পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব আইন আদালত নিয়ে জনগণের সাথে তামাশা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব বলছেন জেলখানা আরাম আয়েশের জায়গা নয়, আবার পরক্ষণেই বলেছেন-কারাগার শান্তিতে স্বস্তিতে থাকার জায়গা। সেখানে তিনি বিশ্রাম নেবেন। ওবায়দুল কাদের সাহেব যেন আইন আদালত নিয়ে জনগণের সাথে তামাশা করছেন। পরস্পরবিরোধী কথা বলাতে আওয়ামী নেতাদের জুড়ি মেলা ভার। গতকাল (শনিবার) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বেগম খালেদা জিয়াকে বিশ্রামের জন্য তাঁকে মিথ্যা মামলা দিয়ে, প্রহসনের বিচার কার্য চালিয়ে অন্যায় সাজা দিয়ে জেলে আটকিয়ে রেখেছেন কেন এমন প্রশ্ন করে রিজভী বলেন, এধরণের কথাবার্তায় মনে হচ্ছে রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকেরই বিশ্রাম নেয়ার সময় চলে এসেছে। কারন তাঁর কথাবার্তার মধ্যে অসংলগ্নতা দেখা যাচ্ছে। ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি খালেদা জিয়াকে নিয়ে, না তাঁকে ছাড়া যাবে এটি আদালতের বিষয়, সরকারের বিষয় নয়। তার এই বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আইন, প্রশাসন, বিচার সবই আপনাদের করতলে। আইন মন্ত্রীর ভাষ্যেই প্রমানিত হয় বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মনের মাধুরী দিয়ে সাজানো মামলা, অন্যায় রায় এবং এখনও রায়ের কপি না দেওয়ার কলকাঠি নাড়ছে সরকার।
তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের উস্কানি দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইছেন। গণতন্ত্রকামী মানুষের একমাত্র মুখপাত্র দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ফেব্রæয়ারী মাসে যেভাবে মুখের ভাষা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল সেই একইভাবে বর্তমান স্বৈরশাসক উৎপীড়িত জনগণের প্রতিবাদকে বাধা দেয়ার জন্য তাদের আশা-ভরসার প্রতীক দেশনেত্রীর কন্ঠকে রুদ্ধ করার জন্যই তাঁকে আটক করে রাখা হয়েছে। কাদের সাহেব আপনারা গণতান্ত্রিক প্রতিদ্ব›িদ্বতামূলক রাজনীতি ও নির্বাচন উভয়ই দিতে ব্যর্থ। সমালোচনা গণতন্ত্রের অন্তর্নিহিত শক্তি। যে দেশে বিরোধী দল সরকারকে উদ্দেশ্য করে কিছু বললেই জেল-জুলুম সহ্য করতে হয় সেদেশে কী তন্ত্র চালু আছে সেটি জনগণ আপনার কাছ থেকে জানতে চায়। কেউ সমালোচনা করে ফেইসবুকে কিছু লিখলেই তাকে জুজু’র ভয় দেখিয়ে আটক করা হয় সেটা কী জীবিত গণতন্ত্র নাকি গণতন্ত্রের মৃতদেহ? সবার অংশগ্রহণে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ভয়েই দেশনেত্রীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করা হয়েছে স্বৈরশাসকের সাথে আঁতাত করে অনুগ্রহভাজন বিরোধী দল নিয়ে কোন গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা চলে না।
বিএনপির এই নেতা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের কাছে জানতে চান কোন দেশে পত্র-পত্রিকায় সরকারের বিরুদ্ধে লেখা হলেই সেই পত্রিকা বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হয়? ঠিক ধরেছেন, স্বৈরশাসক দ্বারা শাসিত দেশে শাসকগোষ্ঠী জনগণকে শোষণ করে, নিপীড়ণ করে। জনগণ আজ সেই শোষণ-পীড়ণের চিত্রই অবলোকন করছে।
তিনি বলেন, কাদের সাহেব আপনি বলেছেন-আদালতের আদেশের বাইরে বেগম জিয়র বিষয়ে সরকারের কোন হাত নেই, কোন হস্তক্ষেপ নেই। তাহলে বিধান অনুযায়ী যে সময়সীমার মধ্যে রায়ের কপি পাওয়ার কথা, সেই রায়ের কপি এতদিন পরেও বেগম জিয়ার আইনজীবীরা হাতে পাচ্ছেন না কেন? তাহলে মনে হয়-তাঁর রায়ের কপি বিদেশ ভ্রমণ শেষে কারও ডিকটেশনের অপেক্ষায় রয়েছে। রায়ের কপি দিতে গড়িমসি করা জামিন বিলম্বিত করারই সরকারের কুটকৌশল। গণতান্ত্রিক দেশে জামিন মানবাধিকারের অংশ, এটি অধিকার, এটি কারো অনুগ্রহ বা দয়া নয়, সরকারের রায়ের কপি প্রদানে বিলম্ব শুধু মানবাধিকার লঙ্ঘনই নয়, বেগম জিয়াকে বেশিদিন কারাপ্রকোষ্ঠে আটকিয়ে রাখার অশুভ ইঙ্গিত। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় জনগণের নেত্রীকে বন্দী করে রাখতে পারবেন না। বিপুল জনগণের ¯্রােত ধেয়ে আসছে। দেখবেন-তাদের প্রিয় নেত্রীকে জনগণ মুক্ত করবেই। সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বিএনপি নেতাদের ধারাবাহিক গণগ্রেফতার এখনো অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। গতকালও সারাদেশে ৫৫জন বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই নিয়ে গত ৩০ জানুয়ারি থেকে গতকাল পর্যন্ত সারাদেশে ৪ হাজার ৭২৫জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।