বিশেষ সংবাদদাতা : বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দেয়া রায়ের কপি আজ বুধবার পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া। 

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এখনও রায়ের কপি পাইনি। আদালত থেকে বলা হয়েছে আগামীকাল (বুধবার) রায়ের কপি সরবরাহ করা হবে। বিশেষ জজ আদালত-৫ এ কপি সরবরাহ করবেন। এ জন্য আমাদের আর আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আসতে হবে না। গতকাল দুপুর পৌনে ১টার দিকে নাজিমুদ্দিন রোডের সামনে যান আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়াসহ মোট চারজন। সেখানে পুলিশি বেরিকেড থাকায় গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেটে কারাগারের দিকে যান তারা। প্রায় ৪৫ মিনিট পর তারা কারা অধিপপ্তর থেকে কারাগারের মূল ফটকে এসে অপেক্ষা করেতে থাকেন। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি না মেলায় বেলা ৩টার দিকে ফিরে যান। অন্যদিকে পুরানত কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের মতোই কঠোর রাখা হয়েছে। কর্তব্যরত পুলিশের অনুমতি ছাড়া কারাগারের সামনের রাস্তা দিয়ে কাউকে যাতায়ত করতে দেয়া হচ্ছে না। সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, আমরা যদি কাল (বুধবার) রায়ের কপি পাই, তাহলে পরেরদিন (বৃহস্পতিবার) আপিল করতে পারবো। আপিল করার পর যদি বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কাস্টডি অ্যারেস্ট বা প্রোডাকশন অ্যারেস্ট দেয়া হয় তখন আমরা আদালতে সেগুলো প্রত্যাহারের আবেদন করবো। তিনি আরও বলেন, কারা কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধ কাস্টডি ওয়ারেন্ট বা প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট কিছুই নেই। এমন কোনও ওয়ারেন্ট তাদের কাছে আসেনি। আমরা উকালতনামায়সই নেয়ার জন্য কারাগারে এসেছিলাম। তবে কাস্টডি ওয়ারেন্ট কারাগারে না আসায় সেটা জেল সুপারের কাছে রেখে এসেছি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে অন্য মামলায় গ্রেফতার দেখানোর যে খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এসেছে তা সঠিক নয়। সামনে গ্যাটকো, বড়পুকুরিয়াসহ তিনটি মামলায় খালেদা জিয়ার হাজিরার তারিখ রয়েছে। তবে এই মামলাগুলোতে খালেদা জিয়াকে নিজে উপস্থিত থাকতে হয় না। আইনজীবীর মাধ্যমেই তিনি হাজিরা দিতে পারেন বলে সানাউল্লাহ মিয়া জানান।
কারাগারের একজন কর্মকর্তা বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তিনটি ওকালত নামা নিয়ে এসেছিলেন। সেগুলো গ্রহণ করে ভেতরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। গত ৮ ফের্রুয়ারি রায়ের পর বেগম খালেদা জিয়াকে পুরানত কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়। সেখানে তিনি