পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়ায় রাজধানীর বাড্ডায় আবুল বাসার বাদশাকে (৩০) গুলি করে হত্যা করেছেন তার বন্ধুরা। অভিযোগ করেছেন বাদশার স্বজনরা। গতকাল শনিবার সকালে গুলি করার পর সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাদশা মারা যান। এরপর সন্ধ্যায় বাদশার মরদেহ শনাক্ত করেন তার স্ত্রী শিউলী আক্তার। এ ঘটনার পর হাতিরঝিল এলাকা থেকে জনতা অস্ত্রসহ নরুল ইসলাম নামে একজনকে রিভলবারসহ ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোর্পদ করে।
বাড্ডা থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী জানিয়েছে, নজরুল ইসলামই বাদশাকে হত্যা করেছে করে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। নিহতের শিউলী আক্তার হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, নয় বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। একসময় তারা টঙ্গীর গাজীপুরা এলাকায় থাকতেন। ওখানে থাকার সময় মাদক রাখার কারণে বাদশা জেল খাটেন। কয়েকদিন ধরে তারা স্বামী-স্ত্রী বাড্ডার মেরুল আনন্দ নগরে একটি টিনশেড বাসায় ভাড়া নিয়ে থাকতেন। শিউলী স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন ও বাদশা মৌচাকে একটি কাপড়ে দোকানে চাকরি করতেন। তিনি জানান, গতকাল সকালে বাদশাকে বাসায় রেখে তিনি অফিসে যান। পরে বাদশার মা আমেনা বেগম তাকে জানান, চার যুবক বাদশাকে ডেকে নিয়ে মেরুল মাছ বাজারের সামনে গুলি করে ফেলে রেখে গেছে। পরে তাকে ঢামেকে ভর্তি করা হয়। সেখানে সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাদশা মারা যান। শিউলী আরো জানান, বাদশা অনেক আগে পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। বাড্ডা এলাকার নরুল ইসলাম নামে বাদশার এক বন্ধু তাকে মাদক ব্যবসার জন্য আবারো চাপ দিতে থাকে। ব্যবসা করতে রাজি না হওয়া নরুল ইসলামসহ তার লোকজন বাদশাকে গুলি করে হত্যা করে। বাড্ডা থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী জানান, বাদশা পুলিশ সোর্স হিসেবে কাজ করতেন কি না বিষয়টি জানা নেই। এ ঘটনার সময় অস্ত্রসহ নরুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। বাকি তিনজনকে আটকের চেষ্টা চলছে। গতকাল বেলা ১টার দিকে মেরুল বাড্ডার মাছ বাজার এলাকায় ওই যুবক গুলিবিদ্ধ হন। তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গুলিটি তার মাথার ভেতরে ছিল। ফলে তাকে বাচানো যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।