Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভালোবাসা দিবস ও সুন্দরী প্রতিযোগিতা সরকারিভাবে নিষিদ্ধ করুন ইসলামী নেতৃবৃন্দ

| প্রকাশের সময় : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টার : যুব সমাজের চরিত্র রক্ষায় পশ্চিমা দেশ থেকে আমদানি করা বিশ্ব ভালবাসা দিবস ও সুন্দরী প্রতিযোগিতাসহ সকল নগ্নতা-বেহায়পনা, অশ্লীলতা সরকারি ভাবে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
খেলাফত আন্দোলন
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরীয়ত মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ বলেছেন, ইহুদি-নাসারারা বিভিন্ন ভাবে মুসলমানদের চরিত্র হননের ষড়যন্ত্র করছে। পশ্চিমা দেশ থেকে আমদানি করা বিশ্ব ভালবাসা দিবস এ ষড়যন্ত্রের একটি অংশ। ভালবাসা দিবস নামে নগ্নতা-বেহায়পনা, অশ্লীলতা আর পাপাচার ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম। কোন মুসলমান এ ধরনের নাজায়েয, নির্লজ্জ ও অশ্লীল দিবস উদ্যাপন করতে পারে না।
গতকাল সকালে রাজধানী ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের এক সভায় সভাপতির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-খেলাফত আন্দোলনের মহাসচবি মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, নায়েবে আমীর আলহাজ আনিসুর রহমান জিন্নাহ, মাওলানা মুজীবুর রহমান হামিদী, প্রচার সম্পদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দীন, দফতর সম্পাদক মাওলানা সানাউল্লাহ ও মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী প্রমুখ।
মাওলানা আতাউল্লাহ আরো বলেন, ইউনিলিভারের পৃষ্টপোষকতায় ক্লোজআপ এবং রবিসহ কতিপয় কোম্পানি এ নির্লজ্জ ও অশ্লীল কাজে যুব সমাজকে উৎসাহিত করে চলছে। যা দেশের মেরুদন্ড যুবসমাজের নৈতিক চরিত্র বিনষ্ট করে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ক্লোজআপ এবং রবির বিরুদ্ধে সরকার এবং দেশবাসিকে স্বোচ্চার হতে হবে। সরকারেরও উচিৎ যুব সমাজের চরিত্র রক্ষায় ভালবাসা দিবসসহ সকল নগ্নতা-বেহায়পনা, অশ্লীলতা সরকারী ভাবে নিষিদ্ধ করা। অন্যথায় ইভটিজিং, অপহরণ, খুন-ধর্ষণ বেড়ে দেশে আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটতে পারে।
ইসলামী ঐক্যজোট
ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী ৯০ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা অধ্যুষিত বাংলাদেশে ভালবাসা দিবস পালনের উদ্যোগের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করে বলেছেন যে, জাতির মননজাত ফসল অধোগতি করা, সুস্থ রুচিবোধ আদর্শচ্যুত করা এবং তাৎক্ষণিক আনন্দের স্থূলতাকে পর্যবসিত করার জন্যে এই দিবস পালনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, ইসলামই আমাদের প্রকৃত ও অকৃত্রিম ভালবাসা শিক্ষা দেয়। তাই ভালবাসা ধারণ, চর্চা ও অনুশীলনের জন্যে আমাদেরকে ভালবাসা দিবসের ওপর নির্ভর করার আবশ্যকতা নেই।
আইওজে চেয়ারম্যান তথাকথিত ভালবাসা দিবস উপলক্ষ্যে গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, ভালবাসা দিবস বর্তমানে তরুণ-তরুণীদের অবাধ মেলা-মেশা ও ব্যভিচারের একটি মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। তথাকথিত ভালবাসা দিবস বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের সংস্কৃতির অংশ নয়। এ ধরনের অনুষ্ঠান আজ জাতির মেরুদ- যুব সমাজের ভবিষ্যৎকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করে তুলছে। যা রুচিতে পীড়াবোধ হয়। নিঃসন্দেহে ভালবাসা দিবস এ অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নয়।
বিবৃতিতে বলা হয, ভালবাসা দিবসের মতো অপসংস্কৃতি আমাদের যুব সমাজের দেহমনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে কুপ্রভাব বাসা বাঁধছে, তা থেকে কে তাদেরকে মুক্ত করবে? কৈশোর ও যুব সমাজকে এভাবে দুর্বল করে দেয়ার অর্থ জাতির ভবিষ্যৎকে একেবারে ধ্বংসের মূখে ঠেলে দেয়ারই শামিল। তিনি এ অপসংস্কৃতি বন্ধে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

 



 

Show all comments
  • Nannu chowhan ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ৬:৪৯ এএম says : 0
    Shotti kotha je Bangladeshe prai shob dhormer manusher kase eha opshongskriti.ageto kokhono banglar manush eai dibosh je ki jantona tobe keno eakhon eai projonmer moddhe ebong kara eai shongskriti sorie dichse?tobe ki iha amader shorbadhik jonogoner grohonjoggo shongskritike dhongsho korar shorojontre nastiqra motto?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ