পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্ট : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় ১৬ লাখ টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রাসহ এক যাত্রীকে আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দো কর্মকর্তারা। ওই যাত্রীর নাম কামরুল ইসলাম। তার পাসপোর্ট নম্বর-০১৯০২৩৭ । তার কাছ থেকে ৭০ হাজার সউদি রিয়াল এবং ২ হাজার ২ শত মালয়েশিয়ান রিংগিত উদ্ধার করা হয়েছে যার বর্তমান বাজার মূল্য ১৫ লাখ ৮৬ হাজার ২০০ টাকা বলে কাস্টমন কর্মকর্তারা জানান।
শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাত শাহজালাল বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটেছে। আটকের পর কামরুলে পাসপোর্ট দেখে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তার চানতে পারেন তিনি দীর্ঘ দিন ধরে বৈদেশিক মুদ্রা পাচার করে আসছেন।
অভিযানিক দলের শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের একজন জানান, কামরুল ইসলামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলায়। তিনি ২০১৭ সালে ৩৩ বার এবং ২০১৮ সালের জানুয়ারী ও ফেব্রæয়ারী মাসের মধ্যে ৪ বার বিদেশ গমন করেছেন।
শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের মহাপরিচালক ড. মইনুল ইসলাম জানান, কামলুল ইসলাম বিশেষ কায়দায় তার পড়নে জুতার ভিতরে বৈদেশিক মুদ্রাগুলো রেখেছিল। শুল্ক গোয়েন্দাদের কাছে এ ব্যপারে আগ থেকেই সংবাদ ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতেই ইমিগ্রেশন পেরিয়ে আসার পর তাকে নজরদারিতে রাখা হয়। পরে রাত ১ টার দিকে বিমানবন্দরে কর্মরত সকল সংস্থার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে তার দেহ তল্লাসি করা হয়। এক পর্যায় তার জুতার ভেতর থেকে সউদি রিয়াল এবং মালয়েশিয়ান রিঙ্গতগুলো উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, কামরুল প্রথমে বৈদেশিক মুদ্রা বহনের কথা অস্বীকার করেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদের তিনি জানান, ১১ থেকে ১২ বার তিনি অবৈধভাবে বৈদেশিক মুদ্রা পাচার করেছেন। তারা পাসপোর্ট দেখে জানা যায় ইতোপুর্বে কমপক্ষে ৩৭ বার মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে আসা যাওয়া করেছেন কামরুল। শুল্ক গোয়েন্দা জানায়, কোন ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই এসব বৈদেশিক মুদ্র তিনি বহন করছিলেন।
বিমানবন্দরে আটকের পর কামরুল ইসলাম জানান, গোয়েন্দাদের নজরদারি এড়ানোর জন্যেই তিনি বিশেষ কায়দায় জুতার ভিতরে করে বৈদেশিক মুদ্রাগুলো বহন করেন। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।