পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : গত দশকেও বাংলাদেশী ফ্রিজের বাজার ছিল সম্পূর্ণ আমদানি নির্ভর। ওয়ালটন দেশেই ফ্রিজ উৎপাদন শুরুর পর চলতি দশকের শুরু থেকেই হ্রাস পেতে থাকে ফ্রিজ আমদানিকারকদের দৌরাত্ব। অতি দ্রæত এই খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠে বাংলাদেশ। বর্তমানে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত ফ্রিজ রপ্তানির মাধ্যমেও দেশের রিজার্ভে যোগ হচ্ছে প্রচুর পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা। ওয়ালটন ফ্রিজের পর এবার শুরু করলো ফ্রিজের যন্ত্রাংশ রপ্তানি। ইন্দোনেশিয়ায় রপ্তানি হচ্ছে ওয়ালটনের তৈরি ফ্রিজের যন্ত্রাংশ।
ওয়ালটন সূত্রমতে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বীপ রাষ্ট্র ও বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিশ দেশ ইন্দোনেশিয়ার কাছ থেকে বাংলাদেশে তৈরি ফ্রিজের বিভিন্ন কাঁচামাল বা যন্ত্রাংশের বৃহৎ রপ্তানি আদেশ পাওয়া গিয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে ফ্রিজের খুচরা যন্ত্রাংশ বোঝাই জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে। রপ্তানিকৃত পার্টসের মধ্যে রয়েছে ফ্রিজের প্রাণ হিসেবে খ্যাত কম্প্রেসার, রেফ্রিজারেটর ডোর বা দরজা, রেফ্রিজারেটর ডোর হিন্জ, ড্রয়ার, ডোর প্লাস্টিক সেল্ফ, রেফ্রিজারেটর কেবিনেট বডি, পাওয়ার ক্যাবল ও প্ল্যাগ, পলি ব্যাগ, পলি ফোমসহ কার্টুন প্যাকেজ বক্স।
ওয়ালটনের আন্তর্জাতিক বিপণন বিভাগের প্রধান রকিবুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ থেকে বিশ্ব মানসম্পন্ন ফ্রিজ ইতোমধ্যে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এবার ওয়ালটন তথা বাংলাদেশের মিশন হলো- বিশ্ববাজারে ফ্রিজের আনুষঙ্গিক কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশ রপ্তানি। ইন্দোনেশিয়ায় রপ্তানির মধ্য দিয়ে এই মিশন শুরু হলো। অচিরেই উন্নত দেশগুলোতে পৌঁছে যাবে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত ওয়ালটনের তৈরি ফ্রিজের যন্ত্রাংশ। ওয়ালটনের সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম বলেন, বিশ্বের অনেক গেøাবাল ব্র্যান্ডই নিজস্ব কারখানায় ফ্রিজের আনুষঙ্গিক সব যন্ত্রাংশ তৈরি করে না। তারা বিভিন্ন দেশ থেকে এসব যন্ত্রাংশ আউটসোসিং করে থাকে। কিন্তু ওয়ালটন কারখানায় পূর্ণাঙ্গ ফ্রিজের পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে আনুষঙ্গিক পার্টসও। এতে একদিকে যেমন নিজস্ব তত্ত¡াবধানে আন্তর্জাতিকমান বজায় রেখে ফ্রিজ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। অন্যদিকে বিভিন্ন দেশের ফ্রিজ উৎপাদন কারখানায় এসব যন্ত্রাংশ রপ্তানিও করা যাচ্ছে। এরফলে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদন খাতের ইমেজও বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিল্প সংশ্লিষ্টদের মতে, ইলেকট্রনিক্স পণ্যের স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি বৈশ্বিক বাজারেও নতুন দিগন্তের সূচনা করছে ওয়ালটন। ওয়ালটনের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগ বর্তমান সরকারের ২০২১ সালের মধ্যে ৬০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয়ের রূপকল্প বাস্তবায়নের পথকে আরো সুগম করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।