পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
=স্টাফ রিপোর্টার : জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় অবিলম্বে ধুলাদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং এ দূষণের জন্য দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন পবাসহ ১৭টি সংগঠন। গতকাল শনিবার রাজধানীর শাহাবাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে এক মানববন্ধনে এ দাবি জানায় সংগঠনগুলো।
মানববন্ধনে এসব সংগঠনের নেতারা বলেন, শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা মহানগরীতে ধুলাদূষণের প্রকোপ অত্যন্ত বেড়ে যায়। এই মৌসুমে হাজার হাজার ইটের ভাটার পাশাপাশি রাস্তা-ঘাট খননের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এ সময় মাটি, বালিসহ এ ধরনের নানা সামগ্রী আচ্ছাদনহীন অবস্থায় ট্রাকে করে শহরে পরিবহন করা, ড্রেন পরিষ্কার করে রাস্তার পাশে স্তূপ করে রাখা, দোকান ও গৃহস্থালির আবর্জনা যেখানে সেখানে ফেলে রাখা, মেরামতহীন ভাঙাচোরা রাস্তায় যানবাহন চলাচল, পাকা ভবন নির্মাণের সময় নিয়ম না মেনে মাটি, বালুসহ অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী দীর্ঘদিন যত্রতত্র ফেলে রাখা, রাস্তার দুপাশে ময়লা-আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা, ইট-পাথর মেশিনে ভাঙা, যানবাহনের কালো ধোঁয়া ইত্যাদি ধুলাদূষণ সৃষ্টি করে।
বক্তারা আরো বলেন, ধুলাদূষণে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে ধুলাজনিত রোগব্যাধির প্রকোপ। রাস্তার পাশে দোকানের খাবার ধুলায় বিষাক্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে রোগ জীবাণুমিশ্রিত ধুলা ফুসফুসে প্রবেশ করে সর্দি, কাশি, ফুসফুস ক্যান্সার, ব্রঙ্কাইটিস, শ্বাসজনিত কষ্ট, হাঁপানি, যক্ষা, এলার্জি, চোখজ্বালা, মাথাব্যথা, বমি ভাব, চর্মরোগসহ নানা জটিল রোগের সৃষ্টি করছে। শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ ব্যক্তিদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ায় ধুলাদূষণের ফলে তারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যা জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য একটি মারাত্মক হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। ধুলার কারণে দোকানের জিনিসপত্র, কম্পিউটারসহ নানা ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী দ্রæত নষ্ট হয়ে যায়। দূষণের সঙ্গে জড়িত ঠিকাদার, দায়ী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন- নাসফের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তৈয়ব আলী, পবার সহ-সম্পাদক স্থপতি শাহীন আজিজ, এম এ ওয়াহেদ, পুরান ঢাকা নাগরিক অধিকার উদ্যোগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, নোঙরের সভাপতি সুমন সামস্, পরিবেশ আন্দোলন মঞ্চের সভাপতি আমির হাসান মাসুদ, ডবিউবিবি ট্রাস্টের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সৈয়দা অনন্যা রহমান, নগরবাসী সংগঠনের চেয়ারম্যান হাজী শেখ আনসার আলী, সচেতন নগরবাসীর সভাপতি জি এম রোস্তম খান, বিডি ক্লিকের সভাপতি আমিনুল ইসলাম, বানিপার সভাপতি প্রকৌশলী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, নাসফের সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম, ইয়ুথ সানের সমন্বয়ক আরিয়ান তানভীর, উপজাতি যুব পরিষদের সভাপতি হরেন্দ্রনাথ সিং প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।