Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইথিওপিয়ায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা

| প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ক্ষমতাসীন জোটের চাপে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের একদিন পর ইথিওপিায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। রাষ্ট্র পরিচালিত ইথিওপিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন জানায়, জোট ঘোষিত জরুরি অবস্থা ‘সাংবিধান রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ’ সিদ্ধান্ত। ঘোষণায় আর বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। গতকাল শনিবার সকালে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর একটি সংবাদ সম্মেলন করার কথা ছিল, কিন্তু তা বিলম্বিত হয়। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা ও ২৯ হাজার মানুষকে আটকের পর কয়েক মাস ধরে বলবত কারফিউ গত আগস্টে সম্পূর্ণভাবে তুলে নেয় দেশটি। দু’টি জনবহুল রাজ্য আমহারা ও ওরোমিয়ায় দু’বছর ধরে সরকারবিরোধী আন্দোলনের পর এই পদক্ষেপ নেয়া হয়। আন্দোলন চলাকালে নিরাপত্তা বাহিনী শত শত লোককে হত্যা করে।
ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইবিসি জানিয়েছে, মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের পর গত শুক্রবার জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, শুক্রবার থেকে এ জরুরি অবস্থা শুরু হলেও তা কতদিন থাকবে সে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়নি। অ্যাডিস স্টান্ডার্ড নামে একটি স্থানীয় পত্রিকায় সরকারের একটি ঘনিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, জরুরি অবস্থা তিন থেকে ছয় মাস রাখার বিষয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয়েছে।
রাজনৈতিক স্বাধীনতার দাবিতে ২০১৭ সালে সরকারবিরোধী আন্দোলনে শতাধিক মানুষ নিহত হওয়ার পর ১০ মাসের জরুরি অবস্থা জারি ছিল ইথিওপিয়ায়। ওরোমো মিডিয়া নেটওয়ার্কের প্রধান জাওয়ার মোহাম্মদ এই জরুরি অবস্থাকে অপ্রয়োজনীয় এবং ক্ষতিকর বলে অভিহিত করেছেন। শুক্রবার তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, দেশে শান্তি বজায় রাখার জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণার মতো পদক্ষেপ ব্যর্থ। ইতোমধ্যে তা প্রমাণিত হয়েছে।
ফিলিক্স হোর্ন নামে ইথিওপিয়ার একজন মানবাধিকার কর্মী টুইটারে লিখেছেন, গতবারের জরুরি অবস্থার সময় ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ আটক করা হয়। এ ঘটনায় মুক্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা আরও উদ্বিগ্ন হবেন। জরুরি অবস্থাও আর কাজে আসবে না।
গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী হাইলেমারিয়াম দেসালেইন পদত্যাগ করেন। তার এ পদত্যাগকে ক্ষমতাসীন জোটে অস্থিরতার ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করা হচ্ছে। জোট ১৯৯১ সাল থেকে দেশটির ক্ষমতায় রয়েছে এবং পার্লামেন্টের ৫৪৭ সিটের সবগুলোই তাদের দখলে রয়েছে। কিন্তু কিছু শীর্ষ কর্মকর্তাদের পদত্যাগ এবং অন্যদের সরিয়ে দেবার পর দেশটিতে অস্থিরতা বিস্তার লাভ করে। সূত্র : রয়টার্স।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ