পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ত্রুটিপূর্ণ মিটার ও বর্ধিত বিদ্যুৎ বিলসংক্রান্ত একটি মামলা এখন পর্যন্ত নিষ্পত্তি না হওয়ায় আপিল বিভাগে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন নারায়ণগঞ্জের যুগ্ম জেলা জজ শফিকুল ইসলাম। গতকাল মঙ্গলবার আপিল বিভাগে হাজির হয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আদালত তাকে অব্যাহতি দিয়ে মামলাটি দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ দিয়েছেন।
আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে ওই বিচারক হাজির হন। এরপর বিষয়টি শুনানির জন্য উঠলে প্রধান বিচারপতি ওই যুগ্ম জেলা জজকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আর কতদিন? আরও কি দশ বছর লাগবে এই মামলাটি নিষ্পত্তি করতে? এসময় ওই যুগ্ম জেলা জজ বলেন, মাই লর্ড। এই মামলাটি এর আগে আমার কাছে ছিল না। এরপর প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনার কাছে এটা কতদিন? ওই বিচারক উত্তরে বলেন, একবছর মাই লর্ড। এসময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ১ বছরেও আপনি পারেননি? কাজ কর্ম করেন, না শুধু গল্প গুজব করেন কোর্টে? এসময় যুগ্ম জেলা জজ মো: শফিকুল ইসলাম বলেন, মাই লর্ড। আমার আদালতে ৭ হাজারের অধিক মামলা রয়েছে। এরপর তিনি আপিল বিভাগের কাছে (আনকন্ডিসনাল অ্যাপোলজি) নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এরপর আপিল বিভাগ আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে তাকে মামলাটি নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
আদালতে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. আবদুর রহিম। অপর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার। মেসার্স এমএকিউ পেপার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পক্ষে ছিলেন কামাল উল আলম এবং তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট শাহনাজ আক্তার।
পরে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেন, তিনি (যুগ্ম জেলা জজ) এসে ক্ষমা চেয়েছেন। বলেছেন, ওই কর্মস্থলেও তিনি বেশি দিন ধরে নয়। এরপরও ক্ষমা চেয়েছেন। এরপর আদালত তাকে অব্যাহতি দিয়ে মামলাটি দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের দাবি করা ১২ মাসের বিল অবৈধ ঘোষণা চেয়ে একটি প্রতিষ্ঠান নিম্ন আদালতে মামলা করে। পাশাপাশি তিন লাখ টাকা করে বিল দিতে অনুমতি দেয়ার আর্জি জানানো হয়। কিন্তু নিন্ম আদালত ২০০৭ সালের ওই আর্জি খারিজ করে দেন। খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করে প্রতিষ্ঠানটি। শুনানি শেষে ২০০৮ সালে হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে প্রতি মাসে ১৭ লাখ টাকা করে বকেয়া ও সাড়ে সাত লাখ টাকা করে নিয়মিত মাসিক বিল পরিশোধ করতে বলা হয়। পাশাপাশি কোনো ধরনের বিলম্ব ছাড়া ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে যুগ্ম জেলা জজকে এই মামলা নিষ্পত্তি করতে বলা হয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ আপিল করলে তা শুনানির জন্য আপিল বিভাগে আসে। ৭ ফেব্রæয়ারি শুনানিকালে এই মামলাটি ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নিষ্পত্তি করার বিষয়টি আদালতের নজরে আসে। এরপরই আপিল বিভাগ এই মামলার নথিসহ নারায়ণগঞ্জ আদালতের যুগ্ম জেলা জজকে ১৩ ফেব্রæয়ারি আপিল বিভাগে উপস্থিত হতে আদেশ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।