পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : অবশেষে বাংলাদেশ থেকে আকাশপথে কার্গো পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে যুক্তরাজ্য। এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের দুই বছরের মাথায় প্রত্যাহার করল ব্রিটিশ সরকার।
গতকাল রোববার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার অ্যালিসন বেøইক। বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম নাইম নাসিান এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে কার্গো পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে একটি নথি মন্ত্রীর হাতে তুলে দেন ব্রিটিশ হাই কমিশনার।
প্রসঙ্গত নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ২০১৬ সালের মার্চে ঢাকা থেকে সরাসরি কার্গো ফ্লাইটের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাজ্য। পরে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নে একটি ব্রিটিশ কোম্পানিকে নিয়োগ দেয় সরকার। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে বাংলাদেশের কী পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে সে বিষয়ে কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, এতে অর্থ ও সময় দুই দিক থেকেই ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অ্যালিসন বেøক বলেন, কঠোর পরিশ্রম ও দুই দেশের আন্তরক সহযোগিতার কারণেই সমস্যা চিহ্নিত করে সেখান থেকে উত্তরণ সম্ভব হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বেøক বলেন, নিষেধাজ্ঞা দেওয়া বা প্রত্যাহার কোনোটাই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছিল না। সম্পূর্ণ নিরাপত্তার কারণেই এটা করা হয়েছিল।
বিমানমন্ত্রী শাজাহান কামাল বলেন, যুক্তরাজ্য তাদের এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় অস্ট্রেলিয়াও তাদের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেবে, এমনটা আশা করা যায়।
২০১৬ সালের ৮ মার্চ যুক্তরাজ্যের ট্রান্সপোর্ট ডিপার্টমেন্ট হজরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে সরাসরি কার্গো পণ্য পরিবহনে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ থেকে আকাশপথে কার্গো পাঠানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে অস্ট্রেলিয়া।
সিভিল এভিযেশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল সাংবাদিকদের উদ্ধেশে বলেন, আমরা আপনাদের সকলের সহযোগিতা চাই। সকলের সহযোগিকায় আজ আমরা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা উন্নত করতে পেরেছি। এটি একটি আন্তজৃাতিক ইসু। প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক সহযোহিতা ও তার বলিষ্ট নেতৃত্রে কারণে আমরা ব্রিটিশ সরকারকে এ ব্যাপারে বুঝাতে সক্ষম হয়েছি।
চেয়ারম্যান বলেন, শুধু কার্গো পণ্য পরিবহেনই নয় বিমানবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তায় ব্রিটিশ সরকার ও তাদের প্রতিনিধিরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া আমাদের নিরাপত্তা সদস্যদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত করে তাদের আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা কর্মী হিসাবে গড়ে তোলা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।