Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

খালেদা জিয়ার আরও বেশি সাজা হওয়া উচিত ছিল -আইনমন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আরও বেশি সাজা হওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, বিচারক তাঁর বয়স, সামাজিক মর্যাদা, শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় অপরাধের তুলনায় সাজা কম দিয়েছেন।
গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন এবং দুর্বৃত্ত ও দুর্নীতিমুক্ত রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক উপকমিটি। দুবৃৃর্ৃৃত্ত ও দুর্নীতিমুক্ত রাজনীতিবিষয়ক সভা হলেও আলোচনা মূলত বিএনপি, খালেদা জিয়া ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানে সীমাবদ্ধ থাকে। তবে দু-একজন আলোচক আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দুর্নীতি প্রসঙ্গেও আলোচনা করেন। আইনমন্ত্রী বিএনপির গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন আনার প্রসঙ্গে বলেন, বিএনপি আগেই বুঝতে পেরেছিল খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বাঁচার উপায় নেই। তাঁদের সাজা হবে বুঝতে পেরেই গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন এনেছে। খালেদা জিয়ার সাজার মধ্য দিয়ে বিএনপি অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে।
খালেদা জিয়ার মামলার সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই দাবী করে আনিসুল হক বলেন, এ মামলার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় যেসব জঞ্জালের বিচার হওয়া উচিত, তা নিশ্চিত করেছে। এতিমের টাকা মেরেছেন, এখন বলছেন রাজনৈতিক মামলা। এটি ঠুনকো এক্সকিউজ। এটি ছাড়া তাদের বলার কিছু নেই। তিনি বিএনপির উদ্দেশে আরো বলেন, রায়ের কপি তো আপনারা পাবেন। কিন্তু এতিমের যে ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা মেরে দিলেন তা কবে ফেরত দেবেন? মন্ত্রী বলেন, রায়ের কপি দেবেন আদালত। প্রতিটি মামলায় দুটি পক্ষ থাকে। রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ। কিন্তু রায়ের কপি দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও পক্ষ নেই । এই রায়ের পাতার সংখ্যা ৬৩২। দীর্ঘ ৫০ বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে আমি বলতে পারি রায়ের কপি পেতে হলে রায়টা কত বড় তার ওপর নির্ভর করে।
বিএনপির গণস্বাক্ষর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে তারা গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছেন। আমি যতদূর জানি, সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়া হচ্ছে। গণস্বাক্ষরের নামে তারা কার সম্পত্তি লিখে নেয় তা আপনারা বুঝে দেইখেন। সাদা কাগজে সই দিয়েন না। তিনি আরও বলেন, বিএনপি একটি দল যারা বাংলাদেশে বিশ্বাসী না, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী না। তারা ক্ষমতায় থেকে কি না করেছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান ইউসুফ হোসেন। আলোচনায় অংশ নেন সাবেক বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুস প্রমূখ। সভা সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম।

 



 

Show all comments
  • সোহেল রানা ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:৫৯ এএম says : 0
    মাননীয় মন্ত্রী একটু দেশ নিয়ে চিন্তা করুন।
    Total Reply(0) Reply
  • গনতন্ত্র ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১:০৪ এএম says : 0
    জনগন হতাশ, এইটা কি একজন আইনমন্ত্রীর ভাষ্য নাকি ...,,,,,,,,,,,,,।
    Total Reply(0) Reply
  • Md. Saimon ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ২:১৪ পিএম says : 0
    এক মাঘে শীত যায়না জনাব
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ