Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রকল্প কাজে গাফিলতির প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা

কুমিল্লায় কর্মশালায় এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী

| প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে : সরকারের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নে গুণগত মান বজায় রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্প কাজ সম্পন্ন করার ওপর গুরুত্বারোপ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর-এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করতে হবে। এনিয়ে কোন অজুহাত সহ্য করা হবে না। কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। প্রকল্প কাজে কোন গাফিলতির প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গতকাল শনিবার সকালে নগরীর ধীরেন্দ্রনাথ সড়কের পাশে অবস্থিত কুমিল্লা এলজিইডি ভবনে অনুষ্ঠিত কুমিল্লা অঞ্চলের চলমান উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও কর্মশালায় সভাপতির বক্তৃতায় প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ কুমিল্লা অঞ্চলের ছয় জেলার এলজিইডির সকল কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামূলক এসব কথা বলেন। পর্যালোচনা ও কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, এলজিইডি সদর দপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (রক্ষণাবেক্ষণ) জয়নাল আবেদীন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (নগর ব্যবস্থাপনা) নূর মোহাম্মদ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউল করীম, তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী (প্রকল্প মনিটরিং) আবদুর রশিদ ও কুমিল্লা অঞ্চলের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ।
এলজিইডিকে দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডের একটি অন্যতম অংশ উল্লেখ করে প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। এলজিইডি সরকারের উন্নয়নের রোডম্যাপ বাস্তবায়নের প্রয়াস চালাচ্ছে। তাই এলজিইডির কাজের গুণগত মান নি:সন্দেহে অনেক ভালো হতে হবে। অধিকতর স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। কাজের ক্ষেত্রে প্রকৌশলী, প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের অনেক বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে। প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে কাজের অগ্রগতি ও মানের বিষয়ে জবাবদিহি করতে হবে। তিনি কুমিল্লাকে একটি সম্ভাবনাময় জেলা উল্লেখ করে বলেন, এলজিইডির তত্ত¡াবধানে আগামীতে কুমিল্লা শহরের ড্রেনেজ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন করা হবে। প্রধান প্রকৌশলী বলেন, হাওর অঞ্চলে আজকে কৃষিপণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে জমিতে চলাচলের সুবিধার্থে পাকা সড়ক করে দেয়া হয়েছে। কৃষকরা এসব সড়ককে ফসলি রাস্তা আখ্যা দিয়ে এটির সুবিধা ভোগ করছে। বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ছাড়াও ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, এডিবি, জাইকা, সৌদিফান্ড, ডানিডা, জলবায়ু ট্রাষ্টফান্ড ও ড্যাচের অর্থায়নে কৃষি, মৎস্য, ক্ষুদ্রসেচ প্রকল্পসহ নগর, গ্রামীণ ও পানি সম্পদ উন্নয়নে কুমিল্লা অঞ্চলে বর্তমান অর্থ বছরে এলজিইডির ৪১টি প্রকল্পের আওতায় চার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। কর্মশালায় তিনি জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে সকল সড়ক রক্ষণাবেক্ষনের কাজ শুষ্ক মৌসুমে দ্রæত সম্পন্ন করার উপর তাগিদ দেন।
কুমিল্লা এলজিইডির সহকারি প্রকৌশলী সুমন তালুকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রকল্প পরিচালকদের মধ্যে কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সোহরাব আলী, চাঁদপুরের মজিবুর রহমান, ব্রাহ্মনবাড়িয়ার ফজলে এলাহী, নোয়াখালীর আবদুস সাত্তার, ফেনীর শাহআলম পাটোয়ারি ও লক্ষ্রীপুরের আবদুর রশিদসহ ছয় জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় চার শতাধিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ