পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গ্রেফতার মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন আদিল (১৬) নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার তামান্না হাউজিং সোসাইটির বাসিন্দা মোঃ আবুল কালামের পুত্র। তাদের গ্রামের বাড়ি ফটিকছড়ি উপজেলার আজাদী বাজার গ্রামে। আদিল নগরীর হলি চাইল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার এনএমসি চৌধুরী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে সে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার গভীর রাতে তামন্না হাউজিং সোসাইটির এডভোকেট ফোরকান হোসেনের বিল্ডিংয়ে অভিযান চালায় র্যাব। ওই বাসা থেকে পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষার একটি প্রশ্নপত্র এবং প্রশ্নপত্র ফাঁসের কাজে ব্যবহৃত দু’টি মোবাইল সেটসহ হাতেনাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাব জানায়, একটি চক্র চলমান এসএসসি পরীক্ষা শুরুর পর থেকে অনলাইনে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আসছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু হয়। এ ধারাবাহিকতায় র্যাব কর্মকর্তঅ স্কোয়ার্ডন লীডার শাফায়াত জামিল ফাহিমের নেতৃত্বে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আদিল জিজ্ঞসাবাদে জানায়, ফেইসবুকে একটি গ্রæপের মাধ্যমে তার প্রথম যোগাযোগ হয় এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে অন্যান্য গ্রæপের সাথে সে যুক্ত হয়। এ সমস্ত গ্রæপের অ্যাডমিনদের সাথে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে এবং তাদের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে। নিজে এসব প্রশ্নপত্র নেয়ার পাশাপাশি অন্য শিক্ষার্থীদের কাছেও বিক্রি করে সে। বিকাশে টাকা পাওয়ার পর ইন্টারনেটের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্নপত্র পাঠিয়ে দেয়ার কাজে জড়িয়ে পড়ে সে। তার দেয়া তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের ভিত্তিতে এই চক্রের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১১ ফেব্রæয়ারি চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানাধীন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের ২জনকে গ্রেফতার করে র্যাব।
পিস্তলটি টোকাই ফারুকের
চেকপোস্টে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণে ব্যবহৃত পিস্তলটি সন্ত্রাসী টোকাই ফারুকের। নগরীর আলফালাহ গলির বাসিন্দা ফারুক ষোলশহর ওয়ার্ড যুবলীগের নেতা সোলায়মান বাদশার সহযোগী। সোলায়মান বাদশা প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়েল শিক্ষার্থী ও নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সোহেল হত্যারও আসামী। প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করতে ফারুকের কাছ থেকে পিস্তলটি নিয়েছিল আয়মান জিহাদ। এরপর সেটি খোকন চৌধুরীকে দেওয়া হয়। পরে অস্ত্রটি আবারও ফারুককে ফেরত দেওয়া হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আয়মান জিহাদ, খোকন চৌধুরী ও তানজিল করিম খান মাহী এমন তথ্য দিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল সন্ধ্যায় তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়। আদালতে তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার কথা রয়েছে। পুলিশ জানায়, ১৪ ফেব্রæয়ারি সিআরবি এলাকায় উঠতি সন্ত্রাসীদের অপর একটি গ্রæপের সাথে এ গ্রæপের সদস্য আয়মান জিহাদের কথা কাটাকাটি হয়। ওই গ্রæপটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার যুবলীগ নেতা অমিত মুহুরীর অনুসারী। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে তিনটি মোটর সাইকেলযোগে তারা ১০ জন শুক্রবার তারা সেখানে যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে পুলিশ চেকপোস্টে তল্লাশি করলে তারা পুলিশকে গুলি করে। পুলিশ জানায়, আইমান জিহাদ নিজেকে ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দেয়। তার সাথে যে ১০ জন ছিল তারাও ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মী বলে দাবি করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।