পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যকে সড়ক-মহাসড়কের বেহাল অবস্থার মতোই বেসামাল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ওবায়দুল সাহেব কখনো কখনো এমনভাবে কথা বলেন তিনি যেন একদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবার অন্যদিকে বিএনপি’রও নীতি নির্ধারক। মাঝে মাঝে আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক এমন উদ্ভট, অবাস্তব ও বানোয়াট কথা বলেন তাতে তিনি যে মানুষের কাছে হাসির পাত্র হচ্ছেন সেদিকে তিনি খেয়াল করছেন না। গতকাল (রোববার) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া ছাড়া কোন নির্বাচন হবে না মন্তব্য করে রিজভী বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিএনপি’র অবিচ্ছেদ্য অংশ, তিনিই বিএনপি’র নেতাকর্মীদের একমাত্র প্রেরণা। তাকে ছাড়া কোন নির্বাচন হবে না এটাই এখন জনগণের উচ্চারণ। খালেদা জিয়াকে কারাগারে প্রেরণ করলেও তিনিই এখন আরেকটি বাংলাদেশ। সুতরাং খালেদা জিয়া ব্যতিরেকে কোন নির্বাচন এদেশে হবে না। মামলা দিয়ে সাজা দিয়ে হাত পা বেঁধে কোন চক্রান্তের নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়ে যাবে। বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দুরে রাখার চক্রান্ত হচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এইচ এম এরশাদ বলেছেন, দেশে আগাম নির্বাচন হতে পারে। দুই নেতার বক্তব্যে এটা পরিস্কার বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দুরে রেখেই আরেকটি প্রহসনের নির্বাচনের চক্রান্ত করছে সরকার। সরকার প্রশ্নফাঁসে কুল কিনারা করতে পারে না কিন্তু ভুয়া মামলার জন্য জাল নথি আলোর গতিতে বানিয়ে ফেলে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মিথ্যা, সাজানো ও জালজালিয়াতির মাধ্যমে কাগজ তৈরি করে মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে যেটির উদ্দেশ্য সরকার প্রতিদিন আরও পরিস্কার করছে। অর্থাৎ নানা ফন্দি-ফিকির করে বেগম জিয়ার জামিনকে আটকিয়ে রাখতে একের পর এক কৌশল চারিয়ে যাচ্ছে। আজো রায়ের কপি পাওয়া যায়নি। খাদ্যমন্ত্রী কামরুল সাহেব বলেছেন-রায় পেতে দেরীর দায় বিএনপি’র। পচা গম আমদানি ও চালের বাজারের নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে খাদ্যমন্ত্রী বেসামাল হয়ে গেছেন, এখন তিনি আওয়ামী সরকারের বেসুরো ভাঙ্গা ঢোলের মতো কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আইনের বিধান মেনে কেন রায়ের কপি দেয়া হয়নি? নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পরও কেন রায়ের কপি দিতে বিলম্ব হচ্ছে? আওয়ামী সরকার যে নিপীড়ণ-নির্যাতন-হয়রানী-হেনস্তা করার জন্যই বেগম খালেদা জিয়কে অবৈধ ক্ষমতার জোরে বন্দী করেছে সেটি যে বেআইনী প্রক্রিয়া ও ফরমায়েসী রায় তা কারো বুঝতে বাকী নেই। বেগম জিয়াকে কারাবন্দী করার পর তাঁর বন্দিত্ব ও রায়ের কপি দিতে টালবাহানা এবং তা নিয়ে আওয়ামী মন্ত্রী ও নেতাদের হাসি-ঠাট্টা-মশকরায় প্রমানিত হয়-একমাত্র শেখ হাসিনার খুশী ও আনন্দের জন্যই বেগম জিয়াকে বন্দী করে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের মতো ভোটারবিহীন নির্বাচন এদেশে আর হবে না। বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া আর কোন নির্বাচন এদেশের জনগণ হতে দিবে না। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সব দলের অংশগ্রহণে বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায়। গত দুদিন আগেও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আর্ন্তজাতিক সংস্থাগুলো বলেছে বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে ইইউ পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছে অবাধ ও সুুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরী করুন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বেগম খালেদা জিয়ার মামলার বিষয়ে কিছুই করার নেই নির্বাচন কমিশনের এমন বক্তব্যে এটি আরও পরিস্কার হয়েছে যে, নির্বাচন বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সমস্ত ক্ষমতার অধিকারী হলেও কমিশন প্রধানমন্ত্রীর মনোবাসনা পূরণের জন্যই কাজ করে যাচ্ছেন।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আ হ ম আজম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহপ্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আবদুস সালাম আজাদ এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।