পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, দুই কোটি টাকার দুর্নীতির মামলার জন্য যদি সাড়ে ছয় শ’ পাতা লাগে, তাহলে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার জন্য কয় লাখ পাতা লাগবে? আর তা কত বছর লাগবে তা লিখতে?
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ‘কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ছাত্রসমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনায় সভায় তিনি এ সব কথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মামলার ৬শ পৃষ্ঠা রায় এবং এক সপ্তাহেও রায়ের সার্টিফাই কপি না দেয়া প্রসঙ্গ উল্লেখ না করেই প্রখ্যাত এই আইনজীবী বলেন, দেশে প্রতিদিন মিছিল হচ্ছে, মোবারকবাদ দেয়া হচ্ছে। এখানে একজনকে (বেগম খালেদা জিয়া) দু’কোটি টাকার জন্য জেল দেয়া হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে তাকে জামিন দেয়ার কথা। অথচ বলা হচ্ছে রায় সংশোধন করা হচ্ছে। অবাক লাগছে। রায় দেয়া হয়ে গেছে তবে কপি দেয়া যাচ্ছে না, কারণ কপি সংশোধন করা হচ্ছে। দেশে তো ৪ হাজার কোটি, ৫ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হচ্ছে। দুই কোটি টাকার জন্য যদি সাড়ে ছয় শ’ পাতা লাগে, তাহলে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার জন্য কয় লাখ পাতা লাগবে? আর তা কত বছর লাগবে তা লিখতে? আর কয় বছর লাগবে তা সংশোধন করতে? আর তখন কয় বছর লাগবে এর কপি দিতে? এই যে কপি দেব কপি দেব বলা হচ্ছে... কী প্রহসন হচ্ছে..। আইনকে নিয়ে খেলা করা হচ্ছে।
ঐক্যবদ্ধ ছাত্রসমাজের সভাপতি আজম রূপুর সভাপতিত্বে সভায় সঞ্চলন করেন ঐক্যবদ্ধ ছাত্রসমাজের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু। বক্তৃতা করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, ডাকসু’র সাবেক ভিপি সুলতান মুহাম্মদ মনসুর আহমেদ, বিকল্প ধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুর মান্নান এবং গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার আফ্রিক প্রমূখ।
ড. কামাল হোসেন বলেন, দেশের মানুষ কার্যকর গণতন্ত্র দেখছে না। এরা (ক্ষমতাসীন দল) যদি নিজেদের গণতান্ত্রিক বলে দাবি করে থাকে তাহলে ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে না? কেন এ ব্যাপারে রাষ্ট্র নিশ্চুপ। এ ব্যাপারে কী কোনো মামলা শুরু হয়েছে? তিনি বলেন, দেশে যেভাবে হত্যা গুম চলছে তা নিয়ে সবাইকে মুখ খুলতে হবে। জজ সাহেবদের এ ব্যাপারে অসহায়দের পক্ষে দাঁড়াতে হবে। বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এরা গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হলে কেন তারা দেশে গুম হত্যা অপহরণের বিরুদ্ধে কথা বলছেন না? তারা যদি গুম হত্যার বিরুদ্ধে কিছু করতে না পারে তাহলে বেরিয়ে যাক ক্ষমতা থেকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।