক আছে। এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারিও সেলিনা ইসলাম ও ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাগারে গিয়ে দেখা করেন।
রায়ের অনুলিপি পাবেন কাল
বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের অনুলিপি আজ সোমবার পাবেন বলে আদালত সূত্র জানিয়েছেন। এদিকে গতকাল জিয়া অরফানেজ মামলায় রায় প্রদানকারী আদালদেত খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জিয়া অরফানেজ মামলার রায়ের অনুলিপি কবে পাওয়া যাবে মর্মে বিচারকের কাছে জানতে চান। ওই সময় ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জান বলেন, সোমবার পাবেন। যদিও এ আইনজীবী রোববার বিকালেই রায়ের অনুলিপি দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু বিচারক ওই অনুরোধে সাড়া দেননি। ওই আদালতের পেশকার মোকাররম হোসেন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। গত ৮ ফের্রুয়ারি রায়ের পর বেগম খালেদা জিয়াকে পুরানত কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।