Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পড়য়াদের ভিড়ে বেচাকেনায় সন্তুষ্টি

| প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

এহসান আব্দুল্লাহ : বইমেলার দৃশ্য কল্পনা করলেই চোখে ভেসে আসে হাজারো বইপ্রেমীদের জন¯্রােত। সারি সারি দর্শনার্থীর ক্রমান্বয়ে স্টলগুলোতে ঢুঁ দেয়া আর বই হাতে নিয়ে উল্টে পাল্টে দেখা যেন বইমেলার চিরায়িত দৃশ্য।
গতকাল বইমেলার সতেরোতম দিনে বইমেলা প্রাঙ্গন ঘুড়ে দেখা গেল উৎসুক বইপ্রেমীদের এমনই ভীড়। যত মেলার অন্তিম সময় ঘনিয়ে আসছে ততই যেন মেলার প্রতি প্রেম বেড়ে উঠছে বইপ্রেমীদের।
বইমেলায় একয়দিন বেচাকেনাও চলছে পুরোদমে। বিক্রেতারাও সন্তুষ্ট শেষ দিকের বেচাকেনায়। বিক্রেতারা জানাচ্ছেন প্রথম পনেরো দিনের পর যারা আসেছেন তাদের অধিকাংশই ক্রেতা। প্রথম প্রথম দর্শনার্থীরা শুধুমাত্র মেলা ঘুড়ে দেখলেও এখন বই কেনার দিকেই মনোযোগ দিচ্ছেন বেশি। ফলে এখন তারা দম ফেলার ফুসরতও পাচ্ছেন খুব কম। তবে এনিয়ে তাদের কোন বিরক্তি বা ক্লান্তি নেই। তারা জানান পাঠকের এমন আগ্রহ ও উচ্ছাস সবকিছু ভুলিয়ে দেয়। তারা মনে করেন এরকম আগ্রহ সারাবছর থাকলে আরো নতুন লেখক উঠে আসবে এবং দেশের সাহিত্য অঙ্গনও সমৃদ্ধ হবে বহুগুণে।
দর্শনার্থীদের আগ্রহ জানতে চাইলে অধিকাংশ বিক্রেতাই জানান এখন বেশিরভাগ বই চলছে গল্প আর উপন্যাসের। তারপর ভ্রমণ কাহিনীগুলো অনেক কিনছে পাঠকরা।
ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রায়হানুল ইসলাম আবির বলেন, এখন মেলা টা ভালো লাগছে। প্রথমদিকে লোকজন তেমন একটা না থাকায় কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগছিল মেলা। বর্তমানে মেলায় শেষ সময় হওয়াতে লোকজনের আগমনও বেড়েছে অনেক তাই মনে হচ্ছে মেলা জমে উঠেছে। কি ধরণের বই পছন্দ বা কিনতে ভালোবাসেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, মূলত ভ্রমণ কাহিনী ও উপন্যাসধর্মী বইগুলোই আমার পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে। মেলায় গতকাল নতুন বই এসেছে ২২১টি। বিকেল ৪:০০টা মেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় এ কে এম আহসান, খান শামসুর রহমান, মুজিবুল হক শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।
তিনজন কৃতি মানুষকে নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এম মোকাম্মেল হক, এনামুল হক এবং অধ্যাপক আবদুল মমিন চৌধুরী। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। নির্ধারিত প্রবন্ধকার মনজুরে মওলা শারীরিক অসুস্থতার কারণে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেন নি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
আলোচকবৃন্দ বলেন, এ কে এম আহসান, খান শামসুর রহমান এবং মুজিবুল হক- এঁরা প্রশাসনিক কর্মদক্ষতায় রাষ্ট্রের গণমুখী অভিমুখ নির্মাণে ভূমিকা রেখেছেন। চিন্তা ও মননে লালিত প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি তাঁদের সমাজ ও মানুষের কল্যাণে দায়বদ্ধ করেছে। বাংলা ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত বাংলার মানুষের সংগ্রামী অভিযাত্রায় নিজ নিজ অবস্থানে থেকে তাঁরা সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, এ কে এম আহসান, খান শামসুর রহমান এবং মুজিবুল হকÑ এঁদের কর্মক্ষেত্র ভিন্ন কিন্তু পাÐিত্য, দেশপ্রেম এবং কর্তব্যনিষ্ঠার ক্ষেত্রে সবাই অভিন্ন বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ছিলেন। দেশে ও বিদেশে কর্মসূত্রে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব যেমন পালন করেছেন তেমনি দেশের মুক্তি আন্দোলনের নানা পর্বে অবদান রেখেছেন। আজ বিকেল ৪:০০টা মেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে এ এফ সালাহ্উদ্দীন আহ্মদ \ মুজাফ্ফর আহমদ চৌধুরী \ এ কে নাজমুল করিম শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন মুনতাসীর মামুন, মীজানূর রহমান শেলী এবং সোনিয়া নিশাত আমিন। সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর। সন্ধ্যায় রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ