পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : সবকিছু ঠিক থাকলে এ বছরই ব্যাংকিং পরিষেবায় যুক্ত হতে যাচ্ছে ‘কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ’ নামে পুলিশের নিয়ন্ত্রণাধীন নতুন একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক। এরই মধ্যে চারশ’ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ সম্পন্ন হয়েছে। এখন চূড়ান্ত অনুমোদন চেয়ে মার্চে এই খাতের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এই ব্যাংকের মালিক হচ্ছে পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট। প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এরই মধ্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালকও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ২০১৭ সালের ফেব্রæয়ারি থেকে পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে কল্যাণ ট্রাস্টে মাসভিত্তিক টাকা সংগ্রহ শুরু হয় এবং শেষ হয় এ বছরের জানুয়ারিতে।
পুলিশ সদর দপ্তরের কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে তারা এ বছরেই ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করতে চান। ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করা হবে। পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের মালিকানায় ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠিত হলেও প্রচলিত অন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের মতোই এর কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সব ধরনের গ্রাহক লেনদেন করতে পারবেন।
পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (কল্যাণ ট্রাস্ট) ড. শোয়েব রিয়াজ আলম বলেন, চারশ’ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ সম্পন্ন হয়েছে। মার্চে বাংলাদেশ ব্যাংকে নতুন ব্যাংকের জন্য আবেদন করা হবে। অনুমোদন প্রক্রিয়া শেষ হলে এ বছরেই ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গত ২৪ জানুয়ারি পুলিশের কল্যাণ ট্রাস্টের বোর্ড সভায় নতুন এই ব্যাংকের নাম ‘কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ’ রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেসুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিলেকশন কমিটি একই দিন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নাম প্রস্তাব করে। এরপর বোর্ডের সিদ্ধান্তে মশিহুল হক চৌধুরীকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। মার্চে তিনি যোগদান করবেন।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র জানিয়েছে, পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য ২০১৬ সালে পুলিশ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রস্তাব করা হয়। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আমার দিতে আপত্তি নেই। কিন্তু ব্যাংক করতে চারশ’ কোটি টাকা প্রয়োজন। আপনারা সেটা দিতে পারলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর এমন আশ্বাস পেয়ে পরে ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় কার্যক্রম শুরু করে পুলিশের সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
সূত্র আরও জানায়, ২০১৬ সালের নভেম্বরে পুলিশের কল্যাণ ট্রাস্ট বোর্ড সভায় তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। কনস্টেবল থেকে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) পর্যন্ত পদমর্যাদার প্রত্যেকের কাছ থেকে
২৭ হাজার টাকা করে তহবিল গঠনে বিনিয়োগ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। একইভাবে পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত সিভিল স্টাফদের জন্যও বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হয়। গত বছরের ফেব্রæয়ারি থেকে মাসিক কিস্তিতে এই টাকা সংগ্রহ শুরু হয়। এ বছর জানুয়ারি মাসে কল্যাণ ট্রাস্টে চারশ’ কোটি টাকা সংগ্রহ হয়। অন্তত এক লাখ ৬৬ হাজার পুলিশ সদস্য এই টাকার জোগান দিয়েছেন। পুলিশের যেসব সদস্য তিন বছরের মধ্যে অবসরে যাবেন, তাদের কাছ থেকে এই টাকা নেওয়া হয়নি। তবে তারাও ব্যাংকের সব সুবিধাই পাবেন।
ব্যাংক লাভজনক হলে তিন বছর পর মূলধন জোগানের ওপর প্রত্যেকে নির্ধারিত হারে লভ্যাংশ পাবেন। আরও বেশ কিছু সুবিধা পাবেন পুলিশ সদস্যরা। জমি ক্রয়, বাড়ি নির্মাণ, ব্যবসার উদ্যোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সদস্যরা স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা পাবেন। উল্লেখ্য, গুলশানে পুলিশ প্লাজা কনকর্ড ভবনে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয় করার প্রস্তাবনা রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।